ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
‘গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাতে পাকা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আবার এলাকায় শ্রমিকসংকট রয়েছে। ধান ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছি।’ গতকাল সোমবার এসব কথা বলেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির লেলাং ইউনিয়নের বর্গাচাষি মো. ওমর ফারুক।
তাঁর মতো ফটিকছড়ির বেশির ভাগ চাষির খেতের পাকা আমন ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানা গেছে, ফটিকছড়িতে এবার ২১ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ করা হয়েছে। এবার ফলনও ভালো হওয়ার আশা করেছিল কৃষক ও কৃষি অফিস। কিন্তু শ্রমিকসংকটের কারণে বেশির ভাগ ধান ঘরে তুলতে পারেননি কৃষকেরা।
এ সময় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে খেতের পাকা ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। বিশেষ করে উপজেলার দৌলতপুর, রোসাংগিরী, হারুয়ালছড়ি, লেলাং, সুয়াবিল, বক্তপুর, ধর্মপুর, নারায়ণহাট, নানুপুর ও কাঞ্চননগর ইউনিয়নে পাকা ধানের বেশি ক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বৃষ্টিতে খেতের পাকা ধানগাছ মাটিতে পড়ে গেছে। আবার কোথাও কোথাও কাটা ধান পানিতে ভাসছে। এ ছাড়া পানিতে ডুবে গেছে মাঠের অন্য সব ফসলও।
কুম্ভারপাড়া গ্রামের কৃষক মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘গত কিছুদিন থেকে ধান পাকলেও পর্যাপ্ত শ্রমিক না পাওয়ায় পিছিয়ে যাচ্ছে ধান মাড়াইয়ের কাজ। এর মধ্যে আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে ধানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রোসাংগিরী গ্রামের কৃষক মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘বৃষ্টির ফলে ধানের ক্ষতি হওয়ায় এলাকার চাষিদের মধ্যে বেশ হতাশা বিরাজ করছে। সবার চোখে-মুখে দেখা এখন দুশ্চিন্তার ছাপ।’
পূর্ব ফরহাদাবাদ গ্রামের কৃষক মো. হারুন বলেন, বৃষ্টিতে এভাবে ধানের ক্ষতি হবে ভাবিনি। আমার ৮ কানি ধানের মধ্যে পাঁচ কানি জমির ধান এখনো ঘরে তুলতে পারেনি। ঘরে তুলতে পারব কী জানি না।
ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, এবার আমন ধানে বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে ধান ঘরে তোলার সময় বৃষ্টি না হলে চাষিরা আরও বেশি লাভবান হতেন। তিনি ক্ষতি পোষাতে চাষিদের সর্বাত্মক সহায়তা করার আশ্বাস দেন।
‘গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাতে পাকা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আবার এলাকায় শ্রমিকসংকট রয়েছে। ধান ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছি।’ গতকাল সোমবার এসব কথা বলেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির লেলাং ইউনিয়নের বর্গাচাষি মো. ওমর ফারুক।
তাঁর মতো ফটিকছড়ির বেশির ভাগ চাষির খেতের পাকা আমন ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানা গেছে, ফটিকছড়িতে এবার ২১ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ করা হয়েছে। এবার ফলনও ভালো হওয়ার আশা করেছিল কৃষক ও কৃষি অফিস। কিন্তু শ্রমিকসংকটের কারণে বেশির ভাগ ধান ঘরে তুলতে পারেননি কৃষকেরা।
এ সময় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে খেতের পাকা ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। বিশেষ করে উপজেলার দৌলতপুর, রোসাংগিরী, হারুয়ালছড়ি, লেলাং, সুয়াবিল, বক্তপুর, ধর্মপুর, নারায়ণহাট, নানুপুর ও কাঞ্চননগর ইউনিয়নে পাকা ধানের বেশি ক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বৃষ্টিতে খেতের পাকা ধানগাছ মাটিতে পড়ে গেছে। আবার কোথাও কোথাও কাটা ধান পানিতে ভাসছে। এ ছাড়া পানিতে ডুবে গেছে মাঠের অন্য সব ফসলও।
কুম্ভারপাড়া গ্রামের কৃষক মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘গত কিছুদিন থেকে ধান পাকলেও পর্যাপ্ত শ্রমিক না পাওয়ায় পিছিয়ে যাচ্ছে ধান মাড়াইয়ের কাজ। এর মধ্যে আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে ধানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রোসাংগিরী গ্রামের কৃষক মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘বৃষ্টির ফলে ধানের ক্ষতি হওয়ায় এলাকার চাষিদের মধ্যে বেশ হতাশা বিরাজ করছে। সবার চোখে-মুখে দেখা এখন দুশ্চিন্তার ছাপ।’
পূর্ব ফরহাদাবাদ গ্রামের কৃষক মো. হারুন বলেন, বৃষ্টিতে এভাবে ধানের ক্ষতি হবে ভাবিনি। আমার ৮ কানি ধানের মধ্যে পাঁচ কানি জমির ধান এখনো ঘরে তুলতে পারেনি। ঘরে তুলতে পারব কী জানি না।
ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, এবার আমন ধানে বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে ধান ঘরে তোলার সময় বৃষ্টি না হলে চাষিরা আরও বেশি লাভবান হতেন। তিনি ক্ষতি পোষাতে চাষিদের সর্বাত্মক সহায়তা করার আশ্বাস দেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে