বরুন কান্তি সরকার, নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় ছাত্রীদের একমাত্র সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নাসিরনগর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। উপজেলা সদরে অবস্থিত অর্ধশত বছরের পুরোনো এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকের সংকট চলছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।
বিদ্যালয়সূত্রে জানা গেছে, নাসিরনগর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ২৭টি পদের বিপরীতে শিক্ষক আছেন মাত্র ৫ জন। বাকি ২২টি পদই শূন্য। বাংলা, গণিত, ইংরেজি, জীববিজ্ঞান ও কৃষি বিষয়ের এই পাঁচজন শিক্ষক দিয়ে পুরো বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছে। একই সঙ্গে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদও দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। এ জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়েই চলছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম।
১৯৭০ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হলেও ১৯৮৭ সালে সরকারীকরণ হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রী ৩৭০ জন। নবম ও দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগে পাঁচ-ছয়জন করে ছাত্রী থাকলেও বাণিজ্য বিভাগে শিক্ষক নেই তাই এ বিভাগে কোনো ছাত্রী নেই।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নারী শিক্ষা প্রসারে উপজেলায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষকসংকটে এই বিদ্যালয়ে ভর্তিতে ছাত্রীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এদিকে শিক্ষকসংকট থাকায় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার হতদরিদ্র পরিবারের মেয়েরাও।
শিক্ষক ছাড়াও বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীর পদও শূন্য। ফলে জোড়াতালি দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালছে এ বিদ্যালয়ে।
জানা গেছে, এ বিদ্যালয়ে ভবনসহ রয়েছে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। অবকাঠামো খাতে সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে এখানে। তবে শিক্ষকসংকটে বিদ্যালয়ে ছাত্রী ভর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তা ছাড়া কোনো শিক্ষক ছুটি কিংবা প্রশিক্ষণে গেলে সে বিষয়ে পাঠদান বন্ধ থাকে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক না থাকায় ‘প্রাইভেট টিউটরের’ ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে ছাত্রীদের।
শিক্ষকেরা জানান, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়েই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক না থাকায় এক বিষয়ের শিক্ষককে অন্য বিষয়ে ক্লাস নিতে হচ্ছে। এতে অন্য শিক্ষকদের ওপর চাপ বাড়ছে।
রুপালী আক্তার নামের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলে, ‘শিক্ষকসংকট থাকলেও বিদ্যালয়টি শুধু ছাত্রীদের হওয়াতে আমার মা-বাবা আমাকে এখানে ভর্তি করিয়েছেন।’
বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা বলে, ‘আমি নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হতে চাচ্ছি। তবে শিক্ষকসংকটে বুঝতে পারছি না কী করব’।
স্থানীয় বাসিন্দা পরিমল দাস বলেন, ‘বিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও দীর্ঘদিন ধরে এখানে শিক্ষকসংকটে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ইয়ার খান জানান, শিক্ষকসংকটে বিদ্যালয় চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। শিক্ষকসংকট কেটে গেলে সবকিছু দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুত শিক্ষকসংকট নিরসন হবে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হালিমা খাতুন বলেন, শিক্ষকসংকটের বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। তবে ক্লাস চলমান রাখার জন্য উপজেলার ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি থেকে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় ছাত্রীদের একমাত্র সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নাসিরনগর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। উপজেলা সদরে অবস্থিত অর্ধশত বছরের পুরোনো এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকের সংকট চলছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।
বিদ্যালয়সূত্রে জানা গেছে, নাসিরনগর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ২৭টি পদের বিপরীতে শিক্ষক আছেন মাত্র ৫ জন। বাকি ২২টি পদই শূন্য। বাংলা, গণিত, ইংরেজি, জীববিজ্ঞান ও কৃষি বিষয়ের এই পাঁচজন শিক্ষক দিয়ে পুরো বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছে। একই সঙ্গে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদও দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। এ জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়েই চলছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম।
১৯৭০ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হলেও ১৯৮৭ সালে সরকারীকরণ হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রী ৩৭০ জন। নবম ও দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগে পাঁচ-ছয়জন করে ছাত্রী থাকলেও বাণিজ্য বিভাগে শিক্ষক নেই তাই এ বিভাগে কোনো ছাত্রী নেই।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নারী শিক্ষা প্রসারে উপজেলায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষকসংকটে এই বিদ্যালয়ে ভর্তিতে ছাত্রীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এদিকে শিক্ষকসংকট থাকায় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার হতদরিদ্র পরিবারের মেয়েরাও।
শিক্ষক ছাড়াও বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীর পদও শূন্য। ফলে জোড়াতালি দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালছে এ বিদ্যালয়ে।
জানা গেছে, এ বিদ্যালয়ে ভবনসহ রয়েছে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। অবকাঠামো খাতে সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে এখানে। তবে শিক্ষকসংকটে বিদ্যালয়ে ছাত্রী ভর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তা ছাড়া কোনো শিক্ষক ছুটি কিংবা প্রশিক্ষণে গেলে সে বিষয়ে পাঠদান বন্ধ থাকে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক না থাকায় ‘প্রাইভেট টিউটরের’ ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে ছাত্রীদের।
শিক্ষকেরা জানান, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়েই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক না থাকায় এক বিষয়ের শিক্ষককে অন্য বিষয়ে ক্লাস নিতে হচ্ছে। এতে অন্য শিক্ষকদের ওপর চাপ বাড়ছে।
রুপালী আক্তার নামের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলে, ‘শিক্ষকসংকট থাকলেও বিদ্যালয়টি শুধু ছাত্রীদের হওয়াতে আমার মা-বাবা আমাকে এখানে ভর্তি করিয়েছেন।’
বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা বলে, ‘আমি নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হতে চাচ্ছি। তবে শিক্ষকসংকটে বুঝতে পারছি না কী করব’।
স্থানীয় বাসিন্দা পরিমল দাস বলেন, ‘বিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও দীর্ঘদিন ধরে এখানে শিক্ষকসংকটে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ইয়ার খান জানান, শিক্ষকসংকটে বিদ্যালয় চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। শিক্ষকসংকট কেটে গেলে সবকিছু দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুত শিক্ষকসংকট নিরসন হবে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হালিমা খাতুন বলেন, শিক্ষকসংকটের বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। তবে ক্লাস চলমান রাখার জন্য উপজেলার ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি থেকে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে