আয়নাল হোসেন, ঢাকা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৪ সালের জানুয়ারির শুরুতে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার মাঠ প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে ৪০ জেলায় পুলিশ সুপার পদে পদায়ন করা হয়েছে। এখন চলছে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নিয়োগের জন্য কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরির কাজ। চলতি বছরের শেষ নাগাদ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ ও বদলির লক্ষ্যে তালিকাগুলো তৈরি হচ্ছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এর অংশ হিসেবে কর্মকর্তাদের সম্পর্কে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ও ৪৯৬ উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা পদে কী কী রদবদল করা হচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণে রাখছেন সংশ্লিষ্টরা। অবশ্য পদায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, জেলা প্রশাসক ও ইউএনও পদে রদবদলের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে প্রশাসনকে সাজানো হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এপিডি) মো. আব্দুস সবুর মণ্ডল বলেন, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও বদলির বিষয়টি একটি ‘চলমান প্রক্রিয়া’। এর সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের ‘কোনো সম্পর্ক নেই’।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ২১ ও ২২তম ব্যাচের কর্মকর্তারা বেশ কয়েকটি জেলায় জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে আছেন। সেখানে ২৪, ২৫ ও ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের জেলা প্রশাসক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। যারা ২১ ও ২২ ব্যাচের হয়েও জেলা প্রশাসক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন, তাঁদের অচিরেই বদলির আওতায় আনা হতে পারে। গত বছর ২৪তম বিসিএসের কয়েকজন জেলা প্রশাসক হয়েছেন। চলতি বছর ২৫তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের জেলা প্রশাসক করার প্রক্রিয়া চলছে। আর ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের আগামী বছরের শুরুতে জেলা প্রশাসক করার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
আর বর্তমানে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় ইউএনওর দায়িত্ব পালন করছেন ৩০, ৩১, ৩৩ ও ৩৪তম ব্যাচের কর্মকর্তারা। আগামী নির্বাচনের আগে (বিসিএস) ৩৪তম ব্যাচের অবশিষ্ট কর্মকর্তা এবং ৩৫ ও ৩৬তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ইউএনও পদের জন্য বাছাইয়ের কাজ চলছে।
প্রশাসন ক্যাডারে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগে মাঠ প্রশাসনের একজন কর্মকর্তাকে পদায়নের সময় ওই কর্মকর্তার দক্ষতা, সততা ও মানবিক গুণাবলির বিষয় বিবেচনায় আসত। রাজনৈতিক পরিচয় সাধারণত বিবেচনায় আনা হতো না। কিন্তু এখন এ বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে। ফলে দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন অনেক কর্মকর্তা মাঠ প্রশাসনের দায়িত্ব পালন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জানতে চাইলে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হলে একজন ডিসি বা ইউএনও প্রশাসনিক নিয়মকানুনের মধ্যে থেকে সব ধরনের কাজ করবেন—এমন ব্যক্তিদের পদায়ন করা উচিত। এতে দেশের ও জাতির জন্য ভালো হবে। আইন মেনে দায়িত্ব পালন করবেন—এমন যোগ্যতাসম্পন্ন যাকে খুশি পদায়ন করা হোক, তাতে কোনো সমস্যা হবে না।
প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, অনেক জেলায় প্রভাবশালী মন্ত্রী বা এমপিরা তাঁদের অনুগত বা আস্থাভাজন ব্যক্তিদের প্রশাসক হিসেবে চান। এর বাইরে গুরুত্বপূর্ণ জেলায় জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগে তদবির থাকে। ফলে অনেক কর্মকর্তার পক্ষে রাজনৈতিক বলয় থেকে বের হওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৪ সালের জানুয়ারির শুরুতে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার মাঠ প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে ৪০ জেলায় পুলিশ সুপার পদে পদায়ন করা হয়েছে। এখন চলছে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নিয়োগের জন্য কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরির কাজ। চলতি বছরের শেষ নাগাদ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ ও বদলির লক্ষ্যে তালিকাগুলো তৈরি হচ্ছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এর অংশ হিসেবে কর্মকর্তাদের সম্পর্কে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ও ৪৯৬ উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা পদে কী কী রদবদল করা হচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণে রাখছেন সংশ্লিষ্টরা। অবশ্য পদায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, জেলা প্রশাসক ও ইউএনও পদে রদবদলের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে প্রশাসনকে সাজানো হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এপিডি) মো. আব্দুস সবুর মণ্ডল বলেন, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও বদলির বিষয়টি একটি ‘চলমান প্রক্রিয়া’। এর সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের ‘কোনো সম্পর্ক নেই’।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ২১ ও ২২তম ব্যাচের কর্মকর্তারা বেশ কয়েকটি জেলায় জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে আছেন। সেখানে ২৪, ২৫ ও ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের জেলা প্রশাসক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। যারা ২১ ও ২২ ব্যাচের হয়েও জেলা প্রশাসক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন, তাঁদের অচিরেই বদলির আওতায় আনা হতে পারে। গত বছর ২৪তম বিসিএসের কয়েকজন জেলা প্রশাসক হয়েছেন। চলতি বছর ২৫তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের জেলা প্রশাসক করার প্রক্রিয়া চলছে। আর ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের আগামী বছরের শুরুতে জেলা প্রশাসক করার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
আর বর্তমানে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় ইউএনওর দায়িত্ব পালন করছেন ৩০, ৩১, ৩৩ ও ৩৪তম ব্যাচের কর্মকর্তারা। আগামী নির্বাচনের আগে (বিসিএস) ৩৪তম ব্যাচের অবশিষ্ট কর্মকর্তা এবং ৩৫ ও ৩৬তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ইউএনও পদের জন্য বাছাইয়ের কাজ চলছে।
প্রশাসন ক্যাডারে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগে মাঠ প্রশাসনের একজন কর্মকর্তাকে পদায়নের সময় ওই কর্মকর্তার দক্ষতা, সততা ও মানবিক গুণাবলির বিষয় বিবেচনায় আসত। রাজনৈতিক পরিচয় সাধারণত বিবেচনায় আনা হতো না। কিন্তু এখন এ বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে। ফলে দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন অনেক কর্মকর্তা মাঠ প্রশাসনের দায়িত্ব পালন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জানতে চাইলে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হলে একজন ডিসি বা ইউএনও প্রশাসনিক নিয়মকানুনের মধ্যে থেকে সব ধরনের কাজ করবেন—এমন ব্যক্তিদের পদায়ন করা উচিত। এতে দেশের ও জাতির জন্য ভালো হবে। আইন মেনে দায়িত্ব পালন করবেন—এমন যোগ্যতাসম্পন্ন যাকে খুশি পদায়ন করা হোক, তাতে কোনো সমস্যা হবে না।
প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, অনেক জেলায় প্রভাবশালী মন্ত্রী বা এমপিরা তাঁদের অনুগত বা আস্থাভাজন ব্যক্তিদের প্রশাসক হিসেবে চান। এর বাইরে গুরুত্বপূর্ণ জেলায় জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগে তদবির থাকে। ফলে অনেক কর্মকর্তার পক্ষে রাজনৈতিক বলয় থেকে বের হওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে