সেলিম হায়দার, তালা
একটা সময়ে এমন অনেক মৎস্যজীবী ছিলেন যারা জলমহাল (সরকারি খাস জলাশয়) থেকে বঞ্চিত ছিল। অমৎস্যজীবী ও প্রভাবশালীদের দখলে ছিল বিভিন্ন জলমহাল। তখন মৎস্যজীবীরা অন্যের মৎস্য ঘেরে কিংবা সরকারি জলমহালে মাছ আহরণ করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করতেন। বর্তমানে তাঁরা বিস্তীর্ণ জলমহালের মালিক। সেখান থেকে আহরিত মাছ বিক্রি করে চলছে তাঁদের সংসার। এর মধ্য দিয়ে জীবিকার বন্দোবস্তের পাশাপাশি বদলে গেছে সাতক্ষীরা ও খুলনার তিন শতাধিক মৎস্যজীবীর ভাগ্য।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণের সহযোগিতায় ১৫টি মৎস্যজীবী সংগঠনের সদস্যরা প্রায় ২০৩ একর জলমহাল পরিচালনা করছেন। সংস্থার ‘আমার প্রকল্প’-এর আওতায় তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করার পাশাপাশি সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন। সাতক্ষীরা জেলার তালা, শ্যামনগর, খুলনার জেলার ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের জলমহালে মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী তাঁরা।
এ নিয়ে কথা হয় তালা উপজেলার কৈখালী গ্রামের সুদর্শন মন্ডল, মাদ্রা গ্রামের সমীরণ বিশ্বাস, সরজিত বিশ্বাসসহ বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবীর সঙ্গে। তাঁরা জানান, তাঁদের সবাই ছিলেন দরিদ্র। বিস্তীর্ণ জনপদের গ্রামের পর গ্রাম চিংড়ি চাষের আওতায় চলে যাওয়ায় এক সময় ভাটা পড়ে উন্মুক্ত মৎস্য আহরণে। প্রাকৃতিক মাছের আঁধারগুলো ক্রমান্বয়ে চলে যায় ব্যক্তি মালিকানায়। মৎস্যজীবী হয়েও নদীতে মাছ ধরতে না পেরে তাঁদের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থা।
এদিকে সরকারি জলমহাল নীতিমালা ২০০৯ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়ে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে তালার উত্তরণের একদল উদ্যমী কর্মী। শুরু হয় সমবায় সমিতি গঠনের প্রক্রিয়া। পরে সবার সহযোগিতায় গড়ে ওঠে মৎস্যজীবী সংগঠন।
উত্তরণের ‘আমার প্রকল্প’-এর সমন্বয়কারী জাহিন শামস বলেন, ‘১৫ ভূমিহীন মৎস্যজীবী সংগঠনের অধিকাংশ রেজিস্ট্রেশনে, সরকারি জলমহাল টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে উত্তরণ-আমার প্রকল্প আর্থিকভাবে সহায়তা করে। ফলে মৎস্যজীবী সংগঠনগুলি সরকারি জলমহালের টেন্ডার পায়। সেই থেকে সংস্থাটির হাতে ১৬টি জলমহাল রয়েছে। আর ১৫ ভূমিহীন মৎস্যজীবী সংগঠনের ৩১২ জন সদস্য ২০২ দশমিক ৯১ একর জলমহাল পরিচালনা করছেন।’
তালা উপজেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি গণেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, বেশ কয়েকটি সংগঠন রেজিস্ট্রেশনে উত্তরণ-আমার প্রকল্প আর্থিকভাবে সহায়তা করে। একপর্যায়ে মৎস্যজীবী সংগঠনগুলি সরকারি জলমহালের টেন্ডার নিতে শুরু করে। সেই থেকে শুরু হয় তাদের নতুন পথচলার।’
তালা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমান বলেন, উত্তরণের সহযোগিতায় সম্মিলিতভাবে তিন শতাধিক মৎস্যজীবী জলমহাল ইজারা নিয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি সন্তানদের পড়ালেখা চালাচ্ছেন। ছোট ছোট ধার-দেনা পরিশোধ করতে পারছেন। তাদের সংসারে ফিরে এসেছে সচ্ছলতা।’
একটা সময়ে এমন অনেক মৎস্যজীবী ছিলেন যারা জলমহাল (সরকারি খাস জলাশয়) থেকে বঞ্চিত ছিল। অমৎস্যজীবী ও প্রভাবশালীদের দখলে ছিল বিভিন্ন জলমহাল। তখন মৎস্যজীবীরা অন্যের মৎস্য ঘেরে কিংবা সরকারি জলমহালে মাছ আহরণ করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করতেন। বর্তমানে তাঁরা বিস্তীর্ণ জলমহালের মালিক। সেখান থেকে আহরিত মাছ বিক্রি করে চলছে তাঁদের সংসার। এর মধ্য দিয়ে জীবিকার বন্দোবস্তের পাশাপাশি বদলে গেছে সাতক্ষীরা ও খুলনার তিন শতাধিক মৎস্যজীবীর ভাগ্য।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণের সহযোগিতায় ১৫টি মৎস্যজীবী সংগঠনের সদস্যরা প্রায় ২০৩ একর জলমহাল পরিচালনা করছেন। সংস্থার ‘আমার প্রকল্প’-এর আওতায় তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করার পাশাপাশি সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন। সাতক্ষীরা জেলার তালা, শ্যামনগর, খুলনার জেলার ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের জলমহালে মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী তাঁরা।
এ নিয়ে কথা হয় তালা উপজেলার কৈখালী গ্রামের সুদর্শন মন্ডল, মাদ্রা গ্রামের সমীরণ বিশ্বাস, সরজিত বিশ্বাসসহ বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবীর সঙ্গে। তাঁরা জানান, তাঁদের সবাই ছিলেন দরিদ্র। বিস্তীর্ণ জনপদের গ্রামের পর গ্রাম চিংড়ি চাষের আওতায় চলে যাওয়ায় এক সময় ভাটা পড়ে উন্মুক্ত মৎস্য আহরণে। প্রাকৃতিক মাছের আঁধারগুলো ক্রমান্বয়ে চলে যায় ব্যক্তি মালিকানায়। মৎস্যজীবী হয়েও নদীতে মাছ ধরতে না পেরে তাঁদের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থা।
এদিকে সরকারি জলমহাল নীতিমালা ২০০৯ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়ে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে তালার উত্তরণের একদল উদ্যমী কর্মী। শুরু হয় সমবায় সমিতি গঠনের প্রক্রিয়া। পরে সবার সহযোগিতায় গড়ে ওঠে মৎস্যজীবী সংগঠন।
উত্তরণের ‘আমার প্রকল্প’-এর সমন্বয়কারী জাহিন শামস বলেন, ‘১৫ ভূমিহীন মৎস্যজীবী সংগঠনের অধিকাংশ রেজিস্ট্রেশনে, সরকারি জলমহাল টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে উত্তরণ-আমার প্রকল্প আর্থিকভাবে সহায়তা করে। ফলে মৎস্যজীবী সংগঠনগুলি সরকারি জলমহালের টেন্ডার পায়। সেই থেকে সংস্থাটির হাতে ১৬টি জলমহাল রয়েছে। আর ১৫ ভূমিহীন মৎস্যজীবী সংগঠনের ৩১২ জন সদস্য ২০২ দশমিক ৯১ একর জলমহাল পরিচালনা করছেন।’
তালা উপজেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি গণেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, বেশ কয়েকটি সংগঠন রেজিস্ট্রেশনে উত্তরণ-আমার প্রকল্প আর্থিকভাবে সহায়তা করে। একপর্যায়ে মৎস্যজীবী সংগঠনগুলি সরকারি জলমহালের টেন্ডার নিতে শুরু করে। সেই থেকে শুরু হয় তাদের নতুন পথচলার।’
তালা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমান বলেন, উত্তরণের সহযোগিতায় সম্মিলিতভাবে তিন শতাধিক মৎস্যজীবী জলমহাল ইজারা নিয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি সন্তানদের পড়ালেখা চালাচ্ছেন। ছোট ছোট ধার-দেনা পরিশোধ করতে পারছেন। তাদের সংসারে ফিরে এসেছে সচ্ছলতা।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে