মো. আতাউর রহমান, জয়পুরহাট
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, দলীয় নেতা-কর্মীদের বেশি সুবিধা পাওয়া—নির্বাচন নিয়ে জয়পুরহাট-১ আসনের ভোটারদের মধ্যে ভাবনার অনেকটা জুড়ে এখন এসব ইস্যু। পাঁচবিবি ও সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে টানা দুবার এমপি হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামসুল আলম দুদু। ব্যক্তিগতভাবে তিনি বেশ জনপ্রিয় হলেও এবার তাঁর জন্য পরিস্থিতি কঠিন হতে পারে।
জয়পুরহাটে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে এখন দুটি করে গ্রুপ। আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন জয়পুরহাট-২ আসনের এমপি আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। অপর গ্রুপের নেতৃত্বে এ আসনের বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট শামসুল আলম দুদু। আবার বিএনপির একটি গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শামছুল হক। অন্য গ্রুপের নেতৃত্বে বিএনপির জাতীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য এবং প্রয়াত এমপি আব্দুল আলীমের ছেলে ফয়সাল আলীম।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির উভয় গ্রুপে দ্বন্দ্ব এতটাই তীব্র, অনেক সময় দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিও দুই ভাগ হয়ে পালন করেন নেতা-কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবারই দেখা গেছে এমন চিত্র। দুই ভাগ হয়ে আলাদা সময়ে কর্মসূচি পালন করেছেন বিএনপির নেতারা।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে শক্ত অবস্থানে আছেন তিনজন। বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট শামসুল আলম দুদু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মণ্ডল। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খাজা শামছুল আলম, জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, জয়পুরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম এবং পাঁচবিবি পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব।
বিএনপি থেকে আলোচনায় আছেন জাতীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য এবং প্রয়াত এমপি আব্দুল আলীমের ছেলে ফয়সাল আলীম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং প্রয়াত এমপি মোজাহার আলী প্রধানের ছেলে মাসুদ রানা প্রধান ও সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফজলুর রহমান। এ ছাড়া মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শামছুল হক, জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক গোলজার রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আনোয়ারুল হক আনু এবং পাঁচবিবি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল গফুর মণ্ডল।
জাতীয় পার্টি থেকে দলীয় মনোনয়নের তালিকায় আছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তিতাস মোস্তফা ও জেলা কমিটির সভাপতি হেলাল উদ্দীন। জামায়াতে ইসলামী থেকে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ফজলুর রহমান সাঈদ এবং সেক্রেটারি মাওলানা গোলাম কিবরিয়া।
আসনটি ১৯৯১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিএনপির দখলে ছিল। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ভোট বর্জন করলে এ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট শামসুল আলম দুদু। তিনি ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও পুনরায় এমপি হন।
অ্যাডভোকেট শামসুল আলম দুদু বলেন, ‘নিজের জন্য কিছুই করিনি আমি। এখন পর্যন্ত নিজস্ব কোনো বাসা তৈরি করিনি। জয়পুরহাট সদর এবং পাঁচবিবিতে এখনো দুটি ভাড়া বাসায়
থাকি। দিন-রাত জনগণের পাশে থাকি। ’
বিএনপির ফয়সাল আলীম জানান, বিএনপির বিভিন্ন আন্দোলন, সংগ্রাম ও কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন। রাজনৈতিকভাবে ঐতিহ্যবাহী তাঁর পরিবার। তাঁর দাদা প্রয়াত আব্দুল ওয়াহিদ ছিলেন অবিভক্ত বাংলার এমএলএ। বাবা আব্দুল আলিম ছিলেন জয়পুরহাট থেকে নির্বাচিত এমপি এবং সাবেক মন্ত্রী। তাঁদের পরিবারের প্রতি দল-মত নির্বিশেষে জেলার সর্বজনের স্বীকৃতি আছে।
জয়পুরহাট-১ আসনের ভোটের মাঠ বেশ জমজমাট। অন্য বেশির ভাগ আসনে বিএনপি তেমন তৎপর না হলেও এ আসনের দুই উপজেলাতেই দলীয় কর্মসূচিতে বেশ সরব উপস্থিতি দলটির নেতা-কর্মীদের। আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দলটি নিজেদের দারুণভাবে গুছিয়ে নিচ্ছে। ভোটারদের একটি বড় অংশ মনে করছে, দলীয় কোন্দল ভোটে প্রভাব না ফেললে এবং নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপি আবার এ আসনের দখল পাবে। তবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলছেন, জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এ দলকে আর ক্ষমতায় আনতে চায় না। আওয়ামী লীগের প্রতিই মানুষের সমর্থন বেশি। আর নিজস্ব ‘ভোটব্যাংক’ আছে বলে দাবি করছে জাতীয় পার্টি।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, দলীয় নেতা-কর্মীদের বেশি সুবিধা পাওয়া—নির্বাচন নিয়ে জয়পুরহাট-১ আসনের ভোটারদের মধ্যে ভাবনার অনেকটা জুড়ে এখন এসব ইস্যু। পাঁচবিবি ও সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে টানা দুবার এমপি হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামসুল আলম দুদু। ব্যক্তিগতভাবে তিনি বেশ জনপ্রিয় হলেও এবার তাঁর জন্য পরিস্থিতি কঠিন হতে পারে।
জয়পুরহাটে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে এখন দুটি করে গ্রুপ। আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন জয়পুরহাট-২ আসনের এমপি আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। অপর গ্রুপের নেতৃত্বে এ আসনের বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট শামসুল আলম দুদু। আবার বিএনপির একটি গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শামছুল হক। অন্য গ্রুপের নেতৃত্বে বিএনপির জাতীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য এবং প্রয়াত এমপি আব্দুল আলীমের ছেলে ফয়সাল আলীম।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির উভয় গ্রুপে দ্বন্দ্ব এতটাই তীব্র, অনেক সময় দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিও দুই ভাগ হয়ে পালন করেন নেতা-কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবারই দেখা গেছে এমন চিত্র। দুই ভাগ হয়ে আলাদা সময়ে কর্মসূচি পালন করেছেন বিএনপির নেতারা।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে শক্ত অবস্থানে আছেন তিনজন। বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট শামসুল আলম দুদু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মণ্ডল। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খাজা শামছুল আলম, জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, জয়পুরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম এবং পাঁচবিবি পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব।
বিএনপি থেকে আলোচনায় আছেন জাতীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য এবং প্রয়াত এমপি আব্দুল আলীমের ছেলে ফয়সাল আলীম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং প্রয়াত এমপি মোজাহার আলী প্রধানের ছেলে মাসুদ রানা প্রধান ও সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফজলুর রহমান। এ ছাড়া মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শামছুল হক, জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক গোলজার রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আনোয়ারুল হক আনু এবং পাঁচবিবি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল গফুর মণ্ডল।
জাতীয় পার্টি থেকে দলীয় মনোনয়নের তালিকায় আছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তিতাস মোস্তফা ও জেলা কমিটির সভাপতি হেলাল উদ্দীন। জামায়াতে ইসলামী থেকে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ফজলুর রহমান সাঈদ এবং সেক্রেটারি মাওলানা গোলাম কিবরিয়া।
আসনটি ১৯৯১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিএনপির দখলে ছিল। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ভোট বর্জন করলে এ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট শামসুল আলম দুদু। তিনি ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও পুনরায় এমপি হন।
অ্যাডভোকেট শামসুল আলম দুদু বলেন, ‘নিজের জন্য কিছুই করিনি আমি। এখন পর্যন্ত নিজস্ব কোনো বাসা তৈরি করিনি। জয়পুরহাট সদর এবং পাঁচবিবিতে এখনো দুটি ভাড়া বাসায়
থাকি। দিন-রাত জনগণের পাশে থাকি। ’
বিএনপির ফয়সাল আলীম জানান, বিএনপির বিভিন্ন আন্দোলন, সংগ্রাম ও কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন। রাজনৈতিকভাবে ঐতিহ্যবাহী তাঁর পরিবার। তাঁর দাদা প্রয়াত আব্দুল ওয়াহিদ ছিলেন অবিভক্ত বাংলার এমএলএ। বাবা আব্দুল আলিম ছিলেন জয়পুরহাট থেকে নির্বাচিত এমপি এবং সাবেক মন্ত্রী। তাঁদের পরিবারের প্রতি দল-মত নির্বিশেষে জেলার সর্বজনের স্বীকৃতি আছে।
জয়পুরহাট-১ আসনের ভোটের মাঠ বেশ জমজমাট। অন্য বেশির ভাগ আসনে বিএনপি তেমন তৎপর না হলেও এ আসনের দুই উপজেলাতেই দলীয় কর্মসূচিতে বেশ সরব উপস্থিতি দলটির নেতা-কর্মীদের। আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দলটি নিজেদের দারুণভাবে গুছিয়ে নিচ্ছে। ভোটারদের একটি বড় অংশ মনে করছে, দলীয় কোন্দল ভোটে প্রভাব না ফেললে এবং নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপি আবার এ আসনের দখল পাবে। তবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলছেন, জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এ দলকে আর ক্ষমতায় আনতে চায় না। আওয়ামী লীগের প্রতিই মানুষের সমর্থন বেশি। আর নিজস্ব ‘ভোটব্যাংক’ আছে বলে দাবি করছে জাতীয় পার্টি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে