ক্রীড়া ডেস্ক
আট বছর পর আবারও বিশ্বকাপের ফাইনালে লিওনেল মেসি। এবার কি আর্জেন্টাইনদের ৩৬ বছরের অপেক্ষা ঘোচাতে পারবেন তিনি? কাতারে শেষ বিশ্বকাপ খেলতে আসা মেসির এখন একটাই স্বপ্ন—লুসাইল স্টেডিয়ামে শিরোপা হাতে গড়তে চান ইতিহাস। সেই স্বপ্নে বিভোর ৩৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে সবটুকু নিংড়ে দিয়েছেন। তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে লা আলবিসেলেস্তেরা। তবে ক্রোয়াটদের বিপক্ষে ম্যাচের পর একটি ঘোষণাও দিয়েছেন। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মেসির কথোপকথনের বেশির ভাগ অংশই তুলে দেওয়া হলো এখানে—
প্রশ্ন: নতুন আরেকটি বিশ্বকাপের ফাইনালে থাকতে কেমন লাগছে?
লিওনেল মেসি: এই অর্জনে অনেক খুশি। ফাইনালে শেষ ম্যাচ খেলে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হবে আমার। মানুষ কী অনুভব করেছে, কীভাবে আর্জেন্টিনার লোকজন উপভোগ করেছে, এই বিশ্বকাপে আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, সত্যি রোমাঞ্চকর।
প্রশ্ন: রোববার বিশ্বকাপের ফাইনালই কি আপনার শেষ ম্যাচ?
মেসি: হ্যাঁ, নিশ্চিতভাবে হ্যাঁ। পরেরটি (বিশ্বকাপ) হতে অনেক বছর আছে এবং আমি মনে করি না, ওটাতে খেলতে পারব। এভাবে শেষ করার চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না।
প্রশ্ন: আপনি গোলে বাতিকে (গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা) টপকে গেছেন এবং লোথার ম্যাথিউসকে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলায় ছুঁয়ে ফেলেছেন।
মেসি: সবই ভালো লাগার, তবে গুরুত্বপূর্ণ হলো দলগত অর্জন। এটাই সবচেয়ে সুন্দর। দুর্দান্ত লড়াই করে এখন আমরা শিরোপা থেকে এক ধাপ দূরে এবং আমরা এখন পর্যন্ত আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: একসময় আপনাকে জাতীয় দলে অনেক গালি হজম করতে হয়েছে। আপনার অনেক খারাপ সময় এসেছে। তবে আজকের সময়টি অনেক উপভোগের।
মেসি: আমি শুরু থেকে জাতীয় দলের হয়ে খেলা উপভোগ করছি। যা কিছু আমাদের সঙ্গে হয়েছে, তা উপভোগ করছি। কোপা আমেরিকা জেতা, ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপে আসা এবং বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা অসাধারণ ব্যাপার। আমার পরিবার যেভাবে জীবন যাপন করছে, তা দেখে আমি খুশি। তারা যেভাবে সবকিছু উপভোগ করে, সেটা দেখাও অতিরিক্ত আনন্দের, যা আমার পুরো ক্যারিয়ারকে সঙ্গ দিয়েছে, দুঃসময়ে তারাই পাশে ছিল। এটাই আমি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছি। অনেক কিছু উপভোগ করার ও অসাধারণ কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করে আমি যথেষ্ট ভাগ্যবান এবং সবকিছুর জন্য খুশি।
প্রশ্ন: হ্যামস্ট্রিংয়ে অস্বস্তি নিয়ে আপনি কেমন আছেন?
মেসি: ভালো, ভালো।
প্রশ্ন: এ দল যে দাপুটে ফুটবল আর নিজেদের দৃঢ়তা দেখাচ্ছে, যেটা বিশ্বকাপে আগে কখনো দেখায়নি?
মেসি: আমি মনে করি, যে দল পাঁচটি ফাইনাল খেলেছে, তাদের সবাই বুঝতে পারবে, প্রতিটি ম্যাচে আমরা কী করেছি। মাঝেমধ্যে আমরা ভালো খেলেছি, মাঝেমধ্যে খারাপ, মাঝেমধ্যে চূড়ান্ত পরিস্থিতির মধ্যে যেতে হয়েছে… পাঁচটি ফাইনাল খেলা সহজ নয়। জিততেই হবে ভেবে মাঠে নামা সহজ নয়, আমরা সেটি (কাতার বিশ্বকাপ) দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে করে যাচ্ছি। এটা খুবই মানসিক চাপের এবং এই দল জানে কীভাবে সবকিছু জয় করতে হয়। আমরা পাঁচটি ফাইনাল খেলেছি এবং আমাদের আরও একটি ফাইনাল বাকি।
প্রশ্ন: ভক্ত-সমর্থকদের কোনো বার্তা?
মেসি: উপভোগ করো, সবকিছু উপভোগ করো। আমরা যা কিছু করছি, তা হৃদয়গ্রাহী। আমাদের ইতিহাসে আমরা ষষ্ঠ ফাইনাল খেলতে যাচ্ছি এবং এটা কোনো কিছুই না… আপনারা জানেন, আমাদের সেরাটা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই, প্রতিটি ম্যাচে আমরা যা করে আসছি। হারি বা জিতি, আমি মনে করি, মানুষ বুঝবে যে তাদের এসব উপভোগ করতে হবে। কোপা আমেরিকা জয়, ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপে আসা এবং এখন বিশ্বকাপের ফাইনাল। নিঃসন্দেহে আমরা
সবাই শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে চাই, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। তবে ফুটবল ম্যাচে যেকোনো কিছু ঘটতে পারে… এবং হ্যাঁ, আশা করি এবার ব্রাজিলের (২০১৪ বিশ্বকাপ) চেয়ে ভিন্ন কিছু হবে।
আট বছর পর আবারও বিশ্বকাপের ফাইনালে লিওনেল মেসি। এবার কি আর্জেন্টাইনদের ৩৬ বছরের অপেক্ষা ঘোচাতে পারবেন তিনি? কাতারে শেষ বিশ্বকাপ খেলতে আসা মেসির এখন একটাই স্বপ্ন—লুসাইল স্টেডিয়ামে শিরোপা হাতে গড়তে চান ইতিহাস। সেই স্বপ্নে বিভোর ৩৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে সবটুকু নিংড়ে দিয়েছেন। তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে লা আলবিসেলেস্তেরা। তবে ক্রোয়াটদের বিপক্ষে ম্যাচের পর একটি ঘোষণাও দিয়েছেন। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মেসির কথোপকথনের বেশির ভাগ অংশই তুলে দেওয়া হলো এখানে—
প্রশ্ন: নতুন আরেকটি বিশ্বকাপের ফাইনালে থাকতে কেমন লাগছে?
লিওনেল মেসি: এই অর্জনে অনেক খুশি। ফাইনালে শেষ ম্যাচ খেলে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হবে আমার। মানুষ কী অনুভব করেছে, কীভাবে আর্জেন্টিনার লোকজন উপভোগ করেছে, এই বিশ্বকাপে আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, সত্যি রোমাঞ্চকর।
প্রশ্ন: রোববার বিশ্বকাপের ফাইনালই কি আপনার শেষ ম্যাচ?
মেসি: হ্যাঁ, নিশ্চিতভাবে হ্যাঁ। পরেরটি (বিশ্বকাপ) হতে অনেক বছর আছে এবং আমি মনে করি না, ওটাতে খেলতে পারব। এভাবে শেষ করার চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না।
প্রশ্ন: আপনি গোলে বাতিকে (গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা) টপকে গেছেন এবং লোথার ম্যাথিউসকে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলায় ছুঁয়ে ফেলেছেন।
মেসি: সবই ভালো লাগার, তবে গুরুত্বপূর্ণ হলো দলগত অর্জন। এটাই সবচেয়ে সুন্দর। দুর্দান্ত লড়াই করে এখন আমরা শিরোপা থেকে এক ধাপ দূরে এবং আমরা এখন পর্যন্ত আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: একসময় আপনাকে জাতীয় দলে অনেক গালি হজম করতে হয়েছে। আপনার অনেক খারাপ সময় এসেছে। তবে আজকের সময়টি অনেক উপভোগের।
মেসি: আমি শুরু থেকে জাতীয় দলের হয়ে খেলা উপভোগ করছি। যা কিছু আমাদের সঙ্গে হয়েছে, তা উপভোগ করছি। কোপা আমেরিকা জেতা, ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপে আসা এবং বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা অসাধারণ ব্যাপার। আমার পরিবার যেভাবে জীবন যাপন করছে, তা দেখে আমি খুশি। তারা যেভাবে সবকিছু উপভোগ করে, সেটা দেখাও অতিরিক্ত আনন্দের, যা আমার পুরো ক্যারিয়ারকে সঙ্গ দিয়েছে, দুঃসময়ে তারাই পাশে ছিল। এটাই আমি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছি। অনেক কিছু উপভোগ করার ও অসাধারণ কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করে আমি যথেষ্ট ভাগ্যবান এবং সবকিছুর জন্য খুশি।
প্রশ্ন: হ্যামস্ট্রিংয়ে অস্বস্তি নিয়ে আপনি কেমন আছেন?
মেসি: ভালো, ভালো।
প্রশ্ন: এ দল যে দাপুটে ফুটবল আর নিজেদের দৃঢ়তা দেখাচ্ছে, যেটা বিশ্বকাপে আগে কখনো দেখায়নি?
মেসি: আমি মনে করি, যে দল পাঁচটি ফাইনাল খেলেছে, তাদের সবাই বুঝতে পারবে, প্রতিটি ম্যাচে আমরা কী করেছি। মাঝেমধ্যে আমরা ভালো খেলেছি, মাঝেমধ্যে খারাপ, মাঝেমধ্যে চূড়ান্ত পরিস্থিতির মধ্যে যেতে হয়েছে… পাঁচটি ফাইনাল খেলা সহজ নয়। জিততেই হবে ভেবে মাঠে নামা সহজ নয়, আমরা সেটি (কাতার বিশ্বকাপ) দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে করে যাচ্ছি। এটা খুবই মানসিক চাপের এবং এই দল জানে কীভাবে সবকিছু জয় করতে হয়। আমরা পাঁচটি ফাইনাল খেলেছি এবং আমাদের আরও একটি ফাইনাল বাকি।
প্রশ্ন: ভক্ত-সমর্থকদের কোনো বার্তা?
মেসি: উপভোগ করো, সবকিছু উপভোগ করো। আমরা যা কিছু করছি, তা হৃদয়গ্রাহী। আমাদের ইতিহাসে আমরা ষষ্ঠ ফাইনাল খেলতে যাচ্ছি এবং এটা কোনো কিছুই না… আপনারা জানেন, আমাদের সেরাটা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই, প্রতিটি ম্যাচে আমরা যা করে আসছি। হারি বা জিতি, আমি মনে করি, মানুষ বুঝবে যে তাদের এসব উপভোগ করতে হবে। কোপা আমেরিকা জয়, ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপে আসা এবং এখন বিশ্বকাপের ফাইনাল। নিঃসন্দেহে আমরা
সবাই শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে চাই, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। তবে ফুটবল ম্যাচে যেকোনো কিছু ঘটতে পারে… এবং হ্যাঁ, আশা করি এবার ব্রাজিলের (২০১৪ বিশ্বকাপ) চেয়ে ভিন্ন কিছু হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে