বান্দরবান, দীঘিনালা ও মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে অসময়ে বৃষ্টিপাতে পার্বত্যাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ধান ও শীতকালীন সবজিসহ নানা ধরনের ফসল নষ্ট হয়েছে। এতে চাষিদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
বান্দরবান প্রতিনিধি জেলা কৃষি বিভাগের বরাতে জানান, বৃষ্টিতে আমন-আউশ ধানের পাশাপাশি রবিশস্য, বাদাম, টমেটো, সরিষা, মসুর, ধনিয়া, আলু, ভুট্টা, মরিচ, ফুলকপি, বাঁধাকপি এবং বিভিন্ন জাতের শাক ক্ষতির মুখে পড়েছে। অনেক স্থানে শাক-সবজির জমি তলিয়ে গেছে। অনেক স্থানে পাকা ধান মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এতে করে কৃষকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছে। পাশাপাশি জেলার লোকজনের ফসল ও শাক-সবজির সংকটে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বান্দরবান সদর উপজেলার গোয়ালিয়া খোলায় দেখা গেছে, অনেক জমি পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এ ছাড়া কুহালং, ডলুপাড়া, ভরাখালী, মুসলিম পাড়া, সুয়ালক, হলুদিয়া, রেইছা, রোয়াংছড়ির ছাইঙ্গ্যা এলাকায় ফসলের ক্ষতির সংবাদ পাওয়া গেছে।
সদর উপজেলার ভরাখালী এলাকার বাদামচাষি মো. শাহজাহান বলেন, লাভের আশায় সাঙ্গু নদীর পাড়ে কয়েক একর জমিতে বাদাম চাষ করেছিলেন। কিন্তু অসময়ের বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসে তাঁর জমির অধিকাংশ বাদাম নষ্ট হয়ে গেছে। জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বাদাম চাষ করেছিলেন তিনি। অসময়ে বৃষ্টির কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
একই এলাকার সবজিচাষি মো. জাফর বলেন, সাধারণত এ সময়ে বৃষ্টিপাত হয় না। শীত পড়ে। কিন্তু এবার বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসের ফলে তাঁর জমির শাক-সবজি নষ্ট হয়ে গেছে।
এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার জন্য সরকারের কাছ থেকে কৃষকেরা সার, বীজ ও কৃষি উপকরণ সহায়তা আশা করছেন।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ফলে জেলায় প্রায় ৬ হেক্টর জমির বাদাম ও ২ হেক্টর জমির শীতকালীন শাক-সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তাঁরা ধারণা করছে।
বান্দরবান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক গতকাল শুক্রবার বিকেলে বলেন, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ফসল ও কৃষকদের তালিকা তৈরি করছি। তবে প্রাথমিকভাবে বাদামে ১১ ও শাক-সবজিতে ১০ জনের মতো কৃষক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’
ওমর ফারুক বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা যাতে সরকারি প্রণোদনা পায় সে ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।’
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা প্রতিনিধি জানান, টানা বৃষ্টিতে উপজেলার বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ধান ও শীতকালীন সবজিসহ অন্তত ১৩০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, উপজেলার অন্তত ৩০ হেক্টর জমির পাকা ধান হেলে পড়েছে। এ ছাড়া ১০০ হেক্টর জমির শাকসবজি ও শীতকালীন ফসলের ক্ষতি হয়।
বেলছড়ি এলাকার সবজিচাষি শাহজাহান বলেন, ‘আমার ১ হেক্টর জমির ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো ও অন্যান্য ফসল টানা বৃষ্টিতে ক্ষতির শিকার হয়েছে। বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হয়েছে।’
মানিকছড়ি প্রতিনিধি জানান, উপজেলার প্রায় ১০ হেক্টর জমির কাটা ধান পানিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ২ হাজার ৯৭৬ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে।
উপজেলার কুমারী, যোগ্যাছোলার নোনাবিল, বড়বিল এলাকার জমিতে কাটা ধান পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বড়বিলের কৃষক চরেম্রা মারমা ও রাম্রাচাই মারমা বলেন, তাঁরা দুজনের প্রায় ২ একর জমির ধান ঘরে তোলার আগই বৃষ্টি শুরু হয়।
কুমারী এলাকার কংচাইরী মারমা বলেন, এখানকার ৩০ শতাংশ কৃষক এখনো পাকা ধান ঘরে নিতে পারেননি। এর মধ্যে ২০ শতাংশ কৃষকের জমিতে কাটা ধান থাকতেই হালকা বৃষ্টি শুরু হয়। তবে গত বৃহস্পতিবার থেকে তাঁরা পুরোদমে কাটা ধান ঘরে তুলতে শুরু করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিনুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সব সময় কৃষকদের পরামর্শ দেই জমিতে ধান পাকা শুরু হলেই দ্রুত কেটে নিরাপদে মাড়াই করে নিতে। অনেক সময় শ্রমিক সংকটে সবার পক্ষে যথাসময়ে ধান কাটা ও মাড়াই সম্ভব হয় না। এবারও তাই হয়েছে।’ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কৃষকেরা ধান সংগ্রহে মাঠ নেমেছেন বলেও জানান তিনি।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে অসময়ে বৃষ্টিপাতে পার্বত্যাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ধান ও শীতকালীন সবজিসহ নানা ধরনের ফসল নষ্ট হয়েছে। এতে চাষিদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
বান্দরবান প্রতিনিধি জেলা কৃষি বিভাগের বরাতে জানান, বৃষ্টিতে আমন-আউশ ধানের পাশাপাশি রবিশস্য, বাদাম, টমেটো, সরিষা, মসুর, ধনিয়া, আলু, ভুট্টা, মরিচ, ফুলকপি, বাঁধাকপি এবং বিভিন্ন জাতের শাক ক্ষতির মুখে পড়েছে। অনেক স্থানে শাক-সবজির জমি তলিয়ে গেছে। অনেক স্থানে পাকা ধান মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এতে করে কৃষকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছে। পাশাপাশি জেলার লোকজনের ফসল ও শাক-সবজির সংকটে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বান্দরবান সদর উপজেলার গোয়ালিয়া খোলায় দেখা গেছে, অনেক জমি পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এ ছাড়া কুহালং, ডলুপাড়া, ভরাখালী, মুসলিম পাড়া, সুয়ালক, হলুদিয়া, রেইছা, রোয়াংছড়ির ছাইঙ্গ্যা এলাকায় ফসলের ক্ষতির সংবাদ পাওয়া গেছে।
সদর উপজেলার ভরাখালী এলাকার বাদামচাষি মো. শাহজাহান বলেন, লাভের আশায় সাঙ্গু নদীর পাড়ে কয়েক একর জমিতে বাদাম চাষ করেছিলেন। কিন্তু অসময়ের বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসে তাঁর জমির অধিকাংশ বাদাম নষ্ট হয়ে গেছে। জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বাদাম চাষ করেছিলেন তিনি। অসময়ে বৃষ্টির কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
একই এলাকার সবজিচাষি মো. জাফর বলেন, সাধারণত এ সময়ে বৃষ্টিপাত হয় না। শীত পড়ে। কিন্তু এবার বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসের ফলে তাঁর জমির শাক-সবজি নষ্ট হয়ে গেছে।
এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার জন্য সরকারের কাছ থেকে কৃষকেরা সার, বীজ ও কৃষি উপকরণ সহায়তা আশা করছেন।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ফলে জেলায় প্রায় ৬ হেক্টর জমির বাদাম ও ২ হেক্টর জমির শীতকালীন শাক-সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তাঁরা ধারণা করছে।
বান্দরবান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক গতকাল শুক্রবার বিকেলে বলেন, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ফসল ও কৃষকদের তালিকা তৈরি করছি। তবে প্রাথমিকভাবে বাদামে ১১ ও শাক-সবজিতে ১০ জনের মতো কৃষক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’
ওমর ফারুক বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা যাতে সরকারি প্রণোদনা পায় সে ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।’
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা প্রতিনিধি জানান, টানা বৃষ্টিতে উপজেলার বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ধান ও শীতকালীন সবজিসহ অন্তত ১৩০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, উপজেলার অন্তত ৩০ হেক্টর জমির পাকা ধান হেলে পড়েছে। এ ছাড়া ১০০ হেক্টর জমির শাকসবজি ও শীতকালীন ফসলের ক্ষতি হয়।
বেলছড়ি এলাকার সবজিচাষি শাহজাহান বলেন, ‘আমার ১ হেক্টর জমির ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো ও অন্যান্য ফসল টানা বৃষ্টিতে ক্ষতির শিকার হয়েছে। বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হয়েছে।’
মানিকছড়ি প্রতিনিধি জানান, উপজেলার প্রায় ১০ হেক্টর জমির কাটা ধান পানিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ২ হাজার ৯৭৬ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে।
উপজেলার কুমারী, যোগ্যাছোলার নোনাবিল, বড়বিল এলাকার জমিতে কাটা ধান পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বড়বিলের কৃষক চরেম্রা মারমা ও রাম্রাচাই মারমা বলেন, তাঁরা দুজনের প্রায় ২ একর জমির ধান ঘরে তোলার আগই বৃষ্টি শুরু হয়।
কুমারী এলাকার কংচাইরী মারমা বলেন, এখানকার ৩০ শতাংশ কৃষক এখনো পাকা ধান ঘরে নিতে পারেননি। এর মধ্যে ২০ শতাংশ কৃষকের জমিতে কাটা ধান থাকতেই হালকা বৃষ্টি শুরু হয়। তবে গত বৃহস্পতিবার থেকে তাঁরা পুরোদমে কাটা ধান ঘরে তুলতে শুরু করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিনুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সব সময় কৃষকদের পরামর্শ দেই জমিতে ধান পাকা শুরু হলেই দ্রুত কেটে নিরাপদে মাড়াই করে নিতে। অনেক সময় শ্রমিক সংকটে সবার পক্ষে যথাসময়ে ধান কাটা ও মাড়াই সম্ভব হয় না। এবারও তাই হয়েছে।’ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কৃষকেরা ধান সংগ্রহে মাঠ নেমেছেন বলেও জানান তিনি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে