বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি
কয়েক দিন ধরেই লাগামহীন ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য। মুরগির মাংস ৪০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গরুর মাংস ১৫০ টাকা, পটোল কেজিতে ৩০ আর কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সয়াবিন ২৩০ ও সরিষার তেল ২২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
ঈদের পরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
জানা গেছে, অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে সয়াবিনের দাম বেড়েছে কয়েক দফা। এ ছাড়া চাল, ডাল, পেঁয়াজ, মাছ, মাংস, তেল, তরিতরকারি, ফলমূল, চিনি আর লবণসহ সবকিছুই আগের তুলনায় দাম বেড়েছে কয়েক গুণ।
ফলে তেঁতুলিয়া ও মেঘনার ভাঙনকবলিত বোরহানউদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো পড়েছে বিপাকে। দ্রুতই পণ্যের বাড়তি দামের লাগাম টেনে না ধরলে খেটে খাওয়া মানুষের সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠে যাবে।
সরেজমিন বোরহানউদ্দিনের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের আগের দিন বয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকায়, বর্তমানে তা ১৯০ টাকা। এ ছাড়া ২৭০ টাকার সোনালি মুরগি ৩৮০ টাকা, ৫৫০ টাকার গরু মাংস ৭০০-৮০০, ৭০০ টাকার খাসির মাংস ১ হাজার, পটোল ৩০ টাকার পরিবর্তে ৬০, ১৫ টাকার বরবটি ৪০, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকার পরিবর্তে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ কোনো কোনো বাজারে ১২০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মোটা চালের দাম কেজিপ্রতি ৪ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে বেড়েছে সয়াবিন ও সরিষার তেলের দাম।
সয়াবিন বোতলজাত প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, পাম তেল ২০০, ১৬০ টাকার সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। চিনি ৮০ টাকা, ৭০ টাকার মোটা মসুরির ডাল ৯৫ টাকা, ছোট দানার ১০০ টাকার ডাল ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাড়তি দামের বিষয়ে বোরহানগঞ্জ বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী সিরাজ বলেন, ‘আমার দোকান। দাম আমি বেশি নিমু; এটা আমার ব্যাপার। কেউ জিনিস না কিনলে কিনবে না।’
এদিকে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে খুচরা বিক্রেতারা পাইকার আর আড়তদারদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। পাইকার বা আড়তদারেরা এ অভিযোগ মানতে নারাজ।
এদিকে বাজার যথাযথভাবে তদারকি না করায় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন ভোক্তারা।
সফিকুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি স্কুলের শিক্ষক। বেতন ১৯ হাজার টাকা, কিন্তু সংসার চালাতে খরচ হচ্ছে ২৫-৩০ হাজার টাকা। সংসার চালাতে ঋণ নিতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দিন দিন ঋণে জর্জড়িত হয়ে যাব।’
দিনমজুর আবুল বশার বলেন, ‘দিনে কামলা দিয়া ২০০ টাকা পাই। তেল নিমু নাকি চাল নিমু? আমাগো এহন মরার পালা।’
রিকশাচালক কাজল বলেন, ‘খেপ মাইরা পাই ১৬০-২৫০ টিয়া। এ দিয়া কেমনে কি করমু? বাচ্চার দুধ নিমু নাকি চাল-ডাল নিমু? বাজারে গেলে জিনিসের দাম শুনে মন চাই বিষ খাই।’
ক্রেতা আশরাফ উদ্দিন খান বলেন, ‘বাড়তি দামের কারণ জানতে চাইলে পাইকারি বিক্রেতা দায় দেন আড়তদারদের। আড়তদাররা বলেন ভিন্ন কথা। তাহলে সব দোষ কী ক্রেতাদের? ক্রেতারা কেন ক্রয় করছে ভাবখানা এমন? সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে অনেকের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা বাজারে প্রশাসনের ও ভোক্তা অধিদপ্তরের যথাযথ তদারকি না থাকাকে দায়ী করছেন। এতে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে চলেছেন।’
বেশি দামের কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘আড়তদারেরা যে মূল্য বলেন, তা দিয়েই বিক্রি করি আমরা।’
বোরহানউদ্দিনের উপশহর কুঞ্জের হাটবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘সারা দেশে দ্রব্যের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। তাই দাম বেশি রাখা হচ্ছে। শুধু বোরহানউদ্দিনে বাজারে নয়, সব জায়গায় একই অবস্থা।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কুঞ্জের হাটবাজারে কোনো ভোক্তা হয়রানি হয় বা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি রাখা হয়, তাহলে বাজার তদারকি করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে বোরহানগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাগর হাওলাদার বলেন, ‘বাজারে কেউ সিন্ডিকেট করলে তদারকি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কয়েক দিন ধরেই লাগামহীন ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য। মুরগির মাংস ৪০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গরুর মাংস ১৫০ টাকা, পটোল কেজিতে ৩০ আর কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সয়াবিন ২৩০ ও সরিষার তেল ২২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
ঈদের পরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
জানা গেছে, অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে সয়াবিনের দাম বেড়েছে কয়েক দফা। এ ছাড়া চাল, ডাল, পেঁয়াজ, মাছ, মাংস, তেল, তরিতরকারি, ফলমূল, চিনি আর লবণসহ সবকিছুই আগের তুলনায় দাম বেড়েছে কয়েক গুণ।
ফলে তেঁতুলিয়া ও মেঘনার ভাঙনকবলিত বোরহানউদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো পড়েছে বিপাকে। দ্রুতই পণ্যের বাড়তি দামের লাগাম টেনে না ধরলে খেটে খাওয়া মানুষের সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠে যাবে।
সরেজমিন বোরহানউদ্দিনের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের আগের দিন বয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকায়, বর্তমানে তা ১৯০ টাকা। এ ছাড়া ২৭০ টাকার সোনালি মুরগি ৩৮০ টাকা, ৫৫০ টাকার গরু মাংস ৭০০-৮০০, ৭০০ টাকার খাসির মাংস ১ হাজার, পটোল ৩০ টাকার পরিবর্তে ৬০, ১৫ টাকার বরবটি ৪০, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকার পরিবর্তে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ কোনো কোনো বাজারে ১২০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মোটা চালের দাম কেজিপ্রতি ৪ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে বেড়েছে সয়াবিন ও সরিষার তেলের দাম।
সয়াবিন বোতলজাত প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, পাম তেল ২০০, ১৬০ টাকার সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। চিনি ৮০ টাকা, ৭০ টাকার মোটা মসুরির ডাল ৯৫ টাকা, ছোট দানার ১০০ টাকার ডাল ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাড়তি দামের বিষয়ে বোরহানগঞ্জ বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী সিরাজ বলেন, ‘আমার দোকান। দাম আমি বেশি নিমু; এটা আমার ব্যাপার। কেউ জিনিস না কিনলে কিনবে না।’
এদিকে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে খুচরা বিক্রেতারা পাইকার আর আড়তদারদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। পাইকার বা আড়তদারেরা এ অভিযোগ মানতে নারাজ।
এদিকে বাজার যথাযথভাবে তদারকি না করায় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন ভোক্তারা।
সফিকুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি স্কুলের শিক্ষক। বেতন ১৯ হাজার টাকা, কিন্তু সংসার চালাতে খরচ হচ্ছে ২৫-৩০ হাজার টাকা। সংসার চালাতে ঋণ নিতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দিন দিন ঋণে জর্জড়িত হয়ে যাব।’
দিনমজুর আবুল বশার বলেন, ‘দিনে কামলা দিয়া ২০০ টাকা পাই। তেল নিমু নাকি চাল নিমু? আমাগো এহন মরার পালা।’
রিকশাচালক কাজল বলেন, ‘খেপ মাইরা পাই ১৬০-২৫০ টিয়া। এ দিয়া কেমনে কি করমু? বাচ্চার দুধ নিমু নাকি চাল-ডাল নিমু? বাজারে গেলে জিনিসের দাম শুনে মন চাই বিষ খাই।’
ক্রেতা আশরাফ উদ্দিন খান বলেন, ‘বাড়তি দামের কারণ জানতে চাইলে পাইকারি বিক্রেতা দায় দেন আড়তদারদের। আড়তদাররা বলেন ভিন্ন কথা। তাহলে সব দোষ কী ক্রেতাদের? ক্রেতারা কেন ক্রয় করছে ভাবখানা এমন? সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে অনেকের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা বাজারে প্রশাসনের ও ভোক্তা অধিদপ্তরের যথাযথ তদারকি না থাকাকে দায়ী করছেন। এতে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে চলেছেন।’
বেশি দামের কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘আড়তদারেরা যে মূল্য বলেন, তা দিয়েই বিক্রি করি আমরা।’
বোরহানউদ্দিনের উপশহর কুঞ্জের হাটবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘সারা দেশে দ্রব্যের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। তাই দাম বেশি রাখা হচ্ছে। শুধু বোরহানউদ্দিনে বাজারে নয়, সব জায়গায় একই অবস্থা।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কুঞ্জের হাটবাজারে কোনো ভোক্তা হয়রানি হয় বা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি রাখা হয়, তাহলে বাজার তদারকি করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে বোরহানগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাগর হাওলাদার বলেন, ‘বাজারে কেউ সিন্ডিকেট করলে তদারকি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে