রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দ্বন্দ্ব সরেজমিনে তদন্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠন করে দেওয়া তদন্ত কমিটি। গতকাল সোমবার কমিটির সদস্যরা শিক্ষাবোর্ডে গিয়ে বিষয়গুলো তদন্ত করেন। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত তাঁরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন।

এই তদন্ত কমিটির প্রধান ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তশিক্ষা বোর্ড কমিটির সমন্বয়ক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। তিন সদস্যের কমিটির অন্য দুজন হলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন এবং মাউশির হিসাব ও নিরীক্ষা বিভাগের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

প্রসঙ্গত, সচিবের কক্ষে দুই কর্মকর্তাকে দীর্ঘ সময় অবরুদ্ধ রেখে লাঞ্ছিত করার ঘটনার ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে বোর্ডের সচিবের কক্ষে নয়জন কর্মকর্তার বেতন স্কেল নির্ধারণ বিবরণী ও গোপনীয় কাগজপত্র ফটোকপি করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে এর প্রতিবাদ করেন উপসচিব (প্রশাসন) ওয়ালিদ হোসেন ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র। এর ফলে এ দুই কর্মকর্তাকে সচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেন শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বোর্ডের উপপরিচালক (হিসাব ও নিরীক্ষা) বাদশা হোসেন এতে যোগ দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ।

কিন্তু সচিব অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন ও উপপরিচালক অধ্যাপক মো. বাদশা হোসেনের অভিযোগ, ওয়ালিদ হোসেন ও মানিক চন্দ্র সেন তাঁদের লাঞ্ছিত করতে গিয়েছিলেন।

তদন্ত শেষে কমিটির প্রধান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করছি। এখানে কোনো পক্ষপাতিত্ব হবে না। সঠিক বিষয়টাই প্রতিবেদন আকারে মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে।