চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের চকরিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিদিন ঘটছে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা। এসব কিশোর গ্যাংয়ের কারণে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন পার করছেন।
চকরিয়া পৌরশহরের বিজয় মঞ্চ এলাকায় ১৫-২০ জন কিশোর-তরুণ হাতে হকিস্টিক নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল। সাইমা প্লাজার সামনে আরও একটি গ্রুপ হাতে লাঠি, কাঠের বাটাম নিয়ে অবস্থান নিচ্ছিল। ঠিক ১০ মিনিট পর দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। মুহূর্তের মধ্যে শুরু হয় তমুল মারামারি। মারামারিতে কেউই আহত না হলেও সেখানকার পরিস্থিতি থমথমে হয়ে ওঠে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে মারামারিতে লিপ্ত কিশোররা পালিয়ে যায়। গত বুধবার পৌণে ৮টার দিকে চকরিয়া বিজয় মঞ্চ এলাকার ঘটনা এটি।
এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌরশহরের সবুজবাগ আবাসিক এলাকায় প্রবেশ করে সামনে যেতেই গলিতে ২৫-৩০ জন কিশোর আড্ডা দিচ্ছিল। অধিকাংশের মুখে সিগারেট, ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে চারপাশ। পুরো সবুজবাগে অসংখ্য গলি ও খালী মাঠে সন্ধ্যা নামতেই কিশোর-তরুণদের আড্ডার আসর জমে। এতে স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবকরা চরম বিব্রত।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৫ মিনিটে স্কুল ছুটির পরের ঘটনা। তিনটি মোটরসাইকেল চেপে তিনজন কিশোর বিদ্যাপীঠের মসজিদের পাশে এসে দাঁড়ায়। ওই তিন মোটরসাইকেলে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের পোশাক পরা ছয়জন শিক্ষার্থী সবুজবাগ আবাসিক এলাকার দিকে হর্ন বাজিয়ে দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল। এ সময় তারা কয়েকজন ছাত্রীর দিকে শিস দিচ্ছিল।
এ ঘটনার ২০ মিনিট পর সবুজবাগ মসজিদের সামনে দুটি মোটরসাইকেল একটি স্কুলছাত্রীকে পথরোধ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোটরসাইকেলে দ্রুতগতিতে তারা সটকে পড়ে। সবুজবাগ এলাকায় এসব নিত্যদিনের ঘটনা। চকরিয়া পৌরশহরে গত এক সপ্তাহে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েকবার হাতাহাতি-ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে।
শসা বিক্রেতা ফজল কবির বলেন, ‘প্রতিদিন বিদ্যাপীঠের মোড়ে শসা ও গাজর বিক্রি করি। স্কুল ছুটি হলেই শিক্ষার্থী কিশোর একে অপরের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি করে। বেশ কয়েক মাস ধরে কিশোর গ্যাংয়ের কারণে সাধারণ পথচারীরাও অতিষ্ঠ। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা খুবই ভয়ে যাত্রাযাত করছে।’
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, চকরিয়া পৌরশহরে শুধু সবুজবাগই নয়। কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত মগবাজার, ২ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলী, গ্রামারস্কুল ও নামার চিরিঙ্গা এলাকাজুড়ে। শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এলাকায় বিশেষ করে এ দৌরাত্ম্য চলে। এ অত্যাচার বেড়েই চলেছে।
সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সদস্য জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘সারা দেশে কিশোর গ্যাং এখন আতঙ্কের নাম। সচেতন অভিভাবকরা যাঁর যাঁর অবস্থান থেকে এখন থেকে সতর্ক না হলে, আগামী প্রজন্মকে নিয়ে চরম বৈপরীত্যের মুখে পড়তে হবে। সন্তানরা কোথায়, কার সঙ্গে মিশছে তা খোঁজ নিতে হবে।’
চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক নুরুল আখের বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরা অভিভাবকদের প্রায় সময় সচেতন করে আসছি। অনেক অভিভাবক সন্তানরা সন্ধ্যার পর বাড়িতে কেন ফেরে না-তা খোঁজ নেন না। গত আইনশৃঙ্খলা সভায় কিশোর গ্যাংয়ের বিষয়ে তুলে ধরেছি। অতি সম্প্রতি কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বেড়ে গেছে।’
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি যোগদান করার পর কিশোর গ্যাংয়ের বিষয়ে খবর নিয়েছি। দ্রুত কিশোরদের অপরাধ রোধে পুলিশ উদ্যোগ নেবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতে নিরাপদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাত্রাযাত করতে পারে, সে জন্য পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সচেতনা বাড়াতেও পুলিশ কাজ করছে।’
কক্সবাজারের চকরিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিদিন ঘটছে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা। এসব কিশোর গ্যাংয়ের কারণে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন পার করছেন।
চকরিয়া পৌরশহরের বিজয় মঞ্চ এলাকায় ১৫-২০ জন কিশোর-তরুণ হাতে হকিস্টিক নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল। সাইমা প্লাজার সামনে আরও একটি গ্রুপ হাতে লাঠি, কাঠের বাটাম নিয়ে অবস্থান নিচ্ছিল। ঠিক ১০ মিনিট পর দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। মুহূর্তের মধ্যে শুরু হয় তমুল মারামারি। মারামারিতে কেউই আহত না হলেও সেখানকার পরিস্থিতি থমথমে হয়ে ওঠে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে মারামারিতে লিপ্ত কিশোররা পালিয়ে যায়। গত বুধবার পৌণে ৮টার দিকে চকরিয়া বিজয় মঞ্চ এলাকার ঘটনা এটি।
এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌরশহরের সবুজবাগ আবাসিক এলাকায় প্রবেশ করে সামনে যেতেই গলিতে ২৫-৩০ জন কিশোর আড্ডা দিচ্ছিল। অধিকাংশের মুখে সিগারেট, ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে চারপাশ। পুরো সবুজবাগে অসংখ্য গলি ও খালী মাঠে সন্ধ্যা নামতেই কিশোর-তরুণদের আড্ডার আসর জমে। এতে স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবকরা চরম বিব্রত।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৫ মিনিটে স্কুল ছুটির পরের ঘটনা। তিনটি মোটরসাইকেল চেপে তিনজন কিশোর বিদ্যাপীঠের মসজিদের পাশে এসে দাঁড়ায়। ওই তিন মোটরসাইকেলে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের পোশাক পরা ছয়জন শিক্ষার্থী সবুজবাগ আবাসিক এলাকার দিকে হর্ন বাজিয়ে দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল। এ সময় তারা কয়েকজন ছাত্রীর দিকে শিস দিচ্ছিল।
এ ঘটনার ২০ মিনিট পর সবুজবাগ মসজিদের সামনে দুটি মোটরসাইকেল একটি স্কুলছাত্রীকে পথরোধ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোটরসাইকেলে দ্রুতগতিতে তারা সটকে পড়ে। সবুজবাগ এলাকায় এসব নিত্যদিনের ঘটনা। চকরিয়া পৌরশহরে গত এক সপ্তাহে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েকবার হাতাহাতি-ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে।
শসা বিক্রেতা ফজল কবির বলেন, ‘প্রতিদিন বিদ্যাপীঠের মোড়ে শসা ও গাজর বিক্রি করি। স্কুল ছুটি হলেই শিক্ষার্থী কিশোর একে অপরের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি করে। বেশ কয়েক মাস ধরে কিশোর গ্যাংয়ের কারণে সাধারণ পথচারীরাও অতিষ্ঠ। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা খুবই ভয়ে যাত্রাযাত করছে।’
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, চকরিয়া পৌরশহরে শুধু সবুজবাগই নয়। কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত মগবাজার, ২ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলী, গ্রামারস্কুল ও নামার চিরিঙ্গা এলাকাজুড়ে। শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এলাকায় বিশেষ করে এ দৌরাত্ম্য চলে। এ অত্যাচার বেড়েই চলেছে।
সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সদস্য জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘সারা দেশে কিশোর গ্যাং এখন আতঙ্কের নাম। সচেতন অভিভাবকরা যাঁর যাঁর অবস্থান থেকে এখন থেকে সতর্ক না হলে, আগামী প্রজন্মকে নিয়ে চরম বৈপরীত্যের মুখে পড়তে হবে। সন্তানরা কোথায়, কার সঙ্গে মিশছে তা খোঁজ নিতে হবে।’
চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক নুরুল আখের বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরা অভিভাবকদের প্রায় সময় সচেতন করে আসছি। অনেক অভিভাবক সন্তানরা সন্ধ্যার পর বাড়িতে কেন ফেরে না-তা খোঁজ নেন না। গত আইনশৃঙ্খলা সভায় কিশোর গ্যাংয়ের বিষয়ে তুলে ধরেছি। অতি সম্প্রতি কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বেড়ে গেছে।’
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি যোগদান করার পর কিশোর গ্যাংয়ের বিষয়ে খবর নিয়েছি। দ্রুত কিশোরদের অপরাধ রোধে পুলিশ উদ্যোগ নেবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতে নিরাপদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাত্রাযাত করতে পারে, সে জন্য পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সচেতনা বাড়াতেও পুলিশ কাজ করছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে