প্রদীপ কুমার গোস্বামী, মিঠাপুকুর
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাদুকরী সম্মোহন ক্ষমতার অধিকারি এবং প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টিতে ভরা দার্শনিক নেতা ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন সাংসদ এইচ এন আশিকুর রহমান। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
মিঠাপুকুরের সাংসদ আশিকুর বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষের হৃদয়ের ভাষা পড়তে পারতেন। এই শক্তিই ছিল তাঁর ভালোবাসা ও রাজনীতির নিয়ামক। তাঁর এক ভাষণেই সাড়ে ৭ কোটি মানুষ কঠিন একতায় আবদ্ধ হয়ে সম্পূর্ণ অনিশ্চয়তার মধ্যে শুধু ভরসা ও বিশ্বাসে খালি হাতে লড়াই করে ছিনিয়ে এনেছে স্বাধীনতা। এমন অনন্য ইতিহাস দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া যাবে না।
সাংসদ আশিকুর জানান, বঙ্গবন্ধু কলমের এক খোঁচায় ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করে শিক্ষকদের দিয়েছেন মর্যাদা ও জীবিকার নিশ্চয়তা, যাতে শিক্ষকসমাজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে শিক্ষাদান করতে পারে। বঙ্গবন্ধু সমুদ্র আইন করেছিলেন ১৯৭৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এর অনেক পর ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের উদ্যোগে সমুদ্র আইন নিয়ে কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।
আশিকুর রহমান বলেন, ‘এই আইনের বলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনি লড়াই করে ২০১৪ সালে সমুদ্রের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। আমরা ফিরে পেয়েছি অপার সমুদ্র।’
বঙ্গবন্ধু সংবিধান, দেশময় শিক্ষা, দেশীয় সম্পদ আহরণ, স্বাধীনতার অদম্য প্রেরণা ও দেশব্যাপী সমতার ভিত্তিতে ‘ওয়ান বাংলাদেশ’ নির্মাণের ভিত্তি রচনা করেছিলেন উল্লেখ করে সাংসদ আশিকুর বলেন, ‘রাষ্ট্র গঠন ও পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুর সময় ছিল সংক্ষিপ্ত। পাকিস্তানের দোসর ও মানবতার ঘৃণিত শত্রুরা অগ্রযাত্রা ও সোনার বাংলাদেশ গঠন স্তব্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মম নিষ্ঠুরতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। শিশু রাসেলও হায়েনাদের হত্যাযজ্ঞ থেকে রক্ষা পায়নি। বিদেশে থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচেছিলেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।’
সাংসদ আশিকুর আরও বলেন, ‘১৯৭৫ পরবর্তী ইতিহাস অন্ধকারের ইতিহাস। এটা ছিল গণতন্ত্র ও দেশপ্রেমের বুলির মোড়কের অন্তরালে স্বাধীনতা হরণের ইতিহাস। কিন্তু ইতিহাসের গতিপথ রুদ্ধ হয়নি বরং শেখ হাসিনা হয়ে উঠলেন বাংলাদেশের আশীর্বাদ। তিনি জরাজীর্ণ তলাবিহীন ঝুড়ি খ্যাত বাংলাদেশের দায়িত্ব নিলেন। তিনি তাঁর বাবার রচিত ভিত্তির ওপর যোগ করলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ। তৃণমূলে নিয়ে গেলেন বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানমনস্কতা, শিক্ষা ব্যবস্থা, প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, নিরাপত্তাবলয় এবং সবার জন্য গৃহায়ন, স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্যের নিশ্চয়তা। এসবই বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের বাস্তবতা।’
আশিকুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এককালের তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা, শঙ্কা ও তাচ্ছিল্যের দৃষ্টি আজ অপসৃত হয়েছে। বিশ্ব সভায় সমীহ করার দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। এককথায় বলা যায় উদীয়মান, মানবিক, শক্তিশালী ও স্বাচ্ছন্দ্যের রাষ্ট্র বাংলাদেশ।
সাংসদ আশিকুর আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উৎপাদন সম্ভাবনার সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে আছে। উৎপাদনের সীমারেখার শেষ প্রান্তে যেতে হবে। ভিশন ২০৪১ আমাদের হাতছানি দিচ্ছে। কিন্তু আমরা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। জাতীয় আয় এবং মাথাপিছু আয়ের স্থিতি এবং ক্রমবৃদ্ধির ধারা সচল রাখতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন মানবসম্পদ সূচকে উন্নয়ন। শুধু কয়েকটি দেশের ওপর নির্ভরশীলতা ও অদক্ষ শ্রমিক রপ্তানির ওপর নির্ভর করা ঠিক হবে না।’
সাংসদ আশিকুরের মতে, রপ্তানিতে ৮০ শতাংশ পোশাকশিল্পের ওপর নির্ভরতার বদলে এ ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনতে এবং বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা, জলোচ্ছ্বাসসহ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
আশিকুর রহমান বলেন, ‘বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিব শতবর্ষে আমাদের সবার অঙ্গীকার অসহায় গরিব মানুষের সেবা করা। এটাই হোক আমাদের একমাত্র ব্রত।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাদুকরী সম্মোহন ক্ষমতার অধিকারি এবং প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টিতে ভরা দার্শনিক নেতা ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন সাংসদ এইচ এন আশিকুর রহমান। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
মিঠাপুকুরের সাংসদ আশিকুর বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষের হৃদয়ের ভাষা পড়তে পারতেন। এই শক্তিই ছিল তাঁর ভালোবাসা ও রাজনীতির নিয়ামক। তাঁর এক ভাষণেই সাড়ে ৭ কোটি মানুষ কঠিন একতায় আবদ্ধ হয়ে সম্পূর্ণ অনিশ্চয়তার মধ্যে শুধু ভরসা ও বিশ্বাসে খালি হাতে লড়াই করে ছিনিয়ে এনেছে স্বাধীনতা। এমন অনন্য ইতিহাস দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া যাবে না।
সাংসদ আশিকুর জানান, বঙ্গবন্ধু কলমের এক খোঁচায় ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করে শিক্ষকদের দিয়েছেন মর্যাদা ও জীবিকার নিশ্চয়তা, যাতে শিক্ষকসমাজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে শিক্ষাদান করতে পারে। বঙ্গবন্ধু সমুদ্র আইন করেছিলেন ১৯৭৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এর অনেক পর ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের উদ্যোগে সমুদ্র আইন নিয়ে কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।
আশিকুর রহমান বলেন, ‘এই আইনের বলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনি লড়াই করে ২০১৪ সালে সমুদ্রের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। আমরা ফিরে পেয়েছি অপার সমুদ্র।’
বঙ্গবন্ধু সংবিধান, দেশময় শিক্ষা, দেশীয় সম্পদ আহরণ, স্বাধীনতার অদম্য প্রেরণা ও দেশব্যাপী সমতার ভিত্তিতে ‘ওয়ান বাংলাদেশ’ নির্মাণের ভিত্তি রচনা করেছিলেন উল্লেখ করে সাংসদ আশিকুর বলেন, ‘রাষ্ট্র গঠন ও পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুর সময় ছিল সংক্ষিপ্ত। পাকিস্তানের দোসর ও মানবতার ঘৃণিত শত্রুরা অগ্রযাত্রা ও সোনার বাংলাদেশ গঠন স্তব্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মম নিষ্ঠুরতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। শিশু রাসেলও হায়েনাদের হত্যাযজ্ঞ থেকে রক্ষা পায়নি। বিদেশে থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচেছিলেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।’
সাংসদ আশিকুর আরও বলেন, ‘১৯৭৫ পরবর্তী ইতিহাস অন্ধকারের ইতিহাস। এটা ছিল গণতন্ত্র ও দেশপ্রেমের বুলির মোড়কের অন্তরালে স্বাধীনতা হরণের ইতিহাস। কিন্তু ইতিহাসের গতিপথ রুদ্ধ হয়নি বরং শেখ হাসিনা হয়ে উঠলেন বাংলাদেশের আশীর্বাদ। তিনি জরাজীর্ণ তলাবিহীন ঝুড়ি খ্যাত বাংলাদেশের দায়িত্ব নিলেন। তিনি তাঁর বাবার রচিত ভিত্তির ওপর যোগ করলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ। তৃণমূলে নিয়ে গেলেন বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানমনস্কতা, শিক্ষা ব্যবস্থা, প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, নিরাপত্তাবলয় এবং সবার জন্য গৃহায়ন, স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্যের নিশ্চয়তা। এসবই বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের বাস্তবতা।’
আশিকুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এককালের তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা, শঙ্কা ও তাচ্ছিল্যের দৃষ্টি আজ অপসৃত হয়েছে। বিশ্ব সভায় সমীহ করার দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। এককথায় বলা যায় উদীয়মান, মানবিক, শক্তিশালী ও স্বাচ্ছন্দ্যের রাষ্ট্র বাংলাদেশ।
সাংসদ আশিকুর আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উৎপাদন সম্ভাবনার সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে আছে। উৎপাদনের সীমারেখার শেষ প্রান্তে যেতে হবে। ভিশন ২০৪১ আমাদের হাতছানি দিচ্ছে। কিন্তু আমরা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। জাতীয় আয় এবং মাথাপিছু আয়ের স্থিতি এবং ক্রমবৃদ্ধির ধারা সচল রাখতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন মানবসম্পদ সূচকে উন্নয়ন। শুধু কয়েকটি দেশের ওপর নির্ভরশীলতা ও অদক্ষ শ্রমিক রপ্তানির ওপর নির্ভর করা ঠিক হবে না।’
সাংসদ আশিকুরের মতে, রপ্তানিতে ৮০ শতাংশ পোশাকশিল্পের ওপর নির্ভরতার বদলে এ ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনতে এবং বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা, জলোচ্ছ্বাসসহ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
আশিকুর রহমান বলেন, ‘বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিব শতবর্ষে আমাদের সবার অঙ্গীকার অসহায় গরিব মানুষের সেবা করা। এটাই হোক আমাদের একমাত্র ব্রত।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে