চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। গত আট মাসে জেলায় ৬৭৯টির বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ দুর্ঘটনার কারণ বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল চালানো। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে ৫০ জনের মতো।
ট্রাফিক বিভাগ বলছে, দুর্ঘটনা কমাতে উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছে তারা। বাড়ানো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সংখ্যাও।
চুয়াডাঙ্গা শহর ও অন্যান্য এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গ্রাম থেকে শহরমুখী মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেড়েছে। শহরের প্রধান প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন অলিগলির সড়কেও মোটরসাইকেলের ভিড়; বিশেষ করে উঠতি বয়সী তরুণদের হাতে দামি মোটরসাইকেল। এক বাইকে তিনজন ওঠা যেমন স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তেমনি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আইন অমান্য করা শখে পরিণত হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৬৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সদর হাসপাতাল ও তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন এক হাজারের বেশি মানুষ। এগুলোর মধ্যে জানুয়ারিতে ৯৪, ফেব্রুয়ারিতে ১০২, মার্চে ১১৮, এপ্রিলে ৬১, মে ৭৪, জুনে ৯৮, জুলাইয়ে ৭১ এবং আগস্ট মাসে ৬১টি দুর্ঘটনা ঘটে।
জেলা তথ্য অফিস দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল না চালানোর জন্য প্রচারাভিযান চালায়। ট্রাফিক বিভাগসহ জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সচেতনতা কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও বিতরণ করা হয় লিফলেট।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘কম বয়সী ছেলেরা বেশি বেপরোয়া গতিতে বাইক চালাচ্ছে। এরা নিয়মকানুন মানতে চায় না। তারা ভাবে, শুধু গাড়ির গতি বাড়লে এদের সম্মান বাড়ে। আবার কেউ কেউ সাপের মতো করে রাস্তায় বাইক চালায়। একবার এদিকে, একবার ওদিকে। এসব কাজ দ্রুত বন্ধ করা না গেলে সড়কে মৃত্যুর মিছিল আরও বাড়বে।’
নিসচার (নিরাপদ সড়ক চাই) জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, জেলায় মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেড়ে গেছে। বেপরোয়া গতিতে বাইক চালানোর কারণে জেলার সড়কে নিয়মিত তাজা প্রাণ ঝরছে। উঠতি বয়সী তরুণদের ব্যাপারে অভিভাবকদেরই বেশি সচেতন হতে হবে। অল্প বয়সের ছেলেদের হাতে গাড়ি দেওয়া যাবে না।
বিআরটিএ চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী বলেন, ‘মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে আমরা সচেতনতা কার্যক্রম চালাচ্ছি। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম থাকছে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের কার্যক্রমও ভালোভাবেই চলছে। আইন অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা করা হচ্ছে।’
পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জেলা পুলিশ সব সময় তৎপর। গত তিন মাসে ট্রাফিক বিভাগ প্রায় ১১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, যেসব মা-বাবা তরুণ ছেলেকে বাইক কিনে দেন, তাঁদের একটু ভাবা উচিত। তাঁদের সচেতন হতে হবে। পুলিশ সুপার জানান, আগস্ট মাসে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালানোয় মামলা হয়েছে ৩১০টি, রেজিস্ট্রেশনবিহীন ৪১টি ও ড্রাইভিংবিহীন ৩৪টি।
চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। গত আট মাসে জেলায় ৬৭৯টির বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ দুর্ঘটনার কারণ বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল চালানো। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে ৫০ জনের মতো।
ট্রাফিক বিভাগ বলছে, দুর্ঘটনা কমাতে উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছে তারা। বাড়ানো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সংখ্যাও।
চুয়াডাঙ্গা শহর ও অন্যান্য এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গ্রাম থেকে শহরমুখী মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেড়েছে। শহরের প্রধান প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন অলিগলির সড়কেও মোটরসাইকেলের ভিড়; বিশেষ করে উঠতি বয়সী তরুণদের হাতে দামি মোটরসাইকেল। এক বাইকে তিনজন ওঠা যেমন স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তেমনি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আইন অমান্য করা শখে পরিণত হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৬৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সদর হাসপাতাল ও তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন এক হাজারের বেশি মানুষ। এগুলোর মধ্যে জানুয়ারিতে ৯৪, ফেব্রুয়ারিতে ১০২, মার্চে ১১৮, এপ্রিলে ৬১, মে ৭৪, জুনে ৯৮, জুলাইয়ে ৭১ এবং আগস্ট মাসে ৬১টি দুর্ঘটনা ঘটে।
জেলা তথ্য অফিস দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল না চালানোর জন্য প্রচারাভিযান চালায়। ট্রাফিক বিভাগসহ জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সচেতনতা কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও বিতরণ করা হয় লিফলেট।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘কম বয়সী ছেলেরা বেশি বেপরোয়া গতিতে বাইক চালাচ্ছে। এরা নিয়মকানুন মানতে চায় না। তারা ভাবে, শুধু গাড়ির গতি বাড়লে এদের সম্মান বাড়ে। আবার কেউ কেউ সাপের মতো করে রাস্তায় বাইক চালায়। একবার এদিকে, একবার ওদিকে। এসব কাজ দ্রুত বন্ধ করা না গেলে সড়কে মৃত্যুর মিছিল আরও বাড়বে।’
নিসচার (নিরাপদ সড়ক চাই) জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, জেলায় মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেড়ে গেছে। বেপরোয়া গতিতে বাইক চালানোর কারণে জেলার সড়কে নিয়মিত তাজা প্রাণ ঝরছে। উঠতি বয়সী তরুণদের ব্যাপারে অভিভাবকদেরই বেশি সচেতন হতে হবে। অল্প বয়সের ছেলেদের হাতে গাড়ি দেওয়া যাবে না।
বিআরটিএ চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী বলেন, ‘মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে আমরা সচেতনতা কার্যক্রম চালাচ্ছি। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম থাকছে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের কার্যক্রমও ভালোভাবেই চলছে। আইন অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা করা হচ্ছে।’
পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জেলা পুলিশ সব সময় তৎপর। গত তিন মাসে ট্রাফিক বিভাগ প্রায় ১১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, যেসব মা-বাবা তরুণ ছেলেকে বাইক কিনে দেন, তাঁদের একটু ভাবা উচিত। তাঁদের সচেতন হতে হবে। পুলিশ সুপার জানান, আগস্ট মাসে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালানোয় মামলা হয়েছে ৩১০টি, রেজিস্ট্রেশনবিহীন ৪১টি ও ড্রাইভিংবিহীন ৩৪টি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে