মো. মফিজুর রহমান, ফরিদপুর
ঈদুল আজহার আর চার দিন বাকি। কিন্তু ফরিদপুরে কোরবানির পশুর বেচাকেনা এখনো জমে ওঠেনি। ক্রেতারা হাটে এলেও দেখছেন, দরদাম করছেন। কিন্তু দামে বনিবনা না হওয়ায় বিক্রি আশানুরূপ হচ্ছে না।
সিলেট, ময়মনসিংহসহ উত্তরাঞ্চলে বন্যার কারণে বেচাকেনায় প্রভাব পড়েছে বলে দাবি হাটের ইজারাদারদের। তবে ইজারাদারসহ খামারিদের আশা দ্রুতই বাড়বে বিক্রি।
জানা গেছে, ফরিদপুরে প্রায় ১০ হাজার খামার রয়েছে। এসব খামারে ৫১ হাজার ৩০০টি কোরবানির পশু প্রস্তুত। আর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ৪১ হাজার।
এদিকে ফরিদপুরের বিভিন্ন হাটে উঠেছে কোরবানির পশু। কিন্তু বেচাকেনা জমে ওঠেনি। খামার মালিক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার ক্রেতা তুলনামূলক কম। তবে দিন যত কমতে থাকবে, ততই ক্রেতা বাড়বে।
ফরিদপুর শহরতলির উত্তর বিলমাহমুদপুরের মাইশা ডেইরি ফার্মের মালিক রফিকুল ইসলাম। তাঁর ফার্মে ছোট-বড় মিলিয়ে ১১৮টি গরু রয়েছে। আসন্ন ঈদুল আজহারকে কেন্দ্র করে পশুগুলো প্রস্তুত করেন। বাজারের তুলেছেন। তবে এখনো ক্রেতাদের কাছে কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাননি।
খামারি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ফার্মের পশুকে ঘাস, ভুসি, খড়, চিটাগুড় খাওয়ানো হয়। তবে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার পশু পালনে অনেক বেশি খরচ হয়েছে। কারণ পশুখাদ্যের দাম অনেক বেড়েছে। তাই ক্রেতা না পেলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে আমাদের।’
মহামারি করোনার ক্ষতি কাটিয়ে এবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা এ জেলার খামারিদের। তাঁদের আশা—পদ্মা সেতু হয়তো ভাগ্য বদলে দেবে। শেষ সময়ে পশুর বাজারে দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতা আসবে এ জেলার হাটে।
ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মো. নজরুল ইসলাম বলেন, জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট টেপাখোলা। ঈদের সময় সপ্তাহে দু-তিন দিন এ হাটে পশু বেচাকেনা হয়। এবার ভারতীয় গরুর উপস্থিতি চোখে না পড়লেও বিপুল সংখ্যক দেশি গরু দেখা যাচ্ছে। প্রতিটি হাটে বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতারা আসে এ হাটে। তবে এখনো বেচাকেনা জমে ওঠেনি।
টেপাখোলা পশুর হাটে গরু কিনতে আসা শেখ আক্তার নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘প্রত্যক ব্যক্তি কোরবানির পশু কেনার জন্য বাজেট করে। আমিও করেছি। কিন্তু হাটে এসে অবাক হচ্ছি। মাঝারি আকারের গরু লাখ টাকার বেশি দাম হাঁকাচ্ছে। এ রকম দাম চাইলে তো আমার মতো ক্রেতাদের কোরবানির পশু কেনা দায় হয়ে পড়বে।’
এদিকে দাম বেশির বিষয়ে ভিন্ন সুর খামারিদের। সদর উপজেলার খামারি আব্দুল করিম মোল্লা বলেন, ‘আমার খামারে বড় আকারের সাতটি গরু রয়েছে। আমি গত এক সপ্তাহে তিনটি হাটে গরুগুলো বিক্রির জন্য নিয়েছি। কিন্তু ভালো ক্রেতা পাইনি। মাঝারি আকারের পশুর ক্রেতা বেশি। তবে গোখাদ্যের দাম গত এক বছরে দফায় দফায় বেড়েছে। এতে খামারিদের খরচও বেড়েছে। তাই কোরবানির হাটে গরু বিক্রি করতে না পারলে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’
শহরতলির বদরপুরের পশুখামারি এম এম বি জামান সেন্টু বলেন, এবারের একটি বড় গরু লালন-পালনে অনেক বেশি খরচ হয়েছে। সময়মতো সঠিক দামের ক্রেতা না পেলে খামারিরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে।
হাটে বেচাকেনা জমে না ওঠার বিষয়ে টোপখোলা হাটের ইজারাদার তুহিন মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলের বড় গরু সাধারণত সিলেট কিংবা চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যান। কিন্তু এবার ওই এলাকায় বন্যা থাকায় ক্রেতারা আসছে না। যে কারণে বড় গরু বিক্রি কম হচ্ছে।’
টেপাখোলা পশুর হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি গোলাম কুদ্দুস মিয়া জানান, প্রচুর গরু আসছে। কিন্তু সে তুলনায় ক্রেতা কম। তবে মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা এখন পর্যন্ত বেশি।
ফরিদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নুরুল্লা আহসান বলেন, এখন পশুর হাটে ক্রেতার উপস্থিত কম থাকলেও ধীরে ধীরে বাড়বে। সঙ্গে কেনাবেচাও। আর জেলার চাহিদার বেশি পশু বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হবে।
ঈদুল আজহার আর চার দিন বাকি। কিন্তু ফরিদপুরে কোরবানির পশুর বেচাকেনা এখনো জমে ওঠেনি। ক্রেতারা হাটে এলেও দেখছেন, দরদাম করছেন। কিন্তু দামে বনিবনা না হওয়ায় বিক্রি আশানুরূপ হচ্ছে না।
সিলেট, ময়মনসিংহসহ উত্তরাঞ্চলে বন্যার কারণে বেচাকেনায় প্রভাব পড়েছে বলে দাবি হাটের ইজারাদারদের। তবে ইজারাদারসহ খামারিদের আশা দ্রুতই বাড়বে বিক্রি।
জানা গেছে, ফরিদপুরে প্রায় ১০ হাজার খামার রয়েছে। এসব খামারে ৫১ হাজার ৩০০টি কোরবানির পশু প্রস্তুত। আর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ৪১ হাজার।
এদিকে ফরিদপুরের বিভিন্ন হাটে উঠেছে কোরবানির পশু। কিন্তু বেচাকেনা জমে ওঠেনি। খামার মালিক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার ক্রেতা তুলনামূলক কম। তবে দিন যত কমতে থাকবে, ততই ক্রেতা বাড়বে।
ফরিদপুর শহরতলির উত্তর বিলমাহমুদপুরের মাইশা ডেইরি ফার্মের মালিক রফিকুল ইসলাম। তাঁর ফার্মে ছোট-বড় মিলিয়ে ১১৮টি গরু রয়েছে। আসন্ন ঈদুল আজহারকে কেন্দ্র করে পশুগুলো প্রস্তুত করেন। বাজারের তুলেছেন। তবে এখনো ক্রেতাদের কাছে কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাননি।
খামারি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ফার্মের পশুকে ঘাস, ভুসি, খড়, চিটাগুড় খাওয়ানো হয়। তবে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার পশু পালনে অনেক বেশি খরচ হয়েছে। কারণ পশুখাদ্যের দাম অনেক বেড়েছে। তাই ক্রেতা না পেলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে আমাদের।’
মহামারি করোনার ক্ষতি কাটিয়ে এবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা এ জেলার খামারিদের। তাঁদের আশা—পদ্মা সেতু হয়তো ভাগ্য বদলে দেবে। শেষ সময়ে পশুর বাজারে দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতা আসবে এ জেলার হাটে।
ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মো. নজরুল ইসলাম বলেন, জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট টেপাখোলা। ঈদের সময় সপ্তাহে দু-তিন দিন এ হাটে পশু বেচাকেনা হয়। এবার ভারতীয় গরুর উপস্থিতি চোখে না পড়লেও বিপুল সংখ্যক দেশি গরু দেখা যাচ্ছে। প্রতিটি হাটে বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতারা আসে এ হাটে। তবে এখনো বেচাকেনা জমে ওঠেনি।
টেপাখোলা পশুর হাটে গরু কিনতে আসা শেখ আক্তার নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘প্রত্যক ব্যক্তি কোরবানির পশু কেনার জন্য বাজেট করে। আমিও করেছি। কিন্তু হাটে এসে অবাক হচ্ছি। মাঝারি আকারের গরু লাখ টাকার বেশি দাম হাঁকাচ্ছে। এ রকম দাম চাইলে তো আমার মতো ক্রেতাদের কোরবানির পশু কেনা দায় হয়ে পড়বে।’
এদিকে দাম বেশির বিষয়ে ভিন্ন সুর খামারিদের। সদর উপজেলার খামারি আব্দুল করিম মোল্লা বলেন, ‘আমার খামারে বড় আকারের সাতটি গরু রয়েছে। আমি গত এক সপ্তাহে তিনটি হাটে গরুগুলো বিক্রির জন্য নিয়েছি। কিন্তু ভালো ক্রেতা পাইনি। মাঝারি আকারের পশুর ক্রেতা বেশি। তবে গোখাদ্যের দাম গত এক বছরে দফায় দফায় বেড়েছে। এতে খামারিদের খরচও বেড়েছে। তাই কোরবানির হাটে গরু বিক্রি করতে না পারলে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’
শহরতলির বদরপুরের পশুখামারি এম এম বি জামান সেন্টু বলেন, এবারের একটি বড় গরু লালন-পালনে অনেক বেশি খরচ হয়েছে। সময়মতো সঠিক দামের ক্রেতা না পেলে খামারিরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে।
হাটে বেচাকেনা জমে না ওঠার বিষয়ে টোপখোলা হাটের ইজারাদার তুহিন মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলের বড় গরু সাধারণত সিলেট কিংবা চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যান। কিন্তু এবার ওই এলাকায় বন্যা থাকায় ক্রেতারা আসছে না। যে কারণে বড় গরু বিক্রি কম হচ্ছে।’
টেপাখোলা পশুর হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি গোলাম কুদ্দুস মিয়া জানান, প্রচুর গরু আসছে। কিন্তু সে তুলনায় ক্রেতা কম। তবে মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা এখন পর্যন্ত বেশি।
ফরিদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নুরুল্লা আহসান বলেন, এখন পশুর হাটে ক্রেতার উপস্থিত কম থাকলেও ধীরে ধীরে বাড়বে। সঙ্গে কেনাবেচাও। আর জেলার চাহিদার বেশি পশু বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে