জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় সড়কে বেপরোয়াভাবে চলছে চাষাবাদের জন্য আমদানি করা ট্রাক্টর। বেপরোয়া গতির এসব যানের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ইতিমধ্যে অনেকে আহত হচ্ছেন। মৃত্যুর শঙ্কা নিয়ে পথ চলতে হচ্ছে পথচারীদের। সড়কে চলতে এসব ট্রাক্টরের নেই কোনো অনুমতি।

উপজেলা প্রশাসন বলছে, এসব অবৈধ গাড়ি বন্ধে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

জানা গেছে, কৃষি উন্নয়নের কাজে ব্যবহারের জন্য এসব ট্রাক্টর বিদেশ থেকে আমদানির সুযোগ দেয় সরকার। মহাসড়কে পণ্য বা অন্যান্য সামগ্রী বহনের কোনো অনুমতি নেই। কিন্তু প্রায়ই দেখা যায় ইটভাটার ইট, বালু বা মাটি পরিবহন করা হচ্ছে এসব ট্রাক্টর দিয়ে। উপজেলায় কতগুলো ট্রাক্টর আছে তার সঠিক হিসেব না থাকলে রাস্তায় প্রায়ই এসব ট্রাক্টর দেখা যায়।

সরেজমিনে উপজেলার নয়ানগর, শ্যামপুর, ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, কয়েক মিনিট পর পরই মাটি, বালু ও ইট বোঝাই করা ট্রাক্টর বেপরোয়া গতিতে চলাচল করছে। অতিরিক্ত ট্রাক্টর চলাচলের কারণে গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ভেঙে যাচ্ছে।

জামালপুর-ইসলামপুর মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে বিভিন্ন ইটভাটার ইট, মাটি, বালু নিয়ে এসব ট্রাক্টর চলাচল করছে। এদিকে ভাবকি-রায়গঞ্জ সড়কে ও বেপরোয়া গতিতে চলছে ট্রাক্টর। এসব ট্রাক্টর চালক চালকদের নেই কোনো প্রশিক্ষণ। বেশির ভাগ ১৪-১৭ বছরের কিশোর এসব ট্রাক্টর চালাচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছেন এ সব ট্রাক্টরের কারণে রাস্তা ঘাট ভাঙছে, প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। ট্রাক্টরের ধাক্কায় মারাও গেছেন কয়েকজন। তা ছাড়া বেপরোয়া গতিতে চলাচলের কারণে অনেক ধুলাবালিতে এখন রাস্তায় রেব হওয়া যাচ্ছে না।

ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের ভাগবাড়ী এলাকায় কৃষক জালাল উদ্দিন বলেন, কিছু আগে ভাগবাড়ী স্কুলের পাশেই এই গাড়ির (ট্রাক্টর) ধাক্কায় আহত হয়েছিলেন দুজন। অটোরিকশা গাড়ি রাস্তায় পাশে দাঁড়িয়েছিল পেছন থেকে ট্রাক্টর গাড়ি ধাক্কা দিয়ে অটোরিকশাসহ দোকান ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ে। এ রকম প্রায় সময় ঘটে দুর্ঘটনা।

শ্যামপুর ডেফাল এলাকার একজন পথচারী বলেন, এসব ট্রাক্টরের জন্য রাস্তায় রেব হতেই ভয় করে। ড্রাইভারদের নেই কোনো প্রশিক্ষণ। বেশিরভাগ ড্রাইভারে কম বয়সী ছেলে (কিশোর)। এই সব অবৈধ কাজের জন্য খুব কষ্টেই আছি। এসব অবৈধ গাড়ি দ্রুত বন্ধের দাবি জানাই।

ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নে পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইদুল ইসলাম লিটু বলেন, এ সব ট্রাক্টরের চালকদের নেই কোনো প্রশিক্ষণ। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুল ইসলাম বলেন, এসব অবৈধ গাড়ি বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।