কঠিন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কায় দিব্যি চলছে ক্রিকেট। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ সফলভাবে আয়োজন করেছে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। ভারতীয় নারী দলও কদিন আগে খেলে এসেছে নির্বিঘ্নে। এবার পাকিস্তানকে আতিথ্য দিতে চলেছে তারা। শনিবার শুরু হচ্ছে দুই এশীয় পরাশক্তির টেস্ট সিরিজ। এই সিরিজও কোনো ঝুটঝামেলা ছাড়া আয়োজন করতে পারলে এশিয়া কাপ মঞ্চস্থের আত্মবিশ্বাস পেত এসএলসি।

কিন্তু লঙ্কান বোর্ডের আত্মবিশ্বাসে মরিচা পড়েছে ভারতের একাধিক শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থার নিশ্চয়তা ও সমঝোতার ভিত্তিতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ সফলভাবে আয়োজন করলেও শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ খেলতে রাজি নয় রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলির ভারত। শুধু ভারত নয়; জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দ্বীপ দেশটিতে যেতে চান না অন্য দলের আরও কয়েকজন ক্রিকেটার। শেষমেশ শ্রীলঙ্কায় না হলে টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব পেতে পারে বাংলাদেশ। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল নাকি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) তৈরি থাকতে বলেছে। এর আগেও পাঁচবার মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসরের স্বাগতিক হয়েছিল বাংলাদেশ।

অবশ্য বিসিবি বলছে এখনো তেমন কোনো প্রস্তাব তারা পায়নি। আর প্রস্তাব না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছুই বলার সুযোগ নেই। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কা না বলার পরে প্রস্তাব আসবে। তারা এখনো না বলেনি। সম্ভবত বর্তমান প্রেক্ষাপটে শ্রীলঙ্কার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিউজটা করেছে। এটা তো সরকারের সঙ্গে বোর্ডের কোনো বিষয় না। বোর্ড যদি না বলে তবে আমরা কোনো মন্তব্য করতে পারব না। আমরা কিছু বললে সেটা স্বপ্রণোদিত হয়ে বলা হবে। সেটা বলা ঠিক হবে না।’

এশিয়া কাপ আয়োজনে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কেমন জানতে চাইলে নিজাম উদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, ‘কারণ শ্রীলঙ্কা বোর্ড হচ্ছে আয়োজক, আর ইভেন্ট হচ্ছে এসিসির। এসিসি সিদ্ধান্ত নেবে। শ্রীলঙ্কা যদি কিছু না বলে তবে এসিসি নিজেদের মতো বিবেচনা করবে যে, এটা সম্ভব কী সম্ভব না। এখানে আমাদের অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। এর আগেও পরিবর্তনের কথা শোনা গেছে। তবে সেটা হয় নাই। দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হয়েছে। এখন এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য পরিস্থিতি কেমন সেটা তো আমরা এখান থেকে বলতে পারব না। যদি ওখানে না হয় তবে বেশির ভাগ সদস্য যেখানে বলবে সেখানে হবে।’