আরিফ আহম্মেদ, গৌরীপুর
বিদ্যুৎবিভ্রাট থেকে কিছুতেই মুক্তি মিলছে না গৌরীপুরবাসীর। সামান্য বাতাস হলেই চলে যায় বিদ্যুৎ। ঝড়-বৃষ্টি হলে তো ভোগান্তির শেষ-ই থাকে না। সম্প্রতি পৌরশহরে কিছুটা উন্নতি হলেও গ্রামে অবস্থা করুণ। বিদ্যুৎ গেলে কখন যে ফিরবে খোদ বিদ্যুৎ বিভাগও জানে না।
তবে আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয় বলছে, এ জন্য দায়ী রাস্তার পাশের গাছপালা। ঝড়-বৃষ্টি ও বাতাসে বিদ্যুতের তারের ওপর ডালপালা পড়লে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। একই দাবি করেছেন পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারাও।
জানা গেছে, গৌরীপুর পৌরসভা এলাকায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সংযোগ। ইউনিয়নগুলোতে রয়েছে দুই ধরনের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ মিলে বর্তমানে প্রায় শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে উপজেলায়। তবে সেবার মানের চেয়ে অভিযোগই পাওয়া যায় বেশি। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে জীবনযাপনের বিরূপ প্রভাব পড়ছে প্রতিদিন।
মাওহা গ্রামের আব্দুল হাদি বলেন, একটু বাতাস হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। কখনো কখনো কয়েক দিন লাগে লাইন চালু করতে।
এদিকে কয়েক বছর ধরে গৌরীপুরে চলছে বিদ্যুৎ বিতরণ উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের কাজ। ধীর গতির কাজে রয়েছে অসংখ্য অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ। সরকারি ব্যয়ে বিদ্যুতের খুঁটি, তার ও ট্রান্সফরমার স্থাপনের কথা থাকলেও নানা অজুহাতে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
শাহবাজপুর গ্রামের বাবুল মিয়া বলেন, ঠিকাদারের লোকজন প্রথমবার টাকা নিয়েছে খুঁটির জন্য। পরে তার টানানোর সময়, সবশেষে ট্রান্সফরমার লাগানোর জন্য। এভাবেই নানা অজুহাতে টাকা চান তাঁরা, না দিলে কাজ বন্ধ করে দেন।
গৌরীপুর আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এলটি সংযোগ আছে ১০৫ ও এসটি ১৩৫ কিলোমিটার। তার মধ্যে পৌর এলাকায় এলটি ৪০ ও এসটি ৩৮ কিলোমিটার। পৌরসভায় গ্রাহকসংখ্যা ১০ হাজারের বেশি, অন্য সংযোগগুলো ১০টি ইউনিয়নে। গৌরীপুরে পিডিবির মোট গ্রাহক ১৮ হাজার ২৩০ জন। সেচের গ্রাহক রয়েছে ১ হাজারের বেশি। পিডিবির দৈনিক চাহিদা ৮.৫ মেগাওয়াট।
অপরদিকে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ শাহগঞ্জ শাখা কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গৌরীপুরে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৪৫ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। বাতাস ও ঝড়-বৃষ্টির সময় লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে সংযোগ বন্ধ রাখা হয়।
গৌরীপুর আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, বর্তমানে গৌরীপুরে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। তবে অতিরিক্ত গরমের সময় চাহিদা বেড়ে যায়, তখন লোডশেডিং দিতে হয়। এ ছাড়া কারিগরি ত্রুটির কারণেও বিদ্যুতের ঘাটতি হয়।
ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিতরণ উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রকল্প বিভাগ-১) রায়হান নবী খান বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন স্থাপনের ক্ষেত্রে কোনো রকম আর্থিক লেনদেনের সুযোগ নেই। এর সম্পূর্ণ ব্যয় সরকার বহন করছে। পর্যাপ্তসংখ্যক খুঁটি, তার ও ট্রান্সফরমার আছে আমাদের। কারও বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিদ্যুৎবিভ্রাট থেকে কিছুতেই মুক্তি মিলছে না গৌরীপুরবাসীর। সামান্য বাতাস হলেই চলে যায় বিদ্যুৎ। ঝড়-বৃষ্টি হলে তো ভোগান্তির শেষ-ই থাকে না। সম্প্রতি পৌরশহরে কিছুটা উন্নতি হলেও গ্রামে অবস্থা করুণ। বিদ্যুৎ গেলে কখন যে ফিরবে খোদ বিদ্যুৎ বিভাগও জানে না।
তবে আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয় বলছে, এ জন্য দায়ী রাস্তার পাশের গাছপালা। ঝড়-বৃষ্টি ও বাতাসে বিদ্যুতের তারের ওপর ডালপালা পড়লে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। একই দাবি করেছেন পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারাও।
জানা গেছে, গৌরীপুর পৌরসভা এলাকায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সংযোগ। ইউনিয়নগুলোতে রয়েছে দুই ধরনের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ মিলে বর্তমানে প্রায় শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে উপজেলায়। তবে সেবার মানের চেয়ে অভিযোগই পাওয়া যায় বেশি। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে জীবনযাপনের বিরূপ প্রভাব পড়ছে প্রতিদিন।
মাওহা গ্রামের আব্দুল হাদি বলেন, একটু বাতাস হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। কখনো কখনো কয়েক দিন লাগে লাইন চালু করতে।
এদিকে কয়েক বছর ধরে গৌরীপুরে চলছে বিদ্যুৎ বিতরণ উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের কাজ। ধীর গতির কাজে রয়েছে অসংখ্য অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ। সরকারি ব্যয়ে বিদ্যুতের খুঁটি, তার ও ট্রান্সফরমার স্থাপনের কথা থাকলেও নানা অজুহাতে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
শাহবাজপুর গ্রামের বাবুল মিয়া বলেন, ঠিকাদারের লোকজন প্রথমবার টাকা নিয়েছে খুঁটির জন্য। পরে তার টানানোর সময়, সবশেষে ট্রান্সফরমার লাগানোর জন্য। এভাবেই নানা অজুহাতে টাকা চান তাঁরা, না দিলে কাজ বন্ধ করে দেন।
গৌরীপুর আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এলটি সংযোগ আছে ১০৫ ও এসটি ১৩৫ কিলোমিটার। তার মধ্যে পৌর এলাকায় এলটি ৪০ ও এসটি ৩৮ কিলোমিটার। পৌরসভায় গ্রাহকসংখ্যা ১০ হাজারের বেশি, অন্য সংযোগগুলো ১০টি ইউনিয়নে। গৌরীপুরে পিডিবির মোট গ্রাহক ১৮ হাজার ২৩০ জন। সেচের গ্রাহক রয়েছে ১ হাজারের বেশি। পিডিবির দৈনিক চাহিদা ৮.৫ মেগাওয়াট।
অপরদিকে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ শাহগঞ্জ শাখা কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গৌরীপুরে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৪৫ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। বাতাস ও ঝড়-বৃষ্টির সময় লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে সংযোগ বন্ধ রাখা হয়।
গৌরীপুর আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, বর্তমানে গৌরীপুরে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। তবে অতিরিক্ত গরমের সময় চাহিদা বেড়ে যায়, তখন লোডশেডিং দিতে হয়। এ ছাড়া কারিগরি ত্রুটির কারণেও বিদ্যুতের ঘাটতি হয়।
ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিতরণ উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রকল্প বিভাগ-১) রায়হান নবী খান বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন স্থাপনের ক্ষেত্রে কোনো রকম আর্থিক লেনদেনের সুযোগ নেই। এর সম্পূর্ণ ব্যয় সরকার বহন করছে। পর্যাপ্তসংখ্যক খুঁটি, তার ও ট্রান্সফরমার আছে আমাদের। কারও বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে