রিমন রহমান, রাজশাহী
মাথার ওপর বৈদ্যুতিক পাখা ঘুরছে। তাও মোজাম্মেল হকের শরীর ভিজে যাচ্ছে ঘামে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে নিজেই হাতপাখা ঘোরাচ্ছেন। গত রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগের ২০৬ নম্বর কক্ষে এই দৃশ্যই দেখা গেছে। কক্ষটিতে দুটি পাঁচ টনের এসি আছে। এর মধ্যে একটি চলছিল। কিন্তু ঠান্ডা বাতাসের বদলে বের হচ্ছিল গরম বাতাস।
মোজাম্মেল হক নাটোরের মাদনগর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘এসি চলছে, কিন্তু ঘর ঠান্ডা হচ্ছে না। ফ্যানও চলছে। কিন্তু বাতাস লাগছে না। তাই গরমে থাকতে পারছি না। হাতপাখাই ভরসা।’
হৃদ্রোগ বিভাগে দেখা গেছে, বেশির ভাগ রোগীর মাথার কাছে ছোট ছোট টেবিল ফ্যান। রোগীর স্বজনদের কেউ কেউ এসব ফ্যান বাড়ি থেকে এনেছেন। কেউ কেউ আবার বাধ্য হয়ে হাসপাতালের পাশের দোকান থেকে কিনেছেন। কিন্তু এসব ছোট ফ্যানের বাতাসেও গরমের হাত থেকে রোগীরা রেহাই পাচ্ছেন না।
রামেক হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডটিতে ভর্তি করা হয় হৃদ্রোগীদের। এর মধ্যে সবচেয়ে জটিল রোগীদের রাখা হয় ওয়ার্ডের করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)-১ ও ২ নম্বর কক্ষে। তুলনামূলক কম জটিল রোগীদের রাখা হয় পোস্ট করোনারি কেয়ার ইউনিট (পিসিসিইউ)-১,২, ৬ ও ৭ নম্বর কক্ষে। প্রতিটি কক্ষেই আছে পাঁচ টনের দুটি করে এসি। এই ১২টি এসির মধ্যে চলে মাত্র তিনটি।
ওয়ার্ড সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিসিইউ-১-এর ২০২ নম্বর কক্ষে একটি, পিসিসিইউ-১-এর ২০৪ নম্বর কক্ষে একটি এবং পিসিসিইউ-৭-এর ২০৭ নম্বর কক্ষে একটি করে এসি স্বাভাবিকভাবে চলে। এসব কক্ষে থাকা আরেকটি করে এসি নষ্ট। পিসিসিইউ-১-এর ২০৬ নম্বর কক্ষে একটি এসি চললেও বের হয় গরম বাতাস, অন্যটি চলেই না। জটিল হৃদ্রোগীদের সিসিইউ-২-এর ২০৫ নম্বর কক্ষে থাকা দুটি এসির একটিও চলে না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের মে মাসে নতুন তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় হৃদ্রোগীদের জন্য কার্ডিয়াক ইউনিট চালু করা হয়। সিসিইউতে আটটি করে ১৬ টিসহ মোট ৭০টি শয্যা আছে এই ইউনিটে। তবে রোগী ভর্তি থাকেন শতাধিক। কক্ষের ভেতরে মেঝে এবং বাইরে বারান্দাতেও রোগী থাকেন। আর প্রত্যেক রোগীর সঙ্গে থাকেন একাধিক স্বজন। ফলে ইউনিটটি সব সময় মানুষে গিজ গিজ করে। বৈদ্যুতিক পাখাগুলো বেশ উঁচুতে থাকা, এসি বন্ধ থাকা এবং মানুষের চাপের কারণে সেখানে সব সময় তীব্র গরম অনুভূত হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হৃদ্রোগ বিভাগের একজন চিকিৎসক বলেন, ‘রোগী থাকার পরিবেশটা ভালো নয়। ওয়ার্ডটিতে একটা গুমোট পরিবেশ। বাইরের বাতাস আসে না, ফ্যানের বাতাস গায়ে লাগে না। এসিগুলোও নষ্ট। ওয়ার্ডটির দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।’
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানীও এটি মনে করেন। তিনি বলেন, ‘শুধু হৃদ্রোগ বিভাগ নয়, ওটিতে পর্যন্ত এসি নষ্ট। বিভাগীয় শহরের একটা হাসপাতালে এমন অবস্থা ভাবতেই পারি না। ২০১৪ সালে লাগানো এসব এসি এখন কাজ করে না।’
পরিচালক আরও বলেন, মেরামতের কোনো কাজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে করার সুযোগ নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ করা অর্থে কাজটি করে থাকে গণপূর্ত অধিদপ্তর। সম্প্রতি দুবার গণপূর্ত অধিদপ্তর হৃদ্রোগ বিভাগের এসিগুলো খুলে নিয়ে গিয়ে মেরামত করিয়েছে। কিন্তু লাগানোর পর দেখা গেছে, ঠান্ডা বাতাসের বদলে বের হচ্ছে গরম বাতাস। এ ধরনের এসিগুলোকে বন্ধ রাখা হয়।
জানতে চাইলে রাজশাহীর গণপূর্ত বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘রামেক হাসপাতালে সব মিলিয়ে ৫০০ এসি আছে। দুই-একটা নাও চলতে পারে। সেটা মেরামত করা হবে।’
মাথার ওপর বৈদ্যুতিক পাখা ঘুরছে। তাও মোজাম্মেল হকের শরীর ভিজে যাচ্ছে ঘামে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে নিজেই হাতপাখা ঘোরাচ্ছেন। গত রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগের ২০৬ নম্বর কক্ষে এই দৃশ্যই দেখা গেছে। কক্ষটিতে দুটি পাঁচ টনের এসি আছে। এর মধ্যে একটি চলছিল। কিন্তু ঠান্ডা বাতাসের বদলে বের হচ্ছিল গরম বাতাস।
মোজাম্মেল হক নাটোরের মাদনগর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘এসি চলছে, কিন্তু ঘর ঠান্ডা হচ্ছে না। ফ্যানও চলছে। কিন্তু বাতাস লাগছে না। তাই গরমে থাকতে পারছি না। হাতপাখাই ভরসা।’
হৃদ্রোগ বিভাগে দেখা গেছে, বেশির ভাগ রোগীর মাথার কাছে ছোট ছোট টেবিল ফ্যান। রোগীর স্বজনদের কেউ কেউ এসব ফ্যান বাড়ি থেকে এনেছেন। কেউ কেউ আবার বাধ্য হয়ে হাসপাতালের পাশের দোকান থেকে কিনেছেন। কিন্তু এসব ছোট ফ্যানের বাতাসেও গরমের হাত থেকে রোগীরা রেহাই পাচ্ছেন না।
রামেক হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডটিতে ভর্তি করা হয় হৃদ্রোগীদের। এর মধ্যে সবচেয়ে জটিল রোগীদের রাখা হয় ওয়ার্ডের করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)-১ ও ২ নম্বর কক্ষে। তুলনামূলক কম জটিল রোগীদের রাখা হয় পোস্ট করোনারি কেয়ার ইউনিট (পিসিসিইউ)-১,২, ৬ ও ৭ নম্বর কক্ষে। প্রতিটি কক্ষেই আছে পাঁচ টনের দুটি করে এসি। এই ১২টি এসির মধ্যে চলে মাত্র তিনটি।
ওয়ার্ড সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিসিইউ-১-এর ২০২ নম্বর কক্ষে একটি, পিসিসিইউ-১-এর ২০৪ নম্বর কক্ষে একটি এবং পিসিসিইউ-৭-এর ২০৭ নম্বর কক্ষে একটি করে এসি স্বাভাবিকভাবে চলে। এসব কক্ষে থাকা আরেকটি করে এসি নষ্ট। পিসিসিইউ-১-এর ২০৬ নম্বর কক্ষে একটি এসি চললেও বের হয় গরম বাতাস, অন্যটি চলেই না। জটিল হৃদ্রোগীদের সিসিইউ-২-এর ২০৫ নম্বর কক্ষে থাকা দুটি এসির একটিও চলে না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের মে মাসে নতুন তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় হৃদ্রোগীদের জন্য কার্ডিয়াক ইউনিট চালু করা হয়। সিসিইউতে আটটি করে ১৬ টিসহ মোট ৭০টি শয্যা আছে এই ইউনিটে। তবে রোগী ভর্তি থাকেন শতাধিক। কক্ষের ভেতরে মেঝে এবং বাইরে বারান্দাতেও রোগী থাকেন। আর প্রত্যেক রোগীর সঙ্গে থাকেন একাধিক স্বজন। ফলে ইউনিটটি সব সময় মানুষে গিজ গিজ করে। বৈদ্যুতিক পাখাগুলো বেশ উঁচুতে থাকা, এসি বন্ধ থাকা এবং মানুষের চাপের কারণে সেখানে সব সময় তীব্র গরম অনুভূত হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হৃদ্রোগ বিভাগের একজন চিকিৎসক বলেন, ‘রোগী থাকার পরিবেশটা ভালো নয়। ওয়ার্ডটিতে একটা গুমোট পরিবেশ। বাইরের বাতাস আসে না, ফ্যানের বাতাস গায়ে লাগে না। এসিগুলোও নষ্ট। ওয়ার্ডটির দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।’
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানীও এটি মনে করেন। তিনি বলেন, ‘শুধু হৃদ্রোগ বিভাগ নয়, ওটিতে পর্যন্ত এসি নষ্ট। বিভাগীয় শহরের একটা হাসপাতালে এমন অবস্থা ভাবতেই পারি না। ২০১৪ সালে লাগানো এসব এসি এখন কাজ করে না।’
পরিচালক আরও বলেন, মেরামতের কোনো কাজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে করার সুযোগ নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ করা অর্থে কাজটি করে থাকে গণপূর্ত অধিদপ্তর। সম্প্রতি দুবার গণপূর্ত অধিদপ্তর হৃদ্রোগ বিভাগের এসিগুলো খুলে নিয়ে গিয়ে মেরামত করিয়েছে। কিন্তু লাগানোর পর দেখা গেছে, ঠান্ডা বাতাসের বদলে বের হচ্ছে গরম বাতাস। এ ধরনের এসিগুলোকে বন্ধ রাখা হয়।
জানতে চাইলে রাজশাহীর গণপূর্ত বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘রামেক হাসপাতালে সব মিলিয়ে ৫০০ এসি আছে। দুই-একটা নাও চলতে পারে। সেটা মেরামত করা হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৬ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
১০ দিন আগে