নাফিসা চৌধুরী, সংস্কৃতিকর্মী
সকাল ৭টা। ঘুম থেকে উঠে চা বানাচ্ছি, অফিসে যেতে হবে ১০টার মধ্যে। আজ একটু আগেই উঠেছি। কারণ কাপড় ধুতে হবে। কিছু জায়গায় অনলাইনে একটা খুব পরিচিত অ্যাপ থেকে আবেদন করছি, ভালো কোনো চাকরি পেলে এই চাকরিটা ছেড়ে দেব। এই চাকরি ছাড়ার প্রথম কারণ হলো বেতন। কাজের তুলনায় বেতন যা দিচ্ছে তাতে মাস শেষে খুব টানাটানিতে পড়ে যাই। পরিবেশ ভালো, তাই এখানেই চাকরি করছি এত দিন ধরে।
কাপড় ভিজিয়ে রেখে চা নিয়ে বসলাম আর তখনই মোবাইলে অচেনা নম্বর থেকে কল। কল রিসিভ করার পর বুঝতে পারলাম একটা প্রাইভেট কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ পদের জন্য আবেদন করেছিলাম, সেখান থেকে এইচআর (হিউম্যান রিসোর্স অফিসার) নিজেই কল করেছেন। ফোনে নাকি প্রাথমিক ইন্টারভিউ হবে, এরপর প্রাথমিক বাছাই হয়ে গেলে অফিসে ডাকবেন। আমিও খুব গুরুত্ব দিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করি। কিন্তু ৭-৮ মিনিট পরেই বুঝতে পারলাম কোনো সমস্যা আছে, ফোনের রেকর্ডিং অন করে কথা বলতে থাকলাম। আমাকে প্রথমে ইন্টারভিউ নেওয়া হলো সিনিয়র এক্সিকিউটিভের জন্য। আমার নাম বৃত্তান্ত, বর্তমান চাকরি ছাড়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হলো। তাঁর কথা শুনে মনে হচ্ছিল আমার বুঝি চাকরি হয়েই গেছে।
কিন্তু ৭-৮ মিনিট পর তিনি জিজ্ঞেস করলেন, আমি এই সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ছাড়া তাঁদের কোম্পানির আরেকটা অফার দেখেছি কি না। আমি এ কথা শুনে আবার অ্যাপে ঢুকে চেক করলাম। দেখলাম এক চাকরির বিজ্ঞাপনের শেষে আরেকটা অফার আছে, কিন্তু সেটা আলাদা করে দেওয়া নেই। তাই আমি খেয়াল করিনি। এই এইচআরের পরিচয় দেওয়া ভদ্রলোকের বস ছয় মাস দেশে থাকেন আর ছয় মাস দেশের বাইরে। তাঁর দুজন পিএ (পারসোনাল সেক্রেটারি) প্রয়োজন। একজনের কাজ হবে ডকুমেন্টেশনের কাজ করা, অন্যজনের কাজ বসের সঙ্গে সবখানে যাওয়া-আসা করা। যেকোনো মিটিং বা পার্টিতে বসের সঙ্গে যাওয়া লাগবে, বেতন ৬০ হাজারের ওপর। সময়ের শুধু ঠিক থাকবে না ছয় মাস, রাত ১১টা বা ১২টাও বাজতে পারে বাড়ি ফিরতে। জানালাম, ডকুমেন্টেশনের কাজটা করতে পারি, তবে বসের সঙ্গে কোথাও যাওয়ার কাজটা করতে পারব না। তিনি আমাকে প্রায় ২০ মিনিটের মতো বোঝালেন যে এই যুগে এটা কোনো ব্যাপারই না, আর বড় বড় কোম্পানির মালিকদের আনঅফিশিয়াল বউ বা গার্লফ্রেন্ড লাগেই। আর মেয়েদের জন্যও নাকি এটা অনেক বড় সুযোগ। কোনো কথা দেওয়ার ঝামেলা নেই, থাকা-খাওয়া, কেনাকাটা ফ্রি আর বেতন তো থাকছেই। এত্ত সুবিধা পেলে অল্প সময়েই নাকি ভাগ্য খুলে যায়। মিউচুয়ালি এসব অফারে অনেক শিক্ষিত বা বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া মেয়েরা এ ধরনের চাকরির অফার লুফে নিচ্ছেন। তার আগের পিএ যে মেয়েটা ছিল, সে নাকি চিট করেছে (ধোঁকা দিয়েছে)। এ জন্য তাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।
আমি ইচ্ছে করেই এ কথাগুলো শুনছিলাম। দেখতে চাইছিলাম, এই এইচআরের অফিসার মহাশয় কোন পর্যন্ত গিয়ে থামেন। দীর্ঘ ৪০ মিনিটের কথোপকথনের মাঝে তিনি এরই মধ্যে আমার ডাকনাম ধরে তুমি করেও কথা বলে ফেলেছেন। শেষে আমি তাঁকে জানালাম যে আমি ভেবে এরপর ফোন করব। এ কথা শুনেই তিনি সুন্দর করে আপনিতে ফিরে গেলেন এবং এত কথার জন্য কিছু মনে না করতে বললেন। আর বললেন, হোয়াটসঅ্যাপে আমার একটা ফুল ছবি মানে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখা যায়—এমন একটা ছবি পাঠাতে। কেননা, সিভিতে পাসপোর্ট সাইজ ছবি দেওয়া। আমি তাঁকে এবার প্রশ্ন করলাম, চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে কি কোথাও বলা আছে কি না ব্যক্তিগতভাবে পূর্ণ ছবি দেওয়ার কথা? এতে তিনি দ্রুত বললেন, ‘না, না, এমন কিছু বলা নেই, আপনি ভালো থাকবেন, ধন্যবাদ’ বলেই লাইন কেটে দিলেন। আর আমি সেই রেকর্ডিং আমার কয়েকজন কাছের মানুষের কাছে পাঠালাম আমার এই অদ্ভুত ইন্টারভিউর অভিজ্ঞতা জানাতে।
সকাল ৭টা। ঘুম থেকে উঠে চা বানাচ্ছি, অফিসে যেতে হবে ১০টার মধ্যে। আজ একটু আগেই উঠেছি। কারণ কাপড় ধুতে হবে। কিছু জায়গায় অনলাইনে একটা খুব পরিচিত অ্যাপ থেকে আবেদন করছি, ভালো কোনো চাকরি পেলে এই চাকরিটা ছেড়ে দেব। এই চাকরি ছাড়ার প্রথম কারণ হলো বেতন। কাজের তুলনায় বেতন যা দিচ্ছে তাতে মাস শেষে খুব টানাটানিতে পড়ে যাই। পরিবেশ ভালো, তাই এখানেই চাকরি করছি এত দিন ধরে।
কাপড় ভিজিয়ে রেখে চা নিয়ে বসলাম আর তখনই মোবাইলে অচেনা নম্বর থেকে কল। কল রিসিভ করার পর বুঝতে পারলাম একটা প্রাইভেট কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ পদের জন্য আবেদন করেছিলাম, সেখান থেকে এইচআর (হিউম্যান রিসোর্স অফিসার) নিজেই কল করেছেন। ফোনে নাকি প্রাথমিক ইন্টারভিউ হবে, এরপর প্রাথমিক বাছাই হয়ে গেলে অফিসে ডাকবেন। আমিও খুব গুরুত্ব দিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করি। কিন্তু ৭-৮ মিনিট পরেই বুঝতে পারলাম কোনো সমস্যা আছে, ফোনের রেকর্ডিং অন করে কথা বলতে থাকলাম। আমাকে প্রথমে ইন্টারভিউ নেওয়া হলো সিনিয়র এক্সিকিউটিভের জন্য। আমার নাম বৃত্তান্ত, বর্তমান চাকরি ছাড়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হলো। তাঁর কথা শুনে মনে হচ্ছিল আমার বুঝি চাকরি হয়েই গেছে।
কিন্তু ৭-৮ মিনিট পর তিনি জিজ্ঞেস করলেন, আমি এই সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ছাড়া তাঁদের কোম্পানির আরেকটা অফার দেখেছি কি না। আমি এ কথা শুনে আবার অ্যাপে ঢুকে চেক করলাম। দেখলাম এক চাকরির বিজ্ঞাপনের শেষে আরেকটা অফার আছে, কিন্তু সেটা আলাদা করে দেওয়া নেই। তাই আমি খেয়াল করিনি। এই এইচআরের পরিচয় দেওয়া ভদ্রলোকের বস ছয় মাস দেশে থাকেন আর ছয় মাস দেশের বাইরে। তাঁর দুজন পিএ (পারসোনাল সেক্রেটারি) প্রয়োজন। একজনের কাজ হবে ডকুমেন্টেশনের কাজ করা, অন্যজনের কাজ বসের সঙ্গে সবখানে যাওয়া-আসা করা। যেকোনো মিটিং বা পার্টিতে বসের সঙ্গে যাওয়া লাগবে, বেতন ৬০ হাজারের ওপর। সময়ের শুধু ঠিক থাকবে না ছয় মাস, রাত ১১টা বা ১২টাও বাজতে পারে বাড়ি ফিরতে। জানালাম, ডকুমেন্টেশনের কাজটা করতে পারি, তবে বসের সঙ্গে কোথাও যাওয়ার কাজটা করতে পারব না। তিনি আমাকে প্রায় ২০ মিনিটের মতো বোঝালেন যে এই যুগে এটা কোনো ব্যাপারই না, আর বড় বড় কোম্পানির মালিকদের আনঅফিশিয়াল বউ বা গার্লফ্রেন্ড লাগেই। আর মেয়েদের জন্যও নাকি এটা অনেক বড় সুযোগ। কোনো কথা দেওয়ার ঝামেলা নেই, থাকা-খাওয়া, কেনাকাটা ফ্রি আর বেতন তো থাকছেই। এত্ত সুবিধা পেলে অল্প সময়েই নাকি ভাগ্য খুলে যায়। মিউচুয়ালি এসব অফারে অনেক শিক্ষিত বা বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া মেয়েরা এ ধরনের চাকরির অফার লুফে নিচ্ছেন। তার আগের পিএ যে মেয়েটা ছিল, সে নাকি চিট করেছে (ধোঁকা দিয়েছে)। এ জন্য তাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।
আমি ইচ্ছে করেই এ কথাগুলো শুনছিলাম। দেখতে চাইছিলাম, এই এইচআরের অফিসার মহাশয় কোন পর্যন্ত গিয়ে থামেন। দীর্ঘ ৪০ মিনিটের কথোপকথনের মাঝে তিনি এরই মধ্যে আমার ডাকনাম ধরে তুমি করেও কথা বলে ফেলেছেন। শেষে আমি তাঁকে জানালাম যে আমি ভেবে এরপর ফোন করব। এ কথা শুনেই তিনি সুন্দর করে আপনিতে ফিরে গেলেন এবং এত কথার জন্য কিছু মনে না করতে বললেন। আর বললেন, হোয়াটসঅ্যাপে আমার একটা ফুল ছবি মানে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখা যায়—এমন একটা ছবি পাঠাতে। কেননা, সিভিতে পাসপোর্ট সাইজ ছবি দেওয়া। আমি তাঁকে এবার প্রশ্ন করলাম, চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে কি কোথাও বলা আছে কি না ব্যক্তিগতভাবে পূর্ণ ছবি দেওয়ার কথা? এতে তিনি দ্রুত বললেন, ‘না, না, এমন কিছু বলা নেই, আপনি ভালো থাকবেন, ধন্যবাদ’ বলেই লাইন কেটে দিলেন। আর আমি সেই রেকর্ডিং আমার কয়েকজন কাছের মানুষের কাছে পাঠালাম আমার এই অদ্ভুত ইন্টারভিউর অভিজ্ঞতা জানাতে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে