ক্রীড়া ডেস্ক
ফুটবল গোলের খেলা—অধিক ব্যবহারে কথাটা ক্লিশে মনে হলেও সত্যি। আর গোল করার নেপথ্যে নায়ক হলেন স্ট্রাইকাররা। স্ট্রাইকারদের সক্রিয় থাকার ক্ষেত্রে ফিটনেস ও বয়সকে বড় ক্রীড়নক ভাবা হয়। তবে গত কয়েক বছরে যে স্ট্রাইকার দাপট দেখাচ্ছেন, তাঁদের দিকে তাকালে ভিন্ন এক বার্তা পাওয়া যাবে। একটা সময় যখন টগবগে তরুণেরা স্ট্রাইকার হিসেবে ভূমিকা রাখতেন, সেখানে এখন গোধূলিবেলায় পৌঁছানো স্ট্রাইকারদের দাপট দেখা যাচ্ছে।
সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শক্তি ও ফিটনেস হ্রাস পেতে থাকে। কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি নানা ধরনের চোটও দেখা যেতে শুরু করে। সব মিলিয়ে ৩০ পেরোনো সাধারণ মানুষ তো বটেই, এলিট খেলোয়াড়দের জন্য এটা একটা রূঢ় বাস্তবতা। এরপরও ক্রাইও চেম্বারস (কোল্ড থেরাপি) আর প্লাসেন্টা থেরাপিস্টের যুগে অধিক বয়সী গোলমেশিনদেরই অধিক কার্যকর দেখা যাচ্ছে।
রবার্ট লেভানডফস্কি (৩৩) চ্যাম্পিয়নস লিগ ও বুন্দেসলিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা। চিরো ইম্মোবিলে (৩২) সিরি ‘আ’র সর্বোচ্চ গোলদাতা। করিম বেনজেমা (৩৪) লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং উইসাম বেন ইয়েদের (৩১) লিগ ওয়ানের সর্বোচ্চ গোলদাতা। প্রশ্ন হচ্ছে, পড়ন্ত বেলায়ও এই ফরোয়ার্ড কীভাবে এত কার্যকর?
বয়স ২০-এর ঘরে থাকার সময়ই মূলত নিজেদের সেরা সময়ে থাকে অ্যাথলেটরা। প্রাণশক্তিতে ভরপুর খেলোয়াড়েরা এ সময় দারুণ ছন্দেও থাকেন। নব্বইয়ের দশকে প্রিমিয়ার লিগের দিকে তাকালেই এ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যাবে। অ্যান্ডি কোল প্রিমিয়ার লিগের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে তিনি ৪১ গোল করেন ২৩ বছর বয়সে। কিন্তু ৩০ পেরোনোর পর নিজের ধার হারিয়ে ফেলেন তিনি। মাইকেল ওয়েন ২৪ বছর বয়সে লিভারপুলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ গোল করেছিলেন। এরপর এই সংখ্যা আর বাড়াতে পারেননি। রবি ফাওলার ৩৬ গোল করেছিলেন ২১ বছর বয়সে। ৩০ পেরোনোর পর এই লিভারপুল কিংবদন্তি আর দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। প্রিমিয়ার লিগের সর্বকালের অন্যতম সেরা গোলদাতা অ্যালেন শিয়ারার এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৩৪ গোল করেছিলেন ২৪ বছর বয়সে।
প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়দের সঙ্গে পারফরম্যান্স-বর্ধক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করা নিক গ্রান্থাম বলেন, ‘তরুণ খেলোয়াড়দের পক্ষে আছে প্রকৃতিগতভাবে পাওয়া কিছু বিষয়—গতি, শক্তি, দক্ষতা ও সহনশীলতা। এসব তাদের দুর্দান্ত কিছু করতে সহায়তা করে। এরপর বয়স বাড়ার সঙ্গে তাদের ক্ষিপ্রতা কমে আসে। সেরা খেলোয়াড়দের প্রতি তিন-চার দিন পরপর মাঠে নামতে হয় এবং সেখানে নিজেদের উজাড় করে দিতে হয়। এটা কাটিয়ে সেরে ওঠা বেশ চ্যালেঞ্জিং।
মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, গতি, শট এবং হেডের মূল্য খেলোয়াড়দের দিতে হয়। যেখান থেকে দীর্ঘমেয়াদি চোটও সৃষ্টি হয়।’ সাউদাম্পটনের পারফরম্যান্সের সায়েন্সের সাবেক পরিচালক মো গিম্পেল বললেন, ‘তরুণ বয়সের হালকা চোট বয়স বাড়লে মারাত্মক সমস্যা হিসেবে দেখা দিতে পারে।’
এত কিছুর পরও এখন এসে অধিক বয়সী খেলোয়াড়েরা আলো ছড়াচ্ছে কীভাবে? বিজ্ঞানের অগ্রগতি খেলোয়াড়দের বয়সের প্রভাব না পড়তে দিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের কোচরা এসব বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিকে গ্রহণ করে খেলোয়াড়দের সেভাবে প্রস্তুত করছেন এবং তাঁদের শরীরের ডাক শোনার পরামর্শ দিচ্ছেন। যেমন ম্যাচের পর ক্রাইও চেম্বার (কোল্ড থেরাপি) ব্যবহার করে খেলোয়াড়েরা দারুণভাবে চাঙা হয়ে উঠছেন।
আধুনিক ফুটবলাররা যেসব একাডেমি থেকে বেরোচ্ছেন, সেখানে তাঁদের ফিটনেস ও পুষ্টি নিয়ে দারুণভাবে জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে। আগে যেখানে খেলোয়াড়েরা একজোট হয়ে পার্টি করতে যেতেন, সেখানে এখন তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অনুশীলন খুঁটিনাটি ও ডায়েট পরিকল্পনা ভাগাভাগি করছেন। খেলোয়াড়েরা এখন আগের যেকোনো সময়ের অধিক পেশাদার। গ্রান্থাম বলেন, ‘আধুনিক ফুটবলাররা, বিশেষ করে স্ট্রাইকাররা এখন সত্যিকার অর্থেই অ্যাথলেট। ৩০ বছর বয়সেও স্ট্রাইকারদের এমন ছন্দে থাকার থাকার পেছনে মূলত ভূমিকা রাখছে স্পোর্টস সায়েন্স। প্রথম দিন থেকেই পুষ্টি ও শারীরিক প্রস্তুতি তাদের জীবনধারার অংশ।’
এই সময়ে ৩০ পেরোনো ফুটবলারদের জীবনযাত্রার দিকে তাকালে পুষ্টি ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের প্রমাণ মিলবে। আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর স্বাস্থ্য সচেতনতা তো এখন গল্পকথায় রূপ নিয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত করতে হবে এই তারকাদের অদম্য গোলক্ষুধা ও ভালো করার তাড়না। এটি প্রতিনিয়ত তাঁদের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।
ফুটবল গোলের খেলা—অধিক ব্যবহারে কথাটা ক্লিশে মনে হলেও সত্যি। আর গোল করার নেপথ্যে নায়ক হলেন স্ট্রাইকাররা। স্ট্রাইকারদের সক্রিয় থাকার ক্ষেত্রে ফিটনেস ও বয়সকে বড় ক্রীড়নক ভাবা হয়। তবে গত কয়েক বছরে যে স্ট্রাইকার দাপট দেখাচ্ছেন, তাঁদের দিকে তাকালে ভিন্ন এক বার্তা পাওয়া যাবে। একটা সময় যখন টগবগে তরুণেরা স্ট্রাইকার হিসেবে ভূমিকা রাখতেন, সেখানে এখন গোধূলিবেলায় পৌঁছানো স্ট্রাইকারদের দাপট দেখা যাচ্ছে।
সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শক্তি ও ফিটনেস হ্রাস পেতে থাকে। কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি নানা ধরনের চোটও দেখা যেতে শুরু করে। সব মিলিয়ে ৩০ পেরোনো সাধারণ মানুষ তো বটেই, এলিট খেলোয়াড়দের জন্য এটা একটা রূঢ় বাস্তবতা। এরপরও ক্রাইও চেম্বারস (কোল্ড থেরাপি) আর প্লাসেন্টা থেরাপিস্টের যুগে অধিক বয়সী গোলমেশিনদেরই অধিক কার্যকর দেখা যাচ্ছে।
রবার্ট লেভানডফস্কি (৩৩) চ্যাম্পিয়নস লিগ ও বুন্দেসলিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা। চিরো ইম্মোবিলে (৩২) সিরি ‘আ’র সর্বোচ্চ গোলদাতা। করিম বেনজেমা (৩৪) লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং উইসাম বেন ইয়েদের (৩১) লিগ ওয়ানের সর্বোচ্চ গোলদাতা। প্রশ্ন হচ্ছে, পড়ন্ত বেলায়ও এই ফরোয়ার্ড কীভাবে এত কার্যকর?
বয়স ২০-এর ঘরে থাকার সময়ই মূলত নিজেদের সেরা সময়ে থাকে অ্যাথলেটরা। প্রাণশক্তিতে ভরপুর খেলোয়াড়েরা এ সময় দারুণ ছন্দেও থাকেন। নব্বইয়ের দশকে প্রিমিয়ার লিগের দিকে তাকালেই এ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যাবে। অ্যান্ডি কোল প্রিমিয়ার লিগের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে তিনি ৪১ গোল করেন ২৩ বছর বয়সে। কিন্তু ৩০ পেরোনোর পর নিজের ধার হারিয়ে ফেলেন তিনি। মাইকেল ওয়েন ২৪ বছর বয়সে লিভারপুলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ গোল করেছিলেন। এরপর এই সংখ্যা আর বাড়াতে পারেননি। রবি ফাওলার ৩৬ গোল করেছিলেন ২১ বছর বয়সে। ৩০ পেরোনোর পর এই লিভারপুল কিংবদন্তি আর দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। প্রিমিয়ার লিগের সর্বকালের অন্যতম সেরা গোলদাতা অ্যালেন শিয়ারার এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৩৪ গোল করেছিলেন ২৪ বছর বয়সে।
প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়দের সঙ্গে পারফরম্যান্স-বর্ধক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করা নিক গ্রান্থাম বলেন, ‘তরুণ খেলোয়াড়দের পক্ষে আছে প্রকৃতিগতভাবে পাওয়া কিছু বিষয়—গতি, শক্তি, দক্ষতা ও সহনশীলতা। এসব তাদের দুর্দান্ত কিছু করতে সহায়তা করে। এরপর বয়স বাড়ার সঙ্গে তাদের ক্ষিপ্রতা কমে আসে। সেরা খেলোয়াড়দের প্রতি তিন-চার দিন পরপর মাঠে নামতে হয় এবং সেখানে নিজেদের উজাড় করে দিতে হয়। এটা কাটিয়ে সেরে ওঠা বেশ চ্যালেঞ্জিং।
মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, গতি, শট এবং হেডের মূল্য খেলোয়াড়দের দিতে হয়। যেখান থেকে দীর্ঘমেয়াদি চোটও সৃষ্টি হয়।’ সাউদাম্পটনের পারফরম্যান্সের সায়েন্সের সাবেক পরিচালক মো গিম্পেল বললেন, ‘তরুণ বয়সের হালকা চোট বয়স বাড়লে মারাত্মক সমস্যা হিসেবে দেখা দিতে পারে।’
এত কিছুর পরও এখন এসে অধিক বয়সী খেলোয়াড়েরা আলো ছড়াচ্ছে কীভাবে? বিজ্ঞানের অগ্রগতি খেলোয়াড়দের বয়সের প্রভাব না পড়তে দিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের কোচরা এসব বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিকে গ্রহণ করে খেলোয়াড়দের সেভাবে প্রস্তুত করছেন এবং তাঁদের শরীরের ডাক শোনার পরামর্শ দিচ্ছেন। যেমন ম্যাচের পর ক্রাইও চেম্বার (কোল্ড থেরাপি) ব্যবহার করে খেলোয়াড়েরা দারুণভাবে চাঙা হয়ে উঠছেন।
আধুনিক ফুটবলাররা যেসব একাডেমি থেকে বেরোচ্ছেন, সেখানে তাঁদের ফিটনেস ও পুষ্টি নিয়ে দারুণভাবে জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে। আগে যেখানে খেলোয়াড়েরা একজোট হয়ে পার্টি করতে যেতেন, সেখানে এখন তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অনুশীলন খুঁটিনাটি ও ডায়েট পরিকল্পনা ভাগাভাগি করছেন। খেলোয়াড়েরা এখন আগের যেকোনো সময়ের অধিক পেশাদার। গ্রান্থাম বলেন, ‘আধুনিক ফুটবলাররা, বিশেষ করে স্ট্রাইকাররা এখন সত্যিকার অর্থেই অ্যাথলেট। ৩০ বছর বয়সেও স্ট্রাইকারদের এমন ছন্দে থাকার থাকার পেছনে মূলত ভূমিকা রাখছে স্পোর্টস সায়েন্স। প্রথম দিন থেকেই পুষ্টি ও শারীরিক প্রস্তুতি তাদের জীবনধারার অংশ।’
এই সময়ে ৩০ পেরোনো ফুটবলারদের জীবনযাত্রার দিকে তাকালে পুষ্টি ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের প্রমাণ মিলবে। আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর স্বাস্থ্য সচেতনতা তো এখন গল্পকথায় রূপ নিয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত করতে হবে এই তারকাদের অদম্য গোলক্ষুধা ও ভালো করার তাড়না। এটি প্রতিনিয়ত তাঁদের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে