পাবনার সুজানগরে সাগরকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, গুলিবর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় চারটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে ইউনুস আলী, সেলিম শেখ, মহির উদ্দিন, শেফালী খাতুন, হাসিনা খাতুন ও সুফিয়া খাতুনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন চৌধুরী। আর মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তৈয়ব আলী শেখ।

গত শনিবার আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈয়ব আলীর বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায় নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি মোটরসাইকেলে।

এ বিষয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী তৈয়ব আলী শেখ অভিযোগ করেন, নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীন চৌধুরীর নির্দেশে তাঁর সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দল বেঁধে হামলা চালিয়েছে। তাঁর নির্বাচনের কাজে ব্যবহৃত চারটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা। বসতবাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে তাঁরা। এ সময় তিনি প্রাণভয়ে পালিয়েছিলেন। পরে প্রতিবেশীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

তৈয়ব আলী আরও বলেন, নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে শাহীন চৌধুরী তাঁকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলেন জানান তিনি।

জানতে চাইলে অভিযোগের বিষয়ে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীন চৌধুরী বলেন, ‘আমার নির্বাচনী প্রচারণার মিছিলে বিদ্রোহী প্রার্থী তৈয়ব আলীর সমর্থকেরা হামলা চালিয়েছে, গুলিবর্ষণ করেছে। এখন উল্টো আমার নামেই মিথ্যা বলছে। নির্বাচনে নিজের পক্ষে সমর্থন নেওয়ার জন্য তাঁরা নিজেরাই এই কাজ করেছে।’

আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগের আলোকে তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে পাবনার সুজানগর উপজেলার ১০ ইউপির নির্বাচন।