আজকের পত্রিকা: কেন একটি নতুন আয়কর আইন?
মো. আলমগীর হোসেন: আমাদের আয়কর আইনটি মূলত একটি অধ্যাদেশ। এটি প্রণীত হয়েছিল আজ থেকে ৩৬-৩৭ বছর আগে। এরপর দীর্ঘ সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে আমূল পরিবর্তন এসেছে। ব্যবসা ও লেনদেনের ধরন পরিবর্তিত হয়েছে। ব্যবসার বহুমুখীকরণ হয়েছে। রাজস্ব আয় ও করদাতার সংখ্যা বেড়েছে। একই সঙ্গে রাজস্ব ফাঁকির নতুন নতুন কৌশল চলে এসেছে। এ বিষয়গুলো আমরা প্রতিবছর অর্থবিলের মাধ্যমে হালনাগাদ করার চেষ্টা করি। এভাবে অসংখ্য সংশোধনীর ফলে আইনে বিপুল ধারা-উপধারার লেজ তৈরি হয়েছে। এতে জটিলতা বেড়েছে। করদাতারাও বিদ্যমান আইনে করভীতির মধ্যে থাকেন।
আজকের পত্রিকা: আইনটি বাংলায় সহজবোধ্য করা সম্ভব কি না?
মো. আলমগীর হোসেন: হাইকোর্টের বাধ্যবাধকতা রয়েছে যে, সমস্ত আইন বাংলায় রূপান্তর করতে হবে। কাজেই আমরাও শুধু অনুবাদ নয়; একটি নতুন আইনই বাংলায় করার পথে হেঁটেছি। বিদ্যমান আইন নিয়ে মানুষের অভিযোগ, আয়কর উপদেষ্টার নির্ভরতা কমাতে চাই। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক যেসব উত্তম চর্চা আছে, সেগুলো এখানে প্রয়োগ করা, অডিট কার্যক্রম স্বচ্ছ করা, কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছা ক্ষমতা রোধ, কর ফাঁকির কৌশল বন্ধ করাসহ সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই আমরা ঠিক করেছি, এমন একটি আইন করব, যা আগামী ৫০ বা ১০০ বছরের জন্য একটি উপযোগী হবে।
আজকের পত্রিকা: এ আইনের বিশেষত্ব কী?
মো. আলমগীর হোসেন: প্রস্তাবিত আয়কর আইনটি সময়োপযোগী আইন। এটি মানুষ সহজে বুঝতে পারবে। এখন ডিজিটাল যুগ, ই-পেমেন্ট, ই-ট্যাক্স চালু করার সময়। আইনের বিভিন্ন ব্যাখ্যায় নানান করহার নিয়ে জটিলতা কমানো দরকার। এসব কিছুতে একটা সংস্কার এনে নতুন কাঠামোতে নতুন আইনটি করা হচ্ছে। হয়তো অনেক ধারাই আগের ধারার সঙ্গে মিল আছে, যেগুলো করবিরোধী নয়। আবার নতুন করে কর আরোপও করা হয়নি নতুন আইনে।
আজকের পত্রিকা: ফাঁকি ধরার কী কৌশল নেওয়া হবে?
মো. আলমগীর হোসেন: আমরা বৈশ্বিক বিষয়গুলো পর্যালোচনা করেছি। ট্যাক্স ফাঁকি কমাতে ট্রান্সফার প্রাইসিংকে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর উপায় রেখেছি। থিন ট্রানজেকশনকে আরও স্বচ্ছতায় আনতে চাই। আসলে ফাঁকি হয়ে যাওয়ার পরে নয়, যাতে কর ফাঁকি না হয়, সেরকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে নতুন আইনে। মানুষ যাতে ফাঁকির পথে না যায়, সে জন্য নতুন ব্যাপক আইনে সংস্কার আনা হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: সফটওয়্যার ও অ্যাপভিত্তিক কিছু করা হবে কি না?
মো. আলমগীর হোসেন: ডিজিটাল ব্যবস্থাপনাটা নিশ্চিত করার জন্য যত ধরনের আইনি বিধান রাখা দরকার, তার সবই রাখা হয়েছে। সময়ের সঙ্গে আমরা চাইলে ডিজিটাল মাধ্যমের যেকোনো ধরনের ব্যবস্থাপনাটা করতে পারব। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে করদাতার পেমেন্টগুলো ব্যাংকিং চ্যানেলে বাধ্যবাধকতা থাকবে। তা ছাড়া গেল ৪-৫ বছরে কর ফাঁকি রোধে যত বিধান যুক্ত করা হয়েছে, সেগুলোও নতুন আইনে থাকছে।
আজকের পত্রিকা: নগদ লেনদেন ফাঁকির জায়গা। এটা বন্ধে কী ব্যবস্থা থাকবে?
মো. আলমগীর হোসেন: নগদ লেনদেন বন্ধে প্রতিনিয়ত বিধিবিধান যুক্ত করা হচ্ছে। এ অর্থবছরেই আমরা বলেছি, আপনি যদি ৫ লাখ টাকার বেশি কাঁচামালের সরবরাহ নেন, তবে তা অবশ্যই ব্যাংকিং চ্যানেলে যেতে হবে। এ রকম আরও কিছু বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। অনেকে ব্যাংককে পাশ কাটাতে চায়, আমরা বাধ্য করছি। স্যালারি পেমেন্টেও আমরা একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের জন্য ব্যাংকিং চ্যানেল বাধ্য করেছি। অনেকে ব্যাংকে নেই। তাই এ বছর আমরা বিকাশের মাধ্যমে ই-পেমেন্টের বিধান রেখেছি। মূল কথা সবাইকে একটা সিস্টেমে আসতে হবে।
আজকের পত্রিকা: ই-রিটার্ন দাখিল এবং স্বয়ংক্রিয় ফাইল অডিট করার কার্যক্রম কত দূর?
মো. আলমগীর হোসেন: অডিট সিস্টেমকে স্বয়ংক্রিয় করতে হলে রিটার্ন শতভাগ অনলাইনে পেতে হবে। আমরা এখন ২০ ভাগ রিটার্ন অনলাইনে পাচ্ছি, বাকি ৮০ ভাগ এর বাইরে। সেগুলো তো অটো সিলেকশন করা যাবে না। কাজেই অনলাইন রিটার্নের একটা মডিউল তৈরি করেছি। যার উইথ হোল্ডিং ট্যাক্স নেই, সে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে পারবে। অন্যরা পারবে না। কারণ উইথ হোল্ডিং সোর্সের সঙ্গে আমরা এখনো যুক্ত হতে পারিনি। তবে আমাদের ইটিডিএসে একটা পদ্ধতি আমরা ইতিমধ্যে চালু করেছি। এটি কাজ করছে। আমরা যখন সব উইথ হোল্ডিং ট্যাক্স ডিডাক্টিং অথোরিটিকে এ সিস্টেমে যুক্ত করতে পারব, তখন ই-ফাইলিং বা ই-রিটার্ন দাখিল সবার জন্য সহজ হবে। আমাদেরও তা মনিটরিং সহজ হবে। আমরা আশা করছি, অন্তত নভেম্বরের মধ্যে আইবাস ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমরা সংযুক্ত করে ফেলতে পারব।
আজকের পত্রিকা: কেন একটি নতুন আয়কর আইন?
মো. আলমগীর হোসেন: আমাদের আয়কর আইনটি মূলত একটি অধ্যাদেশ। এটি প্রণীত হয়েছিল আজ থেকে ৩৬-৩৭ বছর আগে। এরপর দীর্ঘ সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে আমূল পরিবর্তন এসেছে। ব্যবসা ও লেনদেনের ধরন পরিবর্তিত হয়েছে। ব্যবসার বহুমুখীকরণ হয়েছে। রাজস্ব আয় ও করদাতার সংখ্যা বেড়েছে। একই সঙ্গে রাজস্ব ফাঁকির নতুন নতুন কৌশল চলে এসেছে। এ বিষয়গুলো আমরা প্রতিবছর অর্থবিলের মাধ্যমে হালনাগাদ করার চেষ্টা করি। এভাবে অসংখ্য সংশোধনীর ফলে আইনে বিপুল ধারা-উপধারার লেজ তৈরি হয়েছে। এতে জটিলতা বেড়েছে। করদাতারাও বিদ্যমান আইনে করভীতির মধ্যে থাকেন।
আজকের পত্রিকা: আইনটি বাংলায় সহজবোধ্য করা সম্ভব কি না?
মো. আলমগীর হোসেন: হাইকোর্টের বাধ্যবাধকতা রয়েছে যে, সমস্ত আইন বাংলায় রূপান্তর করতে হবে। কাজেই আমরাও শুধু অনুবাদ নয়; একটি নতুন আইনই বাংলায় করার পথে হেঁটেছি। বিদ্যমান আইন নিয়ে মানুষের অভিযোগ, আয়কর উপদেষ্টার নির্ভরতা কমাতে চাই। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক যেসব উত্তম চর্চা আছে, সেগুলো এখানে প্রয়োগ করা, অডিট কার্যক্রম স্বচ্ছ করা, কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছা ক্ষমতা রোধ, কর ফাঁকির কৌশল বন্ধ করাসহ সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই আমরা ঠিক করেছি, এমন একটি আইন করব, যা আগামী ৫০ বা ১০০ বছরের জন্য একটি উপযোগী হবে।
আজকের পত্রিকা: এ আইনের বিশেষত্ব কী?
মো. আলমগীর হোসেন: প্রস্তাবিত আয়কর আইনটি সময়োপযোগী আইন। এটি মানুষ সহজে বুঝতে পারবে। এখন ডিজিটাল যুগ, ই-পেমেন্ট, ই-ট্যাক্স চালু করার সময়। আইনের বিভিন্ন ব্যাখ্যায় নানান করহার নিয়ে জটিলতা কমানো দরকার। এসব কিছুতে একটা সংস্কার এনে নতুন কাঠামোতে নতুন আইনটি করা হচ্ছে। হয়তো অনেক ধারাই আগের ধারার সঙ্গে মিল আছে, যেগুলো করবিরোধী নয়। আবার নতুন করে কর আরোপও করা হয়নি নতুন আইনে।
আজকের পত্রিকা: ফাঁকি ধরার কী কৌশল নেওয়া হবে?
মো. আলমগীর হোসেন: আমরা বৈশ্বিক বিষয়গুলো পর্যালোচনা করেছি। ট্যাক্স ফাঁকি কমাতে ট্রান্সফার প্রাইসিংকে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর উপায় রেখেছি। থিন ট্রানজেকশনকে আরও স্বচ্ছতায় আনতে চাই। আসলে ফাঁকি হয়ে যাওয়ার পরে নয়, যাতে কর ফাঁকি না হয়, সেরকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে নতুন আইনে। মানুষ যাতে ফাঁকির পথে না যায়, সে জন্য নতুন ব্যাপক আইনে সংস্কার আনা হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: সফটওয়্যার ও অ্যাপভিত্তিক কিছু করা হবে কি না?
মো. আলমগীর হোসেন: ডিজিটাল ব্যবস্থাপনাটা নিশ্চিত করার জন্য যত ধরনের আইনি বিধান রাখা দরকার, তার সবই রাখা হয়েছে। সময়ের সঙ্গে আমরা চাইলে ডিজিটাল মাধ্যমের যেকোনো ধরনের ব্যবস্থাপনাটা করতে পারব। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে করদাতার পেমেন্টগুলো ব্যাংকিং চ্যানেলে বাধ্যবাধকতা থাকবে। তা ছাড়া গেল ৪-৫ বছরে কর ফাঁকি রোধে যত বিধান যুক্ত করা হয়েছে, সেগুলোও নতুন আইনে থাকছে।
আজকের পত্রিকা: নগদ লেনদেন ফাঁকির জায়গা। এটা বন্ধে কী ব্যবস্থা থাকবে?
মো. আলমগীর হোসেন: নগদ লেনদেন বন্ধে প্রতিনিয়ত বিধিবিধান যুক্ত করা হচ্ছে। এ অর্থবছরেই আমরা বলেছি, আপনি যদি ৫ লাখ টাকার বেশি কাঁচামালের সরবরাহ নেন, তবে তা অবশ্যই ব্যাংকিং চ্যানেলে যেতে হবে। এ রকম আরও কিছু বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। অনেকে ব্যাংককে পাশ কাটাতে চায়, আমরা বাধ্য করছি। স্যালারি পেমেন্টেও আমরা একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের জন্য ব্যাংকিং চ্যানেল বাধ্য করেছি। অনেকে ব্যাংকে নেই। তাই এ বছর আমরা বিকাশের মাধ্যমে ই-পেমেন্টের বিধান রেখেছি। মূল কথা সবাইকে একটা সিস্টেমে আসতে হবে।
আজকের পত্রিকা: ই-রিটার্ন দাখিল এবং স্বয়ংক্রিয় ফাইল অডিট করার কার্যক্রম কত দূর?
মো. আলমগীর হোসেন: অডিট সিস্টেমকে স্বয়ংক্রিয় করতে হলে রিটার্ন শতভাগ অনলাইনে পেতে হবে। আমরা এখন ২০ ভাগ রিটার্ন অনলাইনে পাচ্ছি, বাকি ৮০ ভাগ এর বাইরে। সেগুলো তো অটো সিলেকশন করা যাবে না। কাজেই অনলাইন রিটার্নের একটা মডিউল তৈরি করেছি। যার উইথ হোল্ডিং ট্যাক্স নেই, সে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে পারবে। অন্যরা পারবে না। কারণ উইথ হোল্ডিং সোর্সের সঙ্গে আমরা এখনো যুক্ত হতে পারিনি। তবে আমাদের ইটিডিএসে একটা পদ্ধতি আমরা ইতিমধ্যে চালু করেছি। এটি কাজ করছে। আমরা যখন সব উইথ হোল্ডিং ট্যাক্স ডিডাক্টিং অথোরিটিকে এ সিস্টেমে যুক্ত করতে পারব, তখন ই-ফাইলিং বা ই-রিটার্ন দাখিল সবার জন্য সহজ হবে। আমাদেরও তা মনিটরিং সহজ হবে। আমরা আশা করছি, অন্তত নভেম্বরের মধ্যে আইবাস ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমরা সংযুক্ত করে ফেলতে পারব।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে