নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নগরীতে নালায় পড়ে সবজি ব্যবসায়ী ছালেহ আহমেদের (৫০) তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) দায়ী করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটি। গত সোমবার বিভাগীয় কমিশনারের কাছে এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. মিজানুর রহমান।
এতে বলা হয়, জলাবদ্ধতা নিরসনের সিডিএর বাস্তবায়নাধীন চলমান প্রকল্পটি জন্য নালার স্ল্যাবগুলো ভাঙা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেসব ভাঙা অংশে নিরাপত্তামূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে নাগরিকদের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। এ প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকেও সেখানে নিরাপত্তামূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর দায় এড়াতে পারেন না সংস্থাটি। এসব কারণে উভয় সংস্থাকে এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে কোনো সুপারিশ উল্লেখ করা হয়নি জানিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, এই দুর্ঘটনার জন্য কারা দায়ী—শুধুমাত্র তা চিহ্নিত করা। পরে সরেজমিনে পরিদর্শনসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা ও তদন্তের পর দুর্ঘটনার জন্য সিডিএ ও চসিক দায়ী বলে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।’
গত ২৫ আগস্ট নগরের মুরাদপুর মোড়ে পা পিছলে পড়ে তলিয়ে যান সবজি বিক্রেতা ছালেহ আহমেদ। সে সময় বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে ছিল। নালায় পড়ে যাওয়ার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দুই সপ্তাহ ধরে অনুসন্ধান চালিয়েও ছালেহ আহমেদের খোঁজ পায়নি।
এর আগে ঘটনাটি দুঃখজনক উল্লেখ করে তা তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারকে নির্দেশনা দিয়েছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছিল। মন্ত্রিপরিষদের চিঠি পাওয়ার পর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে গত ২ অক্টোবর সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়।
শুধু ছালেহ আহমেদ নয় গত পাঁচ মাসে নগরীতে জলাবদ্ধতার কারণে উন্মুক্ত নালায় পড়ে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন চারজন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। গত ৩০ জুন নগরীর চশমা খালে যাত্রীভর্তি সিএনজি পড়ে যায়, মারা যান এক নারী ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। সর্বশেষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর নগরীর আগ্রাবাদে খোলা নালায় পড়ে গিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়ার মৃত্যু হয়েছে।
নগরী পানিতে তলিয়ে গেলে কোথায় ফুটপাত, কোথায় নালা আর কোথায় সড়ক তা বোঝার উপায় থাকে না। অনেক খাল এবং নালার ওপর স্ল্যাব নেই, নেই কোনো বিপদসূচক চিহ্ন, জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজের কারণে প্রায় সব খালের পাড় অরক্ষিত। খালের পাশে দেয়াল বা লোহার বেষ্টনী কিছুই নেই। জলাবদ্ধতা হলে পথচারীরা বুঝতেই পারেন না—কোথায় খাল, কোথায় নালা। ফলে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন তাঁরা।
একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও চসিক ও সিডিএ—কেউ এর দায় নিচ্ছে না। উল্টো একে অপরকে দায়ী করে। এই সংস্থা দুটির এমন ভূমিকায় নগরীর বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। এটা নিয়ে গত ২৬ আগস্ট দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘এভাবে মৃত্যুর দায় নেবে কে?’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।
নগরীতে নালায় পড়ে সবজি ব্যবসায়ী ছালেহ আহমেদের (৫০) তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) দায়ী করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটি। গত সোমবার বিভাগীয় কমিশনারের কাছে এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. মিজানুর রহমান।
এতে বলা হয়, জলাবদ্ধতা নিরসনের সিডিএর বাস্তবায়নাধীন চলমান প্রকল্পটি জন্য নালার স্ল্যাবগুলো ভাঙা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেসব ভাঙা অংশে নিরাপত্তামূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে নাগরিকদের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। এ প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকেও সেখানে নিরাপত্তামূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর দায় এড়াতে পারেন না সংস্থাটি। এসব কারণে উভয় সংস্থাকে এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে কোনো সুপারিশ উল্লেখ করা হয়নি জানিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, এই দুর্ঘটনার জন্য কারা দায়ী—শুধুমাত্র তা চিহ্নিত করা। পরে সরেজমিনে পরিদর্শনসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা ও তদন্তের পর দুর্ঘটনার জন্য সিডিএ ও চসিক দায়ী বলে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।’
গত ২৫ আগস্ট নগরের মুরাদপুর মোড়ে পা পিছলে পড়ে তলিয়ে যান সবজি বিক্রেতা ছালেহ আহমেদ। সে সময় বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে ছিল। নালায় পড়ে যাওয়ার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দুই সপ্তাহ ধরে অনুসন্ধান চালিয়েও ছালেহ আহমেদের খোঁজ পায়নি।
এর আগে ঘটনাটি দুঃখজনক উল্লেখ করে তা তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারকে নির্দেশনা দিয়েছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছিল। মন্ত্রিপরিষদের চিঠি পাওয়ার পর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে গত ২ অক্টোবর সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়।
শুধু ছালেহ আহমেদ নয় গত পাঁচ মাসে নগরীতে জলাবদ্ধতার কারণে উন্মুক্ত নালায় পড়ে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন চারজন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। গত ৩০ জুন নগরীর চশমা খালে যাত্রীভর্তি সিএনজি পড়ে যায়, মারা যান এক নারী ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। সর্বশেষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর নগরীর আগ্রাবাদে খোলা নালায় পড়ে গিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়ার মৃত্যু হয়েছে।
নগরী পানিতে তলিয়ে গেলে কোথায় ফুটপাত, কোথায় নালা আর কোথায় সড়ক তা বোঝার উপায় থাকে না। অনেক খাল এবং নালার ওপর স্ল্যাব নেই, নেই কোনো বিপদসূচক চিহ্ন, জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজের কারণে প্রায় সব খালের পাড় অরক্ষিত। খালের পাশে দেয়াল বা লোহার বেষ্টনী কিছুই নেই। জলাবদ্ধতা হলে পথচারীরা বুঝতেই পারেন না—কোথায় খাল, কোথায় নালা। ফলে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন তাঁরা।
একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও চসিক ও সিডিএ—কেউ এর দায় নিচ্ছে না। উল্টো একে অপরকে দায়ী করে। এই সংস্থা দুটির এমন ভূমিকায় নগরীর বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। এটা নিয়ে গত ২৬ আগস্ট দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘এভাবে মৃত্যুর দায় নেবে কে?’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে