রাতুল মন্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
উচ্চ স্বরে গান গায়, হাসলে হাসতেই থাকে, দেখতেও খুব মিষ্টি। শিকারের প্রয়োজনে আবার এই নরম স্বভাবটা এরা মুহূর্তেই বদলে ফেলে। সুযোগ বুঝে ঝাঁপিয়ে পড়ে ইঁদুর, ব্যাঙ, সাপসহ বিভিন্ন সরীসৃপের ওপর। এদের চিৎকার রাতের নিস্তব্ধতায় খুবই ভয়ংকর শোনায়। দিনের আলোয় যা অনেকটাই মানুষের হাসির মতো মনে হবে। বহু গুণের অধিকারী এই ভিনদেশি লাফিং কোকাবুরা পাখি এখন গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কেও রয়েছে।
পার্ক সূত্রে জানা গেছে, অনাপত্তি সার্টিফিকেট ছাড়াই নেদারল্যান্ডস থেকে ১০টি লাফিং কোকাবুরা পাখি নিয়ে আসছিল সিনান বার্ড ব্রিডিং ফার্ম নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। গত ২৮ ডিসেম্বর কার্গো বিমানে করে আনা পাখিগুলো হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উদ্ধার করা হয়। সেই রাতেই সাতটি পাখি সাফারি পার্কে পৌঁছে দেওয়া হয়। বাকি তিনটি মারা যায় প্লেনের ভেতরেই। প্রতিটি পাখির মূল্য ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
পার্কের কর্মকর্তারা জানান, পাখিগুলো আপাতত কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় শেষে এগুলোকে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। নির্দিষ্ট একটি বেষ্টনীতে এগুলো দেখে দর্শনার্থীরা বেশ আনন্দই পাবেন।
সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার সরোয়ার হোসেন খান জানান, কোকাবুরা পাখি মূলত অস্ট্রেলিয়ার ঘন ইউক্যালিপটাস বনে বাস করে। নীল ডানাযুক্ত এই পাখি দেখতে প্রায় হুড কাকের মতো। এরা খুবই চালাক প্রকৃতির। শিকারে পারদর্শী এই পাখি গড়ে ২০ বছর বেঁচে থাকে।
পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার আরও জানান, এই পাখি লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করে না। এমনকি মানুষ দেখলেও কোনো ভয় পায় না। কোকাবুরা ভোজনপ্রিয় পাখি। অন্য কারও বাসা নষ্ট করে ছোট ছানা খেয়ে ফেলতে এরা একদমই দ্বিধাবোধ করে না। এমনকি এদের চেয়ে বেশি ওজনের শিকারও নিমেষেই বদ করে। ভয়ংকর বিষাক্ত সাপকে বশ করে খুব সহজেই। সকাল-সন্ধ্যা মিলিয়ে দিনে কমপক্ষে দুবার শিকার করে। খেতে ইচ্ছা করলে বিকেলেও খাবার জোগাড় করে নেয়। কোকাবুরা পাখি ফসলের জন্য ক্ষতির বিভিন্ন কীটপতঙ্গ খেয়ে ফেলে।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. তবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমদানিকারকেরা অন্য পাখির আড়ালে অনুমতি ছাড়া এগুলো দেশে নিয়ে আসেন। জব্দ হওয়ার পর সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে আমরা পাখিগুলো বুঝে পাই। পার্কে সাতটি নতুন অতিথি হয়েই আছে লাফিং কোকাবুরা পাখি। এগুলো অস্ট্রেলিয়ান পাখি। শিগগির এগুলো দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।’
উচ্চ স্বরে গান গায়, হাসলে হাসতেই থাকে, দেখতেও খুব মিষ্টি। শিকারের প্রয়োজনে আবার এই নরম স্বভাবটা এরা মুহূর্তেই বদলে ফেলে। সুযোগ বুঝে ঝাঁপিয়ে পড়ে ইঁদুর, ব্যাঙ, সাপসহ বিভিন্ন সরীসৃপের ওপর। এদের চিৎকার রাতের নিস্তব্ধতায় খুবই ভয়ংকর শোনায়। দিনের আলোয় যা অনেকটাই মানুষের হাসির মতো মনে হবে। বহু গুণের অধিকারী এই ভিনদেশি লাফিং কোকাবুরা পাখি এখন গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কেও রয়েছে।
পার্ক সূত্রে জানা গেছে, অনাপত্তি সার্টিফিকেট ছাড়াই নেদারল্যান্ডস থেকে ১০টি লাফিং কোকাবুরা পাখি নিয়ে আসছিল সিনান বার্ড ব্রিডিং ফার্ম নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। গত ২৮ ডিসেম্বর কার্গো বিমানে করে আনা পাখিগুলো হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উদ্ধার করা হয়। সেই রাতেই সাতটি পাখি সাফারি পার্কে পৌঁছে দেওয়া হয়। বাকি তিনটি মারা যায় প্লেনের ভেতরেই। প্রতিটি পাখির মূল্য ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
পার্কের কর্মকর্তারা জানান, পাখিগুলো আপাতত কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় শেষে এগুলোকে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। নির্দিষ্ট একটি বেষ্টনীতে এগুলো দেখে দর্শনার্থীরা বেশ আনন্দই পাবেন।
সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার সরোয়ার হোসেন খান জানান, কোকাবুরা পাখি মূলত অস্ট্রেলিয়ার ঘন ইউক্যালিপটাস বনে বাস করে। নীল ডানাযুক্ত এই পাখি দেখতে প্রায় হুড কাকের মতো। এরা খুবই চালাক প্রকৃতির। শিকারে পারদর্শী এই পাখি গড়ে ২০ বছর বেঁচে থাকে।
পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার আরও জানান, এই পাখি লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করে না। এমনকি মানুষ দেখলেও কোনো ভয় পায় না। কোকাবুরা ভোজনপ্রিয় পাখি। অন্য কারও বাসা নষ্ট করে ছোট ছানা খেয়ে ফেলতে এরা একদমই দ্বিধাবোধ করে না। এমনকি এদের চেয়ে বেশি ওজনের শিকারও নিমেষেই বদ করে। ভয়ংকর বিষাক্ত সাপকে বশ করে খুব সহজেই। সকাল-সন্ধ্যা মিলিয়ে দিনে কমপক্ষে দুবার শিকার করে। খেতে ইচ্ছা করলে বিকেলেও খাবার জোগাড় করে নেয়। কোকাবুরা পাখি ফসলের জন্য ক্ষতির বিভিন্ন কীটপতঙ্গ খেয়ে ফেলে।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. তবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমদানিকারকেরা অন্য পাখির আড়ালে অনুমতি ছাড়া এগুলো দেশে নিয়ে আসেন। জব্দ হওয়ার পর সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে আমরা পাখিগুলো বুঝে পাই। পার্কে সাতটি নতুন অতিথি হয়েই আছে লাফিং কোকাবুরা পাখি। এগুলো অস্ট্রেলিয়ান পাখি। শিগগির এগুলো দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে