সীতাকুণ্ডে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সার

সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)
প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৬: ৩৮
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ০৯

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সার বিক্রিতে সরকারিভাবে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে নির্ধারিত সেই দামে সার বিক্রি না করার অভিযোগ করেছেন কৃষকেরা।

অভিযোগ রয়েছে, ডিলার ও সাব-ডিলাররা (খুচরা বিক্রেতা) সরকার নির্ধারিত দাম উপেক্ষা করে তাঁদের মনগড়া দামে সার বিক্রি করছেন। খুচরা বিক্রেতাদের দোকানে মূল্যতালিকা ঝুলিয়ে রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ডে ১০ জন ডিলার ও ১০০ জন সাব-ডিলার রয়েছেন। সার উত্তোলনের সময় বিসিআইসি প্রদত্ত টাকার রসিদ এবং কৃষকদের মধ্যে সার বিক্রির রসিদ উপজেলা কৃষি অফিসে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও ডিলাররা তা জমা দেন না।

সরকার কৃষক পর্যায়ে ইউরিয়ার দাম প্রতি কেজি ১৬ টাকা, টিএসপি ২২ টাকা ও এমপির (মিউরিয়েট অব পটাশ) দাম ১৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবে ডিলার ও সাব-ডিলাররা বেশি দামে সার বিক্রি করছেন।

কৃষক এরশাদ, হাতিলোটার জহিরুল ইসলাম, সৈয়দপুরের বোরহান ও আবুল কালামসহ কয়েকজন বলেন, ডিলার বা সাব-ডিলাররা দোকানে মূল্যতালিকা রাখেন না। এ কারণে তাঁরা সরকার কর্তৃক সারের নির্ধারিত দাম সম্পর্কে জানতে পারেন না। তাঁদের বেশি দামে সার কিনতে হয়। দোকানে মূল্য তালিকা নেই কেন জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সার বিক্রি না করার হুমকি দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের বোদ্দার পুকুরপাড় গ্রামের সাব-ডিলার গৌরাঙ্গ কুমার নাথ বলেন, ‘পরিবহন ও শ্রমিক খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। লোকসান পুষিয়ে নিতে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কিছু বেশি টাকায় সার বিক্রি করছি।’

তবে সৈয়দপুর ইউনিয়নের ডিলার মজিবুর রহমান ও বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের ডিলার নুর মোস্তফা দাবি করেন, ‘তাঁরা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যেই সার বিক্রি করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিব উল্লাহ বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত দামে ডিলার ও সাব-ডিলারদের সার বিক্রি করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাঁরা মানছেন না, তাঁদের চিহ্নিত করে লাইসেন্স বাতিল করা হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত