সম্পাদকীয়
২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত, তিন লাখের বেশি নারীর সম্ভ্রম এবং কোটি কোটি মানুষের অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীনতা অর্জন
করেছি। স্বাধীনতা লাভের ৫১ বছরে এবার আমরা পা রাখলাম। যাঁদের আত্মত্যাগের জন্য আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হওয়ার গৌরব অর্জন করেছি, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির একটি হিসাব করা যেতেই পারে।
পাকিস্তান রাষ্ট্র থেকে কেন বাঙালি জাতি বেরিয়ে আসার গরজ বোধ করেছিল? কেন স্বাধীনতার জন্য এত জীবন দান, এত ত্যাগ-তিতিক্ষা? কারণ, পাকিস্তান রাষ্ট্রটি বাঙালি জনগোষ্ঠীর আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারছিল না। দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রটি হয়ে উঠেছিল নিপীড়ক ও বৈষম্যমূলক। রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের মতামতের কোনো তোয়াক্কা করা হতো না। কারণ, পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছিল না। তার মানে পাকিস্তান রাষ্ট্রে কতগুলো মৌলিক বিষয়ের ঘাটতি বা অভাব ছিল।
এই অভাবগুলো দূর করার প্রত্যাশা থেকেই বাঙালির মধ্যে নতুন ভাবনার জন্ম নিতে থাকে। ক্রমাগত বঞ্চনার শিকার হয়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বৈরী মনোভাব তৈরি হতে থাকে। একপর্যায়ে এই উপলব্ধিও দৃঢ় হয় যে পাকিস্তানের কাঠামোর মধ্যে থেকে কোনো পরিবর্তন হওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সব সময়ই শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির জন্য লড়াই করেছেন। মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে তিনি সোচ্চার ছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে। সবার অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা-শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে।
বঙ্গবন্ধু যেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন আজকের বাংলাদেশ ঠিক সে পথে হাঁটছে কি না, তা নিয়ে বিতর্কের সুযোগ আছে। বঙ্গবন্ধু একটি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র চাননি কখনো। তবে মানুষের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা থাকবে না, সেটাও তাঁর কল্পনায় ছিল না। ধর্মনিরপেক্ষতার ভুল অথবা অপব্যাখ্যা দিয়ে একধরনের বিরুদ্ধ প্রচারণা চললেও বঙ্গবন্ধু তাঁর অবস্থান পরিবর্তন করেননি। কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশে একদিকে ধর্মীয় গোঁড়ামি বাড়ছে, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বাড়ছে, অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঘুষ-দুর্নীতি-অনিয়ম-অসদাচরণ।
স্বাধীনতার সুফল যেন সব মানুষের ঘরে পৌঁছায়, তার জন্য যেমন সুনির্দিষ্ট কর্ম-পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে, তেমনি কঠোর নজরদারির মধ্য দিয়ে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নও করতে হবে। কিছু মানুষের অনেক সম্পদ এবং বেশি মানুষ সম্পদহীন বা স্বল্প সম্পদের মালিক, এই অবস্থা বহাল রাখলে স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ হবে না।
স্বাধীনতাহীনতায় যেমন কেউ বাঁচতে চায় না, তেমনি এমন স্বাধীনতাও কেউ চায় না, যে স্বাধীনতা মানুষের অগ্রযাত্রা তথা বিকাশের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য রাজনীতিতে সব ধরনের উগ্র চিন্তা পরিহার করে উদারতার চর্চা বাড়ানোর অঙ্গীকার করতে হবে।
২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত, তিন লাখের বেশি নারীর সম্ভ্রম এবং কোটি কোটি মানুষের অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীনতা অর্জন
করেছি। স্বাধীনতা লাভের ৫১ বছরে এবার আমরা পা রাখলাম। যাঁদের আত্মত্যাগের জন্য আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হওয়ার গৌরব অর্জন করেছি, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির একটি হিসাব করা যেতেই পারে।
পাকিস্তান রাষ্ট্র থেকে কেন বাঙালি জাতি বেরিয়ে আসার গরজ বোধ করেছিল? কেন স্বাধীনতার জন্য এত জীবন দান, এত ত্যাগ-তিতিক্ষা? কারণ, পাকিস্তান রাষ্ট্রটি বাঙালি জনগোষ্ঠীর আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারছিল না। দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রটি হয়ে উঠেছিল নিপীড়ক ও বৈষম্যমূলক। রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের মতামতের কোনো তোয়াক্কা করা হতো না। কারণ, পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছিল না। তার মানে পাকিস্তান রাষ্ট্রে কতগুলো মৌলিক বিষয়ের ঘাটতি বা অভাব ছিল।
এই অভাবগুলো দূর করার প্রত্যাশা থেকেই বাঙালির মধ্যে নতুন ভাবনার জন্ম নিতে থাকে। ক্রমাগত বঞ্চনার শিকার হয়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বৈরী মনোভাব তৈরি হতে থাকে। একপর্যায়ে এই উপলব্ধিও দৃঢ় হয় যে পাকিস্তানের কাঠামোর মধ্যে থেকে কোনো পরিবর্তন হওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সব সময়ই শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির জন্য লড়াই করেছেন। মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে তিনি সোচ্চার ছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে। সবার অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা-শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে।
বঙ্গবন্ধু যেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন আজকের বাংলাদেশ ঠিক সে পথে হাঁটছে কি না, তা নিয়ে বিতর্কের সুযোগ আছে। বঙ্গবন্ধু একটি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র চাননি কখনো। তবে মানুষের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা থাকবে না, সেটাও তাঁর কল্পনায় ছিল না। ধর্মনিরপেক্ষতার ভুল অথবা অপব্যাখ্যা দিয়ে একধরনের বিরুদ্ধ প্রচারণা চললেও বঙ্গবন্ধু তাঁর অবস্থান পরিবর্তন করেননি। কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশে একদিকে ধর্মীয় গোঁড়ামি বাড়ছে, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বাড়ছে, অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঘুষ-দুর্নীতি-অনিয়ম-অসদাচরণ।
স্বাধীনতার সুফল যেন সব মানুষের ঘরে পৌঁছায়, তার জন্য যেমন সুনির্দিষ্ট কর্ম-পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে, তেমনি কঠোর নজরদারির মধ্য দিয়ে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নও করতে হবে। কিছু মানুষের অনেক সম্পদ এবং বেশি মানুষ সম্পদহীন বা স্বল্প সম্পদের মালিক, এই অবস্থা বহাল রাখলে স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ হবে না।
স্বাধীনতাহীনতায় যেমন কেউ বাঁচতে চায় না, তেমনি এমন স্বাধীনতাও কেউ চায় না, যে স্বাধীনতা মানুষের অগ্রযাত্রা তথা বিকাশের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য রাজনীতিতে সব ধরনের উগ্র চিন্তা পরিহার করে উদারতার চর্চা বাড়ানোর অঙ্গীকার করতে হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে