খান রফিক, বরিশাল
ইলিশ আর জাটকায় ছড়াছড়ি বরিশাল নগর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে। এই শীতেও অলিগলিতে মিলছে অনেকটা সস্তায়। তবে জালে ধরা পড়া ইলিশের অর্ধেকেরও বেশি জাটকা। অসময়ে এভাবে নদ-নদীতে ছোট আকারের ইলিশ ও জাটকার আধিক্যে চিন্তিত মৎস্য বিশেষজ্ঞ, পেশাদার জেলেরা। জেলার প্রায় ৫০ হাজার জেলে এখন নদ-নদীতে ইলিশের সঙ্গে জাটকা ধরায় ব্যস্ত। এই বিপুলসংখ্যক জেলেকে নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে বলে মৎস্য অধিদপ্তর দাবি করেছে।
জানতে চাইলে বরিশাল জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস জানান, গত দুই বছর শীতে ইলিশ পাওয়া যায়নি। চলতি জানুয়ারি থেকে গভীর সাগরে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ইলিশ পেয়েছেন জেলেরা। গত ৮-১০ দিন ধরে একই অবস্থা অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে। তবে এই ইলিশের আকার অনেকটা ছোট। তাঁর মতে, গত বছরের অক্টোবরে প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণে ২৪ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল হওয়ায় নদ-নদীতে বিপুল জাটকা বিচরণ করছে, যা গত ২-৩ বছর দেখা যায়নি।
ড. বিমল চন্দ্র দাস স্বীকার করেন, গত কয়েক দিন ধরে আহরিত ইলিশের বেশির ভাগ জাটকা। বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ জাল দিয়ে জাটকা ধরা হচ্ছে। নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের নতুন সংস্করণ মাল্টি সুতার জাল ব্যবহার করছেন জেলেরা। ওই জালে একাধিক পকেট থাকায় জেলেদের কাছে সেটি ‘পকেট জাল’ নাম পরিচিত। ওই জাল নদীতে পাতা হলে পকেটের মধ্যে আটকে যায় ছোট আকৃতির ইলিশ। এখনই দেদার জাটকা নিধন হলে মৌসুমের সময় বড় ইলিশের সংকট দেখা দিতে পারে বলে জানান ড. বিমল।
বরিশাল নগরের পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, মোকামে যে পরিমাণ ইলিশ উঠছে তার অর্ধেকেরও বেশি জাটকা। প্রতি কেজি জাটকা ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা দরে। সদর উপজেলার সায়েস্তাবাদ, চন্দ্রমোহনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কালাবদর, আড়িয়াল খাঁ, কীর্তনখোলায় চলছে ইলিশের সঙ্গে জাটকা ধরার মহোৎসব। জেলেরা জানিয়েছেন, একটি মাঝারি ইলিশ পাওয়া গেলে তার সঙ্গে ৫০টি ধরা পড়ছে আহরণ নিষিদ্ধ জাটকা।
এভাবে জাটকা ধরায় জেলেদের সাময়িক তৃপ্তি ও ইলিশ বাজারের জন্য স্বস্তির খবর হলেও ইলিশ সম্পদ বাড়ার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, বেপরোয়া জাটকা নিধন বন্ধ করতে না পারলে এর প্রভাব দেখা দেবে আগামী জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইলিশের ভরা মৌসুমে।
মেঘনাঘেরা হিজলা ধুলখোলা ইউনিয়ন জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মনির মাতুব্বর বলেন, গত ভরা মৌসুমেও মেঘনায় ইলিশ পাওয়া যায়নি। এখন জাল ফেললেই বোঝাই করে ইলিশ উঠছে। একটি নৌকা এক বেলা জাল ফেলেই ১০-১৫ মণ ইলিশ পাচ্ছেন। বড় ইলিশ বলতে ৩টিতে এক কেজি ওজন হয় আকারের মাছও পাওয়া যাচ্ছে। এ সাইজের ইলিশের কেজি ৪০০-৫০০ টাকা এবং ছোট সাইজ ১০০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মেঘনা তীরের ইলিশ ঘাটে।
মনির জানান, হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জের ইলিশ ঘাট মালিকেরা প্রতিদিন শত শত মণ জাটকা ট্রলারে শরিয়তপুরে মিয়ারহাটে পাঠাচ্ছেন পাইকারি বিক্রির জন্য। সেখান থেকে সড়কপথে পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
কালাবদর নদীঘেঁষা চন্দ্রমোহনের জেলে আকবর হোসেন জানান, ইলিশ ধরতে গিয়ে জাল ভরে জাটকা পাচ্ছেন। বাজারে এর দাম কম। পেশাদার জেলেদের এই জাটকা ধরে সুখ নেই। তা ছাড়া এভাবে শীতে জাটকা মেরে নদ-নদী সাফ করে ফেললে আগামী বর্ষায় বড় ইলিশ পাবেন কি না, তা নিয়েও আছেন সংশয়ে।
এ ব্যাপারে মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার জানান, এ বছর নদ-নদীতে যে পরিমাণ জাটকা পাওয়া যাচ্ছে, তা কয়েক বছরে দেখা যায়নি। এই জাটকা রক্ষা বড় চ্যালেঞ্জ। তাঁদের জনবল কম। জেলেদের নদী ও সাগর মোহনায় নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে।
ইলিশ আর জাটকায় ছড়াছড়ি বরিশাল নগর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে। এই শীতেও অলিগলিতে মিলছে অনেকটা সস্তায়। তবে জালে ধরা পড়া ইলিশের অর্ধেকেরও বেশি জাটকা। অসময়ে এভাবে নদ-নদীতে ছোট আকারের ইলিশ ও জাটকার আধিক্যে চিন্তিত মৎস্য বিশেষজ্ঞ, পেশাদার জেলেরা। জেলার প্রায় ৫০ হাজার জেলে এখন নদ-নদীতে ইলিশের সঙ্গে জাটকা ধরায় ব্যস্ত। এই বিপুলসংখ্যক জেলেকে নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে বলে মৎস্য অধিদপ্তর দাবি করেছে।
জানতে চাইলে বরিশাল জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস জানান, গত দুই বছর শীতে ইলিশ পাওয়া যায়নি। চলতি জানুয়ারি থেকে গভীর সাগরে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ইলিশ পেয়েছেন জেলেরা। গত ৮-১০ দিন ধরে একই অবস্থা অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে। তবে এই ইলিশের আকার অনেকটা ছোট। তাঁর মতে, গত বছরের অক্টোবরে প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণে ২৪ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল হওয়ায় নদ-নদীতে বিপুল জাটকা বিচরণ করছে, যা গত ২-৩ বছর দেখা যায়নি।
ড. বিমল চন্দ্র দাস স্বীকার করেন, গত কয়েক দিন ধরে আহরিত ইলিশের বেশির ভাগ জাটকা। বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ জাল দিয়ে জাটকা ধরা হচ্ছে। নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের নতুন সংস্করণ মাল্টি সুতার জাল ব্যবহার করছেন জেলেরা। ওই জালে একাধিক পকেট থাকায় জেলেদের কাছে সেটি ‘পকেট জাল’ নাম পরিচিত। ওই জাল নদীতে পাতা হলে পকেটের মধ্যে আটকে যায় ছোট আকৃতির ইলিশ। এখনই দেদার জাটকা নিধন হলে মৌসুমের সময় বড় ইলিশের সংকট দেখা দিতে পারে বলে জানান ড. বিমল।
বরিশাল নগরের পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, মোকামে যে পরিমাণ ইলিশ উঠছে তার অর্ধেকেরও বেশি জাটকা। প্রতি কেজি জাটকা ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা দরে। সদর উপজেলার সায়েস্তাবাদ, চন্দ্রমোহনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কালাবদর, আড়িয়াল খাঁ, কীর্তনখোলায় চলছে ইলিশের সঙ্গে জাটকা ধরার মহোৎসব। জেলেরা জানিয়েছেন, একটি মাঝারি ইলিশ পাওয়া গেলে তার সঙ্গে ৫০টি ধরা পড়ছে আহরণ নিষিদ্ধ জাটকা।
এভাবে জাটকা ধরায় জেলেদের সাময়িক তৃপ্তি ও ইলিশ বাজারের জন্য স্বস্তির খবর হলেও ইলিশ সম্পদ বাড়ার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, বেপরোয়া জাটকা নিধন বন্ধ করতে না পারলে এর প্রভাব দেখা দেবে আগামী জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইলিশের ভরা মৌসুমে।
মেঘনাঘেরা হিজলা ধুলখোলা ইউনিয়ন জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মনির মাতুব্বর বলেন, গত ভরা মৌসুমেও মেঘনায় ইলিশ পাওয়া যায়নি। এখন জাল ফেললেই বোঝাই করে ইলিশ উঠছে। একটি নৌকা এক বেলা জাল ফেলেই ১০-১৫ মণ ইলিশ পাচ্ছেন। বড় ইলিশ বলতে ৩টিতে এক কেজি ওজন হয় আকারের মাছও পাওয়া যাচ্ছে। এ সাইজের ইলিশের কেজি ৪০০-৫০০ টাকা এবং ছোট সাইজ ১০০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মেঘনা তীরের ইলিশ ঘাটে।
মনির জানান, হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জের ইলিশ ঘাট মালিকেরা প্রতিদিন শত শত মণ জাটকা ট্রলারে শরিয়তপুরে মিয়ারহাটে পাঠাচ্ছেন পাইকারি বিক্রির জন্য। সেখান থেকে সড়কপথে পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
কালাবদর নদীঘেঁষা চন্দ্রমোহনের জেলে আকবর হোসেন জানান, ইলিশ ধরতে গিয়ে জাল ভরে জাটকা পাচ্ছেন। বাজারে এর দাম কম। পেশাদার জেলেদের এই জাটকা ধরে সুখ নেই। তা ছাড়া এভাবে শীতে জাটকা মেরে নদ-নদী সাফ করে ফেললে আগামী বর্ষায় বড় ইলিশ পাবেন কি না, তা নিয়েও আছেন সংশয়ে।
এ ব্যাপারে মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার জানান, এ বছর নদ-নদীতে যে পরিমাণ জাটকা পাওয়া যাচ্ছে, তা কয়েক বছরে দেখা যায়নি। এই জাটকা রক্ষা বড় চ্যালেঞ্জ। তাঁদের জনবল কম। জেলেদের নদী ও সাগর মোহনায় নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে