খুলনা প্রতিনিধি
পুলিশি বাধায় পূর্বনির্ধারিত ৪ ঘণ্টার রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে পারেননি পাটকলশ্রমিকেরা। গতকাল সকাল ১০টার দিকে নগরীর নতুন রাস্তার মোড়ে অবরোধের পরিবর্তে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছেন তাঁরা। উৎপাদন বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত খুলনার খালিশপুর, দৌলতপুর জুট মিল ও চট্টগ্রামের কেএফডি জুট মিল চালু করা এবং বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে শ্রমিকেরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
খালিশপুর-দৌলতপুর জুট মিল যৌথ কারখানা কমিটি এ কর্মসূচির ডাক দেয়। কারখানা কমিটির সভাপতি মো. মনির হোসেন মনি বলেন, সকাল সাড়ে নয়টায় নগরীর খালিশপুরে জুট মিল গেটে কর্মসূচি পালনে শ্রমিকেরা সমবেত হন। তাঁরা মিছিলসহ নতুন রাস্তা মোড়ের দিকে যেতে লাগলে পুলিশ দফায় দফায় তাঁদের বাধা দেয়।
কিন্তু খালিশপুরের বিআইডিসি রোডের কাশিপুর মোড়ে এলে পুলিশ কড়া পাহারা দিয়ে নারী-পুরুষ শ্রমিকদের ঘিরে রাখে। অবশেষে কাশিপুর মোড়ে অবরোধের পরিবর্তে প্রতিবাদ সমাবেশ করতে বাধ্য হন শ্রমিকেরা।
কাশিপুর মোড়ের প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কারখানা কমিটির সভাপতি ও সিবিএ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেন মনি এবং সঞ্চালনা করেন কমিটির সদস্য ডালিম কাজী। সমাবেশে বক্তব্য দেন পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের সদস্যসচিব এস এ রশীদ, গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা সমন্বয়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) খুলনা জেলা সভাপতি মো. মোজাম্মেল হক খান, শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য খুলনা জেলা সমন্বয়ক রুহুল আমিন, প্লাটিনাম জুট মিলের সাবেক সিবিএ নেতা মো. খলিলুর রহমান, কারখানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসেদ আলম শমসের, গণসংহতি আন্দোলন ফুলতলা উপজেলা আহ্বায়ক মো. অলিয়ার রহমান, ছাত্র ফেডারেশন খুলনা মহানগর আহ্বায়ক আল আমিন শেখ প্রমুখ।
অবরোধ করতে না দেওয়ায় এবং পুলিশ বারবার বাধা দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, সরকার পাটশিল্প ধ্বংস করে দেশি-বিদেশি গোষ্ঠীর হাতে জনগণের সম্পদ তুলে দিতে কুণ্ঠাবোধ করছে না। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে সরকার বিদেশি সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ওপর পরিপূর্ণ নির্ভরশীল। সরকার মহামারি করোনার সময়ে শ্রমিকদের পেটে লাথি মেরে ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে দিয়েছে।
ফলে প্রায় ৬০ হাজার স্থায়ী-অস্থায়ী-বদলি শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এসব কর্মহীন অভুক্ত শ্রমিকদের জীবন অনিশ্চিত ও দিশাহীন হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে সব পাটকল শ্রমিক সম্পূর্ণ প্রাপ্য বেতন থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। এতে তাঁদের স্ত্রী-পুত্র-কন্যাদের লালন-পালন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। পাটকল বন্ধের দুই বা তিন মাসের মধ্যেই শ্রমিক সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। পরিবারের বয়স্ক সদস্যরা স্ট্রোক, হার্ট, কিডনিসহ বিভিন্ন কঠিন রোগে আক্রান্ত। অথচ টাকার অভাবে এসব অসুস্থ সদস্যকে চিকিৎসা করানো যাচ্ছে না।
এমতাবস্থায় দফায় দফায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে শ্রমিক-কৃষকসহ খেটে খাওয়া মানুষের জীবন অচল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। সরকারসংশ্লিষ্ট অসাধু ব্যবসায়ীরাই অতিরিক্ত মুনাফালাভের জন্য দ্রব্যমূল্য সীমাহীন বৃদ্ধি করছেন। এসব লুটেরা ব্যবসায়ী সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করেন।
বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রের সব সম্পদ এ দেশের জনগণের। দেশের পাট শিল্পসহ সব খাতে চুরি-দুর্নীতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করছে। দুর্নীতিগ্রস্ত মন্ত্রী, সচিব, রাজনীতিবিদ ও বিজেএমসির কর্মকর্তা হাজার-হাজার কোটি টাকা লোপাট করছে। অসৎ উপায়ে অর্জিত টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেগমপাড়া বানাচ্ছে, অথচ সরকার দুর্নীতির শিরোপাধারীদের আটক ও বিচার করতে পারছে না।
অথচ সরকার শ্রমিকেরা তাঁদের ন্যায্য পাওনার জন্য রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করলে প্রশাসন দিয়ে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
পুলিশি বাধায় পূর্বনির্ধারিত ৪ ঘণ্টার রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে পারেননি পাটকলশ্রমিকেরা। গতকাল সকাল ১০টার দিকে নগরীর নতুন রাস্তার মোড়ে অবরোধের পরিবর্তে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছেন তাঁরা। উৎপাদন বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত খুলনার খালিশপুর, দৌলতপুর জুট মিল ও চট্টগ্রামের কেএফডি জুট মিল চালু করা এবং বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে শ্রমিকেরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
খালিশপুর-দৌলতপুর জুট মিল যৌথ কারখানা কমিটি এ কর্মসূচির ডাক দেয়। কারখানা কমিটির সভাপতি মো. মনির হোসেন মনি বলেন, সকাল সাড়ে নয়টায় নগরীর খালিশপুরে জুট মিল গেটে কর্মসূচি পালনে শ্রমিকেরা সমবেত হন। তাঁরা মিছিলসহ নতুন রাস্তা মোড়ের দিকে যেতে লাগলে পুলিশ দফায় দফায় তাঁদের বাধা দেয়।
কিন্তু খালিশপুরের বিআইডিসি রোডের কাশিপুর মোড়ে এলে পুলিশ কড়া পাহারা দিয়ে নারী-পুরুষ শ্রমিকদের ঘিরে রাখে। অবশেষে কাশিপুর মোড়ে অবরোধের পরিবর্তে প্রতিবাদ সমাবেশ করতে বাধ্য হন শ্রমিকেরা।
কাশিপুর মোড়ের প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কারখানা কমিটির সভাপতি ও সিবিএ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেন মনি এবং সঞ্চালনা করেন কমিটির সদস্য ডালিম কাজী। সমাবেশে বক্তব্য দেন পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের সদস্যসচিব এস এ রশীদ, গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা সমন্বয়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) খুলনা জেলা সভাপতি মো. মোজাম্মেল হক খান, শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য খুলনা জেলা সমন্বয়ক রুহুল আমিন, প্লাটিনাম জুট মিলের সাবেক সিবিএ নেতা মো. খলিলুর রহমান, কারখানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসেদ আলম শমসের, গণসংহতি আন্দোলন ফুলতলা উপজেলা আহ্বায়ক মো. অলিয়ার রহমান, ছাত্র ফেডারেশন খুলনা মহানগর আহ্বায়ক আল আমিন শেখ প্রমুখ।
অবরোধ করতে না দেওয়ায় এবং পুলিশ বারবার বাধা দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, সরকার পাটশিল্প ধ্বংস করে দেশি-বিদেশি গোষ্ঠীর হাতে জনগণের সম্পদ তুলে দিতে কুণ্ঠাবোধ করছে না। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে সরকার বিদেশি সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ওপর পরিপূর্ণ নির্ভরশীল। সরকার মহামারি করোনার সময়ে শ্রমিকদের পেটে লাথি মেরে ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে দিয়েছে।
ফলে প্রায় ৬০ হাজার স্থায়ী-অস্থায়ী-বদলি শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এসব কর্মহীন অভুক্ত শ্রমিকদের জীবন অনিশ্চিত ও দিশাহীন হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে সব পাটকল শ্রমিক সম্পূর্ণ প্রাপ্য বেতন থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। এতে তাঁদের স্ত্রী-পুত্র-কন্যাদের লালন-পালন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। পাটকল বন্ধের দুই বা তিন মাসের মধ্যেই শ্রমিক সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। পরিবারের বয়স্ক সদস্যরা স্ট্রোক, হার্ট, কিডনিসহ বিভিন্ন কঠিন রোগে আক্রান্ত। অথচ টাকার অভাবে এসব অসুস্থ সদস্যকে চিকিৎসা করানো যাচ্ছে না।
এমতাবস্থায় দফায় দফায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে শ্রমিক-কৃষকসহ খেটে খাওয়া মানুষের জীবন অচল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। সরকারসংশ্লিষ্ট অসাধু ব্যবসায়ীরাই অতিরিক্ত মুনাফালাভের জন্য দ্রব্যমূল্য সীমাহীন বৃদ্ধি করছেন। এসব লুটেরা ব্যবসায়ী সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করেন।
বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রের সব সম্পদ এ দেশের জনগণের। দেশের পাট শিল্পসহ সব খাতে চুরি-দুর্নীতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করছে। দুর্নীতিগ্রস্ত মন্ত্রী, সচিব, রাজনীতিবিদ ও বিজেএমসির কর্মকর্তা হাজার-হাজার কোটি টাকা লোপাট করছে। অসৎ উপায়ে অর্জিত টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেগমপাড়া বানাচ্ছে, অথচ সরকার দুর্নীতির শিরোপাধারীদের আটক ও বিচার করতে পারছে না।
অথচ সরকার শ্রমিকেরা তাঁদের ন্যায্য পাওনার জন্য রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করলে প্রশাসন দিয়ে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে