রাজশাহী প্রতিনিধি
খাল-বিল, নদী-নালায় প্রায়ই ডুবে যায় মানুষ। অনেক সময় খুঁজে পাওয়া যায় না লাশও। তখন একমাত্র ভরসা ডুবুরিরা। কিন্তু জীবন রক্ষার এই গুরুত্বপূর্ণ কাজে রাজশাহী বিভাগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি রয়েছে মাত্র তিনজন। বিভাগের আট জেলায় উদ্ধার তৎপরতা চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় তাঁদের।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর স্টেশনের তিন ডুবুরি হলেন জুয়েল রানা, রিপন হোসেন ও মো. রওশন। মো. নুরুন্নবী নামের আরেকজন ডুবুরি ছিলেন। তিনি পদোন্নতি পেয়ে লিডার হয়েছেন। ফলে তিনজনকেই এখন কাজ করতে হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহীর কর্মকর্তারা বলছেন, রাজশাহী সদর স্টেশন ছাড়া বিভাগের অন্য কোনো জেলায় ডুবুরি নেই। কখনো কখনো একটি উদ্ধার অভিযান চালানোর সময় আরেক জায়গায় ডুবে যাওয়ার খবর আসে। তখন একটি ছেড়ে আরেক জায়গায় যাওয়া যায় না। আবার একটি অভিযান শেষ করে আরেক জায়গায় যেতে দেরি হয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিস বিভাগের তথ্যমতে, ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনা বেশি ঘটে বর্ষাকালে। অনেক ঘটনার তথ্য ফায়ার সার্ভিসে আসে না। ডুবে যাওয়ার পর দীর্ঘ সময় জীবিত বা লাশ উদ্ধার না হলেই ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত এমন ১৭টি ডাক পেয়েছে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। তাঁরা ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে একজনকে।
গত ২১ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরমোহনপুর উচ্চবিদ্যালয়ের পাশের একটি খালে ডুবে মারা যায় রাশেদুল ইসলাম নামের এক কিশোর। স্থানীয় বাসিন্দারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। তারপর রাজশাহী থেকে ডুবুরি দল যেতে যেতে বিকেল হয়ে যায়। ডুবুরি দল দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর রাশেদুলের মরদেহ উদ্ধার করে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক ছাবের আলী প্রামাণিক জানান, তাঁদের অফিসে ডুবুরির পদই নেই। পদ সৃষ্টির জন্য তিনি জানিয়েছিলেন। অন্তত জেলা পর্যায়ের স্টেশনগুলোতে ডুবুরি দল থাকা উচিত বলেও মনে করেন এই কর্মকর্তা।
রাজশাহীর তিন ডুবুরির লিডার মো. নুরুন্নবী বলেন, ‘আমি ডুবুরি হিসেবে চাকরিতে যোগ দিয়েছি ১৯৯০ সালে। তখন দেশে ২৫ জন ডুবুরি নিয়ে ফায়ার সার্ভিসে এই বিভাগ চালু হয়। কিন্তু এখনো ডুবুরির সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শনে এলে আমরা জানাই, এটির প্রয়োজনীয়তা কত বেশি। এখন আবার কিছু নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে বলে শুনেছি।’
দীর্ঘদিন ডুবুরি হিসেবে কাজ করা এই ব্যক্তি বলেন, আগে সাঁতার জানা মানুষের সংখ্যা বেশি ছিল। তখন ডুবে যাওয়ার ঘটনা কম ঘটত। এখন নতুন প্রজন্মের বেশির ভাগই সাঁতার জানে না। তারা নৌভ্রমণে বের হয়ে কিংবা শখ করে গোসলে নেমে দুর্ঘটনায় পড়ে। ফলে ডুবুরিদের কাজ বেড়েছে। এখন তিনজনকে আট জেলায় কাজ করতে হিমশিম খেতে হয়।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমাদের এখানে তিনজন ডুবুরি, তাঁদের জন্য একটা গাড়ি আর প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি আছে। বিভাগের যেকোনো জেলায় দুর্ঘটনার খবর পেলে তাঁরা সেখানে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। কিন্তু জনবলসংকটে আমরা মাঝেমধ্যেই বিড়ম্বনায় পড়ি। কারণ একটি উদ্ধারকাজ চলাকালে আরেকটির খবর এলে দ্বিতীয় টিম দেওয়ার সুযোগ নেই।’
আব্দুর রশিদ আরও বলেন, ‘আমাদের সীমাবদ্ধতা আমরা সদর দপ্তরে জানিয়েছি। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানের জন্য ডুবুরি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সেগুলো শূন্য পদের বিপরীতে। আমাদের এখানে পদ শূন্য নেই, সে কারণে আমরা পাইনি।’
খাল-বিল, নদী-নালায় প্রায়ই ডুবে যায় মানুষ। অনেক সময় খুঁজে পাওয়া যায় না লাশও। তখন একমাত্র ভরসা ডুবুরিরা। কিন্তু জীবন রক্ষার এই গুরুত্বপূর্ণ কাজে রাজশাহী বিভাগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি রয়েছে মাত্র তিনজন। বিভাগের আট জেলায় উদ্ধার তৎপরতা চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় তাঁদের।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর স্টেশনের তিন ডুবুরি হলেন জুয়েল রানা, রিপন হোসেন ও মো. রওশন। মো. নুরুন্নবী নামের আরেকজন ডুবুরি ছিলেন। তিনি পদোন্নতি পেয়ে লিডার হয়েছেন। ফলে তিনজনকেই এখন কাজ করতে হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহীর কর্মকর্তারা বলছেন, রাজশাহী সদর স্টেশন ছাড়া বিভাগের অন্য কোনো জেলায় ডুবুরি নেই। কখনো কখনো একটি উদ্ধার অভিযান চালানোর সময় আরেক জায়গায় ডুবে যাওয়ার খবর আসে। তখন একটি ছেড়ে আরেক জায়গায় যাওয়া যায় না। আবার একটি অভিযান শেষ করে আরেক জায়গায় যেতে দেরি হয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিস বিভাগের তথ্যমতে, ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনা বেশি ঘটে বর্ষাকালে। অনেক ঘটনার তথ্য ফায়ার সার্ভিসে আসে না। ডুবে যাওয়ার পর দীর্ঘ সময় জীবিত বা লাশ উদ্ধার না হলেই ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত এমন ১৭টি ডাক পেয়েছে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। তাঁরা ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে একজনকে।
গত ২১ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরমোহনপুর উচ্চবিদ্যালয়ের পাশের একটি খালে ডুবে মারা যায় রাশেদুল ইসলাম নামের এক কিশোর। স্থানীয় বাসিন্দারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। তারপর রাজশাহী থেকে ডুবুরি দল যেতে যেতে বিকেল হয়ে যায়। ডুবুরি দল দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর রাশেদুলের মরদেহ উদ্ধার করে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক ছাবের আলী প্রামাণিক জানান, তাঁদের অফিসে ডুবুরির পদই নেই। পদ সৃষ্টির জন্য তিনি জানিয়েছিলেন। অন্তত জেলা পর্যায়ের স্টেশনগুলোতে ডুবুরি দল থাকা উচিত বলেও মনে করেন এই কর্মকর্তা।
রাজশাহীর তিন ডুবুরির লিডার মো. নুরুন্নবী বলেন, ‘আমি ডুবুরি হিসেবে চাকরিতে যোগ দিয়েছি ১৯৯০ সালে। তখন দেশে ২৫ জন ডুবুরি নিয়ে ফায়ার সার্ভিসে এই বিভাগ চালু হয়। কিন্তু এখনো ডুবুরির সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শনে এলে আমরা জানাই, এটির প্রয়োজনীয়তা কত বেশি। এখন আবার কিছু নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে বলে শুনেছি।’
দীর্ঘদিন ডুবুরি হিসেবে কাজ করা এই ব্যক্তি বলেন, আগে সাঁতার জানা মানুষের সংখ্যা বেশি ছিল। তখন ডুবে যাওয়ার ঘটনা কম ঘটত। এখন নতুন প্রজন্মের বেশির ভাগই সাঁতার জানে না। তারা নৌভ্রমণে বের হয়ে কিংবা শখ করে গোসলে নেমে দুর্ঘটনায় পড়ে। ফলে ডুবুরিদের কাজ বেড়েছে। এখন তিনজনকে আট জেলায় কাজ করতে হিমশিম খেতে হয়।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমাদের এখানে তিনজন ডুবুরি, তাঁদের জন্য একটা গাড়ি আর প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি আছে। বিভাগের যেকোনো জেলায় দুর্ঘটনার খবর পেলে তাঁরা সেখানে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। কিন্তু জনবলসংকটে আমরা মাঝেমধ্যেই বিড়ম্বনায় পড়ি। কারণ একটি উদ্ধারকাজ চলাকালে আরেকটির খবর এলে দ্বিতীয় টিম দেওয়ার সুযোগ নেই।’
আব্দুর রশিদ আরও বলেন, ‘আমাদের সীমাবদ্ধতা আমরা সদর দপ্তরে জানিয়েছি। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানের জন্য ডুবুরি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সেগুলো শূন্য পদের বিপরীতে। আমাদের এখানে পদ শূন্য নেই, সে কারণে আমরা পাইনি।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৬ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
১০ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
১০ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
১০ দিন আগে