মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
দীর্ঘদিনে সংস্কার না হওয়ায় মানিকগঞ্জ পৌরসভার বেউথা-আন্ধারমানিক সড়কে খানাখন্দের পাশাপাশি বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। একই অবস্থা হয়েছে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে থেকে জয়রা সড়কেরও। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন সড়ক দুটি দিয়ে চলাচলকারী হাজারো যাত্রী ও পরিবহন চালকেরা।
মানিকগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বলছে, বেউথা-আন্ধারমানিক সড়কটি তারা সংস্কার করে দিলেও সদর উপজেলা পরিষদ থেকে জয়রা পর্যন্ত দ্বিতীয় সড়কটির সংস্কারকাজ করতে হবে এলজিইডিকে। তবে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বলছে, স্থানীয় সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পৌরসভার ভেতরের সড়কগুলো নির্মাণ বা সংস্কার পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে করতে হবে। দুই প্রতিষ্ঠানের রেষারেষিতে ভোগান্তিতে আছেন জেলার হাজারো মানুষ।
আন্ধারমানিক এলাকার বাসিন্দা, সড়ক দিয়ে চলাচলকারী চালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকার হেমায়েতপুর এবং মানিকগঞ্জ-সিঙ্গাইর আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে বেউথা সেতু পার হওয়ার পর আন্ধারমানিক সড়ক দিয়ে পাটুরিয়াগামী অনেক যানবাহন চলাচল করে। পাশাপাশি জেলা সদরে আসতে প্রতিদিন হরিরামপুর উপজেলাসহ জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজারো মানুষ সড়কটি ব্যবহার করেন।
গত তিন বছরের বেশি সময় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে খানাখন্দ দেখা দিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে। বর্ষা মৌসুমে এসব খানাখন্দে পানি জমে দুই কিলোমিটারের এ সড়কের পুরোটা যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এ ছাড়া শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালুতে চালক, যাত্রী ও সড়কের পাশের বাসিন্দারা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
এদিকে, সদর উপজেলা পরিষদ থেকে জয়রা মোড় পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কের পুরো অংশেই দীর্ঘদিন অসংখ্য খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়কের ওপর দিয়ে জেলা শহরসহ আশপাশের উপজেলা থেকে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে যাতায়াত করেন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা। এ ছাড়া সড়কটি দিয়ে জেলার সাটুরিয়া, দৌলতপুরসহ টাঙ্গাইল জেলায় যাতায়াত করেন হাজারো মানুষ। এ সড়কটিও সংস্কার করা হচ্ছে না।
হরিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা আবু তাহের বলেন, তাঁদের উপজেলার শত শত মানুষ জরুরি কাজে আন্ধারমানিক হয়ে মানিকগঞ্জ আসেন। কিন্তু এই সড়কে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের কারণে তাঁদের যাতায়াত করতে কষ্ট হয়। অনেক সময় ছোট যানবাহনে চলাচলের ঝাঁকুনিতে কোমর ব্যথা হয়ে যায়। সড়কের ধুলাবালুর কারণে বাড়তি ভোগান্তি তো আছেই।
আন্ধারমানিক সড়কের ইজিবাইকচালক সেলিম হোসেন বলেন, গর্ত ও খানাখন্দের কারণে প্রায়ই তাঁর গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। কিছুদিন পর পর তাঁর গাড়ি মেরামত করতে হয়। এ ছাড়া ইজিবাইকে ওঠা যাত্রীরা কষ্ট করে চলাচল করেন।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেউথা-আন্ধারমানিক সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের হলেও মানুষের ভোগান্তি বিবেচনা করে জনস্বার্থে খুব দ্রুত তারা সংস্কারকাজ করে দেবেন। এই কাজের জন্য চলতি মাসে দরপত্র আহ্বান করা হবে। এ জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তবে পরবর্তী সময়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে সড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণসহ নালার ব্যবস্থা করা হবে।
মেয়র আরও বলেন, সদর উপজেলা পরিষদ থেকে জয়রা পর্যন্ত সড়কটি এর আগে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ নতুন সড়ক নির্মাণ করেছে। সংস্কারও তাদের করতে হবে। তবে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ পৌর কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অনুরোধ করলে পৌর কর্তৃপক্ষ কাজটি করতে পারে।
মানিকগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়জুল হক বলেন, স্থানীয় সরকারের দেওয়া প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পৌরসভার ভেতরের মধ্যে থাকা সড়কের নির্মাণ বা সংস্কার পৌর কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে। এখানে পৌর কর্তৃপক্ষকে কাজ করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে লিখিত দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
দীর্ঘদিনে সংস্কার না হওয়ায় মানিকগঞ্জ পৌরসভার বেউথা-আন্ধারমানিক সড়কে খানাখন্দের পাশাপাশি বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। একই অবস্থা হয়েছে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে থেকে জয়রা সড়কেরও। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন সড়ক দুটি দিয়ে চলাচলকারী হাজারো যাত্রী ও পরিবহন চালকেরা।
মানিকগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বলছে, বেউথা-আন্ধারমানিক সড়কটি তারা সংস্কার করে দিলেও সদর উপজেলা পরিষদ থেকে জয়রা পর্যন্ত দ্বিতীয় সড়কটির সংস্কারকাজ করতে হবে এলজিইডিকে। তবে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বলছে, স্থানীয় সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পৌরসভার ভেতরের সড়কগুলো নির্মাণ বা সংস্কার পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে করতে হবে। দুই প্রতিষ্ঠানের রেষারেষিতে ভোগান্তিতে আছেন জেলার হাজারো মানুষ।
আন্ধারমানিক এলাকার বাসিন্দা, সড়ক দিয়ে চলাচলকারী চালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকার হেমায়েতপুর এবং মানিকগঞ্জ-সিঙ্গাইর আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে বেউথা সেতু পার হওয়ার পর আন্ধারমানিক সড়ক দিয়ে পাটুরিয়াগামী অনেক যানবাহন চলাচল করে। পাশাপাশি জেলা সদরে আসতে প্রতিদিন হরিরামপুর উপজেলাসহ জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজারো মানুষ সড়কটি ব্যবহার করেন।
গত তিন বছরের বেশি সময় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে খানাখন্দ দেখা দিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে। বর্ষা মৌসুমে এসব খানাখন্দে পানি জমে দুই কিলোমিটারের এ সড়কের পুরোটা যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এ ছাড়া শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালুতে চালক, যাত্রী ও সড়কের পাশের বাসিন্দারা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
এদিকে, সদর উপজেলা পরিষদ থেকে জয়রা মোড় পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কের পুরো অংশেই দীর্ঘদিন অসংখ্য খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়কের ওপর দিয়ে জেলা শহরসহ আশপাশের উপজেলা থেকে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে যাতায়াত করেন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা। এ ছাড়া সড়কটি দিয়ে জেলার সাটুরিয়া, দৌলতপুরসহ টাঙ্গাইল জেলায় যাতায়াত করেন হাজারো মানুষ। এ সড়কটিও সংস্কার করা হচ্ছে না।
হরিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা আবু তাহের বলেন, তাঁদের উপজেলার শত শত মানুষ জরুরি কাজে আন্ধারমানিক হয়ে মানিকগঞ্জ আসেন। কিন্তু এই সড়কে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের কারণে তাঁদের যাতায়াত করতে কষ্ট হয়। অনেক সময় ছোট যানবাহনে চলাচলের ঝাঁকুনিতে কোমর ব্যথা হয়ে যায়। সড়কের ধুলাবালুর কারণে বাড়তি ভোগান্তি তো আছেই।
আন্ধারমানিক সড়কের ইজিবাইকচালক সেলিম হোসেন বলেন, গর্ত ও খানাখন্দের কারণে প্রায়ই তাঁর গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। কিছুদিন পর পর তাঁর গাড়ি মেরামত করতে হয়। এ ছাড়া ইজিবাইকে ওঠা যাত্রীরা কষ্ট করে চলাচল করেন।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেউথা-আন্ধারমানিক সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের হলেও মানুষের ভোগান্তি বিবেচনা করে জনস্বার্থে খুব দ্রুত তারা সংস্কারকাজ করে দেবেন। এই কাজের জন্য চলতি মাসে দরপত্র আহ্বান করা হবে। এ জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তবে পরবর্তী সময়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে সড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণসহ নালার ব্যবস্থা করা হবে।
মেয়র আরও বলেন, সদর উপজেলা পরিষদ থেকে জয়রা পর্যন্ত সড়কটি এর আগে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ নতুন সড়ক নির্মাণ করেছে। সংস্কারও তাদের করতে হবে। তবে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ পৌর কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অনুরোধ করলে পৌর কর্তৃপক্ষ কাজটি করতে পারে।
মানিকগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়জুল হক বলেন, স্থানীয় সরকারের দেওয়া প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পৌরসভার ভেতরের মধ্যে থাকা সড়কের নির্মাণ বা সংস্কার পৌর কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে। এখানে পৌর কর্তৃপক্ষকে কাজ করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে লিখিত দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে