কুলাউড়ায় দাখিল পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র দিতে ২৩ মিনিট বিলম্বের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি উপজেলার মনসুর মোহাম্মদীয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের। ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা একই উপজেলার শ্রীপুর জালালীয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও দাখিল পরীক্ষার্থী। এতে ফলাফল বিপর্যয়ের আশঙ্কায় পড়েছে পরীক্ষার্থীরা।

এদিকে বিষয়টি তদন্ত করে সুষ্ঠু ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে সোমবার একটি লিখিত অভিযোগ করে পরীক্ষার্থীরা। 
অভিযোগ ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, গত রোববার দাখিল পরীক্ষাকেন্দ্র মনসুর মোহাম্মদীয়া ফাজিল মাদ্রাসার ৩ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা দিতে যায় পরীক্ষার্থীরা। ওই দিন দাখিল কোরআন মাজিদ পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শুরুর সময় সকাল ১০টার দিকে এমসিকিউ (শর্ট প্রশ্ন) দেওয়া হয়। ১৫ মিনিট পরে আবার সেটি নিয়ে যাওয়া হয়। তখন লিখিত পরীক্ষার খাতা দেওয়া হলেও প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়নি।

২৩ মিনিট পর প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। তখন কর্তৃপক্ষ তাদের সময় বাড়িয়ে দেওয়ার সান্ত্বনা দেয়। কিন্তু পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ে আবার খাতাগুলো নিয়ে যাওয়া হয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। এ সময় পরীক্ষার্থীরা বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে আরও কিছু সময় চাইলে তাদের সে সুযোগ দেওয়া হয়নি।

মো. আবুল হাজালাত, মো. রেদওয়ানুল হক রাহেল ও আশরাফুল ইসলামসহ একাধিক পরীক্ষার্থীরা জানান, ওই কেন্দ্রে ৩৮ জন পরীক্ষার্থী ছিল। নির্ধারিত সময়ের ২৩ মিনিট পরে প্রশ্নপত্র দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে হল সুপারসহ কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেন বিলম্ব সময় পুষিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ে খাতা নেন হলের দায়িত্বরত শিক্ষকেরা। 
বিলম্বের কারণে পাশের উত্তরও লিখতে পারেনি অনেকে। তখন পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্র সচিব এ এইচ এম বজলুল রহমানের কাছে গিয়ে অনেক অনুরোধ করলেও তিনি কোনো সুরাহা দেননি। বিষয়টি মাদ্রাসার সুপারসহ সবাইকে জানায় তারা। এমন অবস্থায় ফলাফল বিপর্যয়ের আশঙ্কায় পড়েছে পরীক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব এ এইচ এম বজলুল রহমানের মুঠোফোনে সোমবার যোগাযোগ করা হলে তাঁর স্ত্রী কল রিসিভ করে বলেন, ‘আমার স্বামী ভুলে বাড়িতে মোবাইল রেখে গেছেন।’ 
ইউএনও এটি এম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’