রেজা করিম, ঢাকা
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে মাঠ দখলের লড়াইয়ে নিজেদের সরব উপস্থিতির জানান দিচ্ছে ১৬ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। মাঠের লড়াইয়ের আবহ দলটির নেতা-কর্মীদের মনে ‘এবার কিছু একটা হলেও হতে পারে’—এমন আশার সঞ্চার করেছে। তবে মাঠের চিত্র আর ঘরের চিত্রে মিল তেমন না থাকায় আশঙ্কাও আছে দলের অনেকের মনে। বলা হচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিএনপির নেতৃত্বের দুর্বলতার পাশাপাশি হাইকমান্ডের নেতাদের পরস্পরের প্রতি আস্থাহীনতা, সন্দেহ ও বোঝাপড়ার ঘাটতি দূর না হওয়ায় এই আশঙ্কা। একই সঙ্গে সময়ের আগে মাঠ গরম করতে গিয়ে শক্তিক্ষয়ের আশঙ্কা এবং নির্বাচনী ফাঁদ টপকে বিএনপি কতখানি আগে বাড়বে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে দলের ভেতরে।
‘বিএনপি ঘুরে দাঁড়িয়েছে’, মন্তব্য করে দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিএনপির আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। দলের নেতা-কর্মীরা এখন অনেক বেশি সক্রিয়। কর্মসূচিতে আগের চেয়ে লোকসমাগম বাড়ার পাশাপাশি জনগণের সমর্থনও বাড়ছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার সামর্থ্য বিএনপির আছে।
দীর্ঘদিন প্রায় নীরব থাকার পর গত বছরের মাঝামাঝি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে শুরু করে বিএনপি। পরবর্তী সময়ে জনভোগান্তিসহ নানা বিষয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা-থানা পর্যায়ে কর্মসূচি বিস্তৃত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা মহানগরের ১৭টি স্থানে সমাবেশ করে। এরপরই দেশের মহানগর পর্যায়ে গণসমাবেশের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে শুরু হয়ে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে।
সম্প্রতি গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে তিনি বলেন, গত আগস্ট থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে এই পর্যন্ত দলের পাঁচজন নেতা-কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ২ হাজার ৭৬৮ জন। এই সময়ে ২৯৪ জন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৭৫টি মামলায় অন্তত ২৫ হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক কর্মসূচিতে মোটাদাগে সরকারের পতন ঘটানো এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। এসব কর্মসূচির মূল্যায়ন করতে গিয়ে নানা বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা বলছেন, মাঠের কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের গরম বক্তৃতায় কর্মীরা উজ্জীবিত হচ্ছেন। নেতাদের কথায় ভরসা করে দলের কর্মীরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় থেকে কর্মসূচি সফল করে চলেছেন। আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলা-মামলাকে পরোয়া না করে আঘাতের পাল্টা জবাব দিচ্ছেন। গ্রেপ্তার হচ্ছেন। মামলা হচ্ছে। প্রাণও গেছে কয়েকজনের। কিন্তু যাঁদের কথার ওপর ভর করে কর্মীরা ত্যাগ স্বীকার করছেন, তাঁদের সিদ্ধান্ত এবং কর্মপরিকল্পনায় নতুনত্ব কিছু আসছে না, যা হতাশাজনক। তাঁদের বক্তব্য, নাওয়া-খাওয়া ভুলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একেকজন কর্মী অপেক্ষা করেন, সমাবেশ সফল করেন। অথচ দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর নতুন কোনো দিকনির্দেশনা না পেয়েই ফিরে যান। নেতাদের বক্তব্যও অনেকটা একঘেয়ে মনে হয়।
এ প্রসঙ্গে দলের মধ্যম সারির এক নেতা বলেন, এমনিতেই দলে নেতৃত্বের দুর্বলতা আছে। দলের চেয়ারপারসন অসুস্থ। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রবাসে। তাঁরা থেকেও নেই। দেশে যারা সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁরা একে অপরকে সন্দেহ করেন। কে কার লোক, সেই চিন্তায় ব্যস্ত থাকেন। আবার অনেকে আছেন, যাঁরা ব্যস্ত থাকেন নিজেকে তুলে ধরতে।
সম্প্রতি রাজধানীতে এক সমাবেশে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াতের গোপন সম্পর্ক চলছে বলে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তাঁর ওই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এক ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক কী হবে বা হতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য আসেনি, সেখানে এই ধরনের মন্তব্য করে দলের কী লাভ হলো বুঝলাম না।’
যদিও বাস্তবতা আড়াল করে দলটির নীতিনির্ধারকেরা বরাবরের মতোই বলে যাচ্ছেন—বিএনপি এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী এবং সংগঠিত। যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে লক্ষ্য অর্জনের সামর্থ্য আছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে মাঠ দখলের লড়াইয়ে নিজেদের সরব উপস্থিতির জানান দিচ্ছে ১৬ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। মাঠের লড়াইয়ের আবহ দলটির নেতা-কর্মীদের মনে ‘এবার কিছু একটা হলেও হতে পারে’—এমন আশার সঞ্চার করেছে। তবে মাঠের চিত্র আর ঘরের চিত্রে মিল তেমন না থাকায় আশঙ্কাও আছে দলের অনেকের মনে। বলা হচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিএনপির নেতৃত্বের দুর্বলতার পাশাপাশি হাইকমান্ডের নেতাদের পরস্পরের প্রতি আস্থাহীনতা, সন্দেহ ও বোঝাপড়ার ঘাটতি দূর না হওয়ায় এই আশঙ্কা। একই সঙ্গে সময়ের আগে মাঠ গরম করতে গিয়ে শক্তিক্ষয়ের আশঙ্কা এবং নির্বাচনী ফাঁদ টপকে বিএনপি কতখানি আগে বাড়বে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে দলের ভেতরে।
‘বিএনপি ঘুরে দাঁড়িয়েছে’, মন্তব্য করে দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিএনপির আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। দলের নেতা-কর্মীরা এখন অনেক বেশি সক্রিয়। কর্মসূচিতে আগের চেয়ে লোকসমাগম বাড়ার পাশাপাশি জনগণের সমর্থনও বাড়ছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার সামর্থ্য বিএনপির আছে।
দীর্ঘদিন প্রায় নীরব থাকার পর গত বছরের মাঝামাঝি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে শুরু করে বিএনপি। পরবর্তী সময়ে জনভোগান্তিসহ নানা বিষয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা-থানা পর্যায়ে কর্মসূচি বিস্তৃত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা মহানগরের ১৭টি স্থানে সমাবেশ করে। এরপরই দেশের মহানগর পর্যায়ে গণসমাবেশের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে শুরু হয়ে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে।
সম্প্রতি গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে তিনি বলেন, গত আগস্ট থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে এই পর্যন্ত দলের পাঁচজন নেতা-কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ২ হাজার ৭৬৮ জন। এই সময়ে ২৯৪ জন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৭৫টি মামলায় অন্তত ২৫ হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক কর্মসূচিতে মোটাদাগে সরকারের পতন ঘটানো এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। এসব কর্মসূচির মূল্যায়ন করতে গিয়ে নানা বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা বলছেন, মাঠের কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের গরম বক্তৃতায় কর্মীরা উজ্জীবিত হচ্ছেন। নেতাদের কথায় ভরসা করে দলের কর্মীরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় থেকে কর্মসূচি সফল করে চলেছেন। আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলা-মামলাকে পরোয়া না করে আঘাতের পাল্টা জবাব দিচ্ছেন। গ্রেপ্তার হচ্ছেন। মামলা হচ্ছে। প্রাণও গেছে কয়েকজনের। কিন্তু যাঁদের কথার ওপর ভর করে কর্মীরা ত্যাগ স্বীকার করছেন, তাঁদের সিদ্ধান্ত এবং কর্মপরিকল্পনায় নতুনত্ব কিছু আসছে না, যা হতাশাজনক। তাঁদের বক্তব্য, নাওয়া-খাওয়া ভুলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একেকজন কর্মী অপেক্ষা করেন, সমাবেশ সফল করেন। অথচ দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর নতুন কোনো দিকনির্দেশনা না পেয়েই ফিরে যান। নেতাদের বক্তব্যও অনেকটা একঘেয়ে মনে হয়।
এ প্রসঙ্গে দলের মধ্যম সারির এক নেতা বলেন, এমনিতেই দলে নেতৃত্বের দুর্বলতা আছে। দলের চেয়ারপারসন অসুস্থ। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রবাসে। তাঁরা থেকেও নেই। দেশে যারা সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁরা একে অপরকে সন্দেহ করেন। কে কার লোক, সেই চিন্তায় ব্যস্ত থাকেন। আবার অনেকে আছেন, যাঁরা ব্যস্ত থাকেন নিজেকে তুলে ধরতে।
সম্প্রতি রাজধানীতে এক সমাবেশে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াতের গোপন সম্পর্ক চলছে বলে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তাঁর ওই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এক ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক কী হবে বা হতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য আসেনি, সেখানে এই ধরনের মন্তব্য করে দলের কী লাভ হলো বুঝলাম না।’
যদিও বাস্তবতা আড়াল করে দলটির নীতিনির্ধারকেরা বরাবরের মতোই বলে যাচ্ছেন—বিএনপি এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী এবং সংগঠিত। যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে লক্ষ্য অর্জনের সামর্থ্য আছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে