জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা
১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই কলকাতায় বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমিতি কবি ইকবালের কবিতা নিয়ে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেখানে কলকাতার মেয়র আব্দুর রহমান সিদ্দিকী ছিলেন সভাপতি, আর আলোচক ছিলেন কবি অমিয় চক্রবর্তী। সভায় ইংরেজি আর উর্দুতে আলোচনা হলেও সভাপতি বাংলায় আলোচনার অনুমতি দেননি। তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হবীবুল্লাহ বাহার ও শওকত ওসমান। এতে সভাপতি নিজেই সভাকক্ষ ত্যাগ করে চলে যান। পরদিন অমিয় চক্রবর্তী রবীন্দ্রনাথকে চিঠি লিখে এই ঘটনার উল্লেখ করেন। মাতৃভাষার প্রতি বাঙালি মুসলমান তরুণদের ভালোবাসার প্রকাশ দেখে রবীন্দ্রনাথ মুগ্ধতা প্রকাশ করেছিলেন।
ইতিহাস জানাচ্ছে, বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের ১৯৪৬ সালের ঘোষণাপত্রে বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার প্রতিশ্রুতি ছিল।
১৯৪৭ সালের ১৭ মে হায়দরাবাদে উর্দু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মুসলিম লীগ নেতা চৌধুরী খালেকুজ্জামান ঘোষণা করেন, পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা হবে উর্দু। ৩ জুন মাউন্টব্যাটেন ঘোষণা করেন, ভারত বিভক্ত হবে, বঙ্গ বিভাগ হবে এবং ভারত দুই অংশে বিভক্ত হয়ে একটি রাষ্ট্র পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণার পর কলকাতার মুসলমান লেখক-সাংবাদিকদের কয়েকজন আজাদ পত্রিকায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন প্রাবন্ধিক আব্দুল হক, কবি আবুল হোসেন, কবি আহসান হাবীব। ভাষাবিষয়ক এই বিতর্কে আরও যাঁরা যোগ দেন, তাঁরা হলেন কাজী মোতাহার হোসেন, আবুল মনসুর আহমদ, মোহাম্মদ এনামুল হক, ফররুখ আহমদ, আবুল কাশেম প্রমুখ।
দেশভাগ হলো। ভাষাপ্রসঙ্গটি বিতর্কে রূপ নিতে খুব বেশি দেরি হলো না।
আমরা ১৯৪৭ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত ড. মুহম্মদ এনামুল হকের একটি প্রবন্ধ থেকে কিছু অংশ পড়ে দেখতে পারি। তিনি লিখেছেন, ‘এক রাষ্ট্রে একাধিক রাষ্ট্রভাষা অচল—আমাদের এই চিন্তা কি মঙ্গলময় সুফলপ্রসূ? ইংরেজদের ন্যায় সাম্রাজ্যবাদীরা এই রাষ্ট্রকে এইরূপ সামগ্রিকভাবে চিন্তা করিয়া থাকেন। …
‘যাহারা পাকিস্তানকে সামগ্রিকভাবে চিন্তা করিতে অভ্যস্ত, তাহারা মুক্তবুদ্ধি ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নহেন বলিয়া মনে হয়। তাহারা প্রথমত ভুলিয়া যান যে, পাকিস্তান পৃথক পৃথক ভৌগোলিক পরিবেশে অবস্থিত বিভিন্ন ভাষাভাষী রাজ্য সমন্বিত একটি রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্রের পূর্বাংশে সর্বত্রই বাংলা এবং পশ্চিমাংশের নানা স্থানে নানা ভাষা প্রচলিত। ইহার প্রায় ৪ কোটি লোক বাংলা ভাষা বলে এবং অবশিষ্ট তিন কোটি লোক অন্যান্য ভাষা বলিয়া থাকে। সিন্ধি, পাঞ্জাবি, গুরুমুখী, বেলুচি ও পশতু প্রভৃতি পশ্চিম পাকিস্তানি ভাষা জনসাধারণের মৌখিক ভাষা,—লেখা হইলেও, সাহিত্য সম্পদে সম্পদশালী নহে। সেই জন্যই রাষ্ট্রীয় ভাষার স্থান দখল করিতে অসমর্থ। প্রকৃতপক্ষে, পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে ভব্য ও ভদ্রসমাজে দেশি ভাষা চলে না—তৎস্থলে চলে উর্দু। বলা বাহুল্য, পাঞ্জাব ও সিন্ধুর অধিকাংশ শিক্ষিত লোকের সাহিত্যের ভাষাও উর্দু। অতএব, বলিতে পারা যায় যে, পশ্চিম পাকিস্তানের লোকের পক্ষে উর্দুকে তাহাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ভাষা, বিশেষত রাষ্ট্রীয় ভাষা বলিয়া গ্রহণ না করিয়া উপায়ান্তর নাই। যাহারা উপায়ান্তরবিহীন তাহাদের কথা স্বতন্ত্র। আমাদের ন্যায় যাহাদের অন্য উপায় রহিয়াছে, তাহারা অনন্য গতিদের শরণ লইবেন কেন? এইরূপ করা কি নির্বুদ্ধিতার লক্ষণ নহে?’
ড. মুহম্মদ এনামুল হক এরপর পৃথিবীর নানা দেশের লোকসংখ্যার অনুপাতে বাংলা ভাষার অবস্থান, বাংলার সাহিত্য সম্পদ, এই ভাষার স্বাভাবিক সৌন্দর্য, ভাবসম্পদ সম্পর্কে জানান। তারপর রাশিয়া ও সুইজারল্যান্ডের উদাহরণ দিয়ে বলেন, আধুনিক রাষ্ট্রে একাধিক রাষ্ট্রভাষা থাকাটা স্বাভাবিক একটা প্রক্রিয়া। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘(উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা হলে) ... ইহাতে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সর্বনাশ ঘটিবে। নিশ্চিত রূপে এই তথাকথিত সান্ত্বনার পথ উর্দুর সড়ক ধরিয়া আসিলে পূর্ব-পাকিস্তানবাসীর মরণ—রাজনৈতিক, রাষ্ট্রীয়, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মৃত্যু।’
পাকিস্তানের তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী আব্দুর রব নিশতার সিলেট সফরে যান ১৯৪৮ সালের ১১ জানুয়ারি। সিলেট মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুস সামাদের নেতৃত্বে একদল ছাত্র মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। তাঁরা দাবি জানিয়েছিলেন, পূর্ববঙ্গের অফিস-আদালতে সরকারি ভাষা এবং শিক্ষার বাহনরূপে বাংলাকে যেন প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সদস্যরা ঢাকায় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর রহমানের সঙ্গে বাংলা ভাষার দাবি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। ২ ফেব্রুয়ারি ভিক্টোরিয়া পার্কে জনসভার শেষে শিক্ষামন্ত্রী মন্তব্য করেন, রাষ্ট্রভাষা-প্রসঙ্গটি গণপরিষদের বিবেচনার বিষয়।
২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদের অধিবেশনে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলাকেও গণপরিষদের ব্যবহারিক ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি সংশোধনী প্রস্তাব আনেন। কিন্তু মুসলিম লীগ সদস্যদের সম্মিলিত বিরোধিতায় তা বাতিল হয়ে যায়।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের এই বীরোচিত সংগ্রাম তুলে ধরা না হলে ভাষা আন্দোলনের কাছে পৌঁছানো কঠিন হবে।
১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই কলকাতায় বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমিতি কবি ইকবালের কবিতা নিয়ে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেখানে কলকাতার মেয়র আব্দুর রহমান সিদ্দিকী ছিলেন সভাপতি, আর আলোচক ছিলেন কবি অমিয় চক্রবর্তী। সভায় ইংরেজি আর উর্দুতে আলোচনা হলেও সভাপতি বাংলায় আলোচনার অনুমতি দেননি। তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হবীবুল্লাহ বাহার ও শওকত ওসমান। এতে সভাপতি নিজেই সভাকক্ষ ত্যাগ করে চলে যান। পরদিন অমিয় চক্রবর্তী রবীন্দ্রনাথকে চিঠি লিখে এই ঘটনার উল্লেখ করেন। মাতৃভাষার প্রতি বাঙালি মুসলমান তরুণদের ভালোবাসার প্রকাশ দেখে রবীন্দ্রনাথ মুগ্ধতা প্রকাশ করেছিলেন।
ইতিহাস জানাচ্ছে, বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের ১৯৪৬ সালের ঘোষণাপত্রে বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার প্রতিশ্রুতি ছিল।
১৯৪৭ সালের ১৭ মে হায়দরাবাদে উর্দু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মুসলিম লীগ নেতা চৌধুরী খালেকুজ্জামান ঘোষণা করেন, পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা হবে উর্দু। ৩ জুন মাউন্টব্যাটেন ঘোষণা করেন, ভারত বিভক্ত হবে, বঙ্গ বিভাগ হবে এবং ভারত দুই অংশে বিভক্ত হয়ে একটি রাষ্ট্র পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণার পর কলকাতার মুসলমান লেখক-সাংবাদিকদের কয়েকজন আজাদ পত্রিকায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন প্রাবন্ধিক আব্দুল হক, কবি আবুল হোসেন, কবি আহসান হাবীব। ভাষাবিষয়ক এই বিতর্কে আরও যাঁরা যোগ দেন, তাঁরা হলেন কাজী মোতাহার হোসেন, আবুল মনসুর আহমদ, মোহাম্মদ এনামুল হক, ফররুখ আহমদ, আবুল কাশেম প্রমুখ।
দেশভাগ হলো। ভাষাপ্রসঙ্গটি বিতর্কে রূপ নিতে খুব বেশি দেরি হলো না।
আমরা ১৯৪৭ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত ড. মুহম্মদ এনামুল হকের একটি প্রবন্ধ থেকে কিছু অংশ পড়ে দেখতে পারি। তিনি লিখেছেন, ‘এক রাষ্ট্রে একাধিক রাষ্ট্রভাষা অচল—আমাদের এই চিন্তা কি মঙ্গলময় সুফলপ্রসূ? ইংরেজদের ন্যায় সাম্রাজ্যবাদীরা এই রাষ্ট্রকে এইরূপ সামগ্রিকভাবে চিন্তা করিয়া থাকেন। …
‘যাহারা পাকিস্তানকে সামগ্রিকভাবে চিন্তা করিতে অভ্যস্ত, তাহারা মুক্তবুদ্ধি ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নহেন বলিয়া মনে হয়। তাহারা প্রথমত ভুলিয়া যান যে, পাকিস্তান পৃথক পৃথক ভৌগোলিক পরিবেশে অবস্থিত বিভিন্ন ভাষাভাষী রাজ্য সমন্বিত একটি রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্রের পূর্বাংশে সর্বত্রই বাংলা এবং পশ্চিমাংশের নানা স্থানে নানা ভাষা প্রচলিত। ইহার প্রায় ৪ কোটি লোক বাংলা ভাষা বলে এবং অবশিষ্ট তিন কোটি লোক অন্যান্য ভাষা বলিয়া থাকে। সিন্ধি, পাঞ্জাবি, গুরুমুখী, বেলুচি ও পশতু প্রভৃতি পশ্চিম পাকিস্তানি ভাষা জনসাধারণের মৌখিক ভাষা,—লেখা হইলেও, সাহিত্য সম্পদে সম্পদশালী নহে। সেই জন্যই রাষ্ট্রীয় ভাষার স্থান দখল করিতে অসমর্থ। প্রকৃতপক্ষে, পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে ভব্য ও ভদ্রসমাজে দেশি ভাষা চলে না—তৎস্থলে চলে উর্দু। বলা বাহুল্য, পাঞ্জাব ও সিন্ধুর অধিকাংশ শিক্ষিত লোকের সাহিত্যের ভাষাও উর্দু। অতএব, বলিতে পারা যায় যে, পশ্চিম পাকিস্তানের লোকের পক্ষে উর্দুকে তাহাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ভাষা, বিশেষত রাষ্ট্রীয় ভাষা বলিয়া গ্রহণ না করিয়া উপায়ান্তর নাই। যাহারা উপায়ান্তরবিহীন তাহাদের কথা স্বতন্ত্র। আমাদের ন্যায় যাহাদের অন্য উপায় রহিয়াছে, তাহারা অনন্য গতিদের শরণ লইবেন কেন? এইরূপ করা কি নির্বুদ্ধিতার লক্ষণ নহে?’
ড. মুহম্মদ এনামুল হক এরপর পৃথিবীর নানা দেশের লোকসংখ্যার অনুপাতে বাংলা ভাষার অবস্থান, বাংলার সাহিত্য সম্পদ, এই ভাষার স্বাভাবিক সৌন্দর্য, ভাবসম্পদ সম্পর্কে জানান। তারপর রাশিয়া ও সুইজারল্যান্ডের উদাহরণ দিয়ে বলেন, আধুনিক রাষ্ট্রে একাধিক রাষ্ট্রভাষা থাকাটা স্বাভাবিক একটা প্রক্রিয়া। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘(উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা হলে) ... ইহাতে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সর্বনাশ ঘটিবে। নিশ্চিত রূপে এই তথাকথিত সান্ত্বনার পথ উর্দুর সড়ক ধরিয়া আসিলে পূর্ব-পাকিস্তানবাসীর মরণ—রাজনৈতিক, রাষ্ট্রীয়, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মৃত্যু।’
পাকিস্তানের তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী আব্দুর রব নিশতার সিলেট সফরে যান ১৯৪৮ সালের ১১ জানুয়ারি। সিলেট মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুস সামাদের নেতৃত্বে একদল ছাত্র মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। তাঁরা দাবি জানিয়েছিলেন, পূর্ববঙ্গের অফিস-আদালতে সরকারি ভাষা এবং শিক্ষার বাহনরূপে বাংলাকে যেন প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সদস্যরা ঢাকায় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর রহমানের সঙ্গে বাংলা ভাষার দাবি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। ২ ফেব্রুয়ারি ভিক্টোরিয়া পার্কে জনসভার শেষে শিক্ষামন্ত্রী মন্তব্য করেন, রাষ্ট্রভাষা-প্রসঙ্গটি গণপরিষদের বিবেচনার বিষয়।
২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদের অধিবেশনে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলাকেও গণপরিষদের ব্যবহারিক ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি সংশোধনী প্রস্তাব আনেন। কিন্তু মুসলিম লীগ সদস্যদের সম্মিলিত বিরোধিতায় তা বাতিল হয়ে যায়।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের এই বীরোচিত সংগ্রাম তুলে ধরা না হলে ভাষা আন্দোলনের কাছে পৌঁছানো কঠিন হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে