নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার সারিকাইত ইউনিয়ন পড়েছে একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায়। এখানকার পূর্ব সাতঘরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস সেলিনা করোনার লকডাউনের সময়ে বহুবার অনলাইনে ক্লাস নিয়েছেন। প্রয়োজনে জুম মিটিংয়েও অংশ নেন তিনি। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা না পেলে যা কোনো দিন সম্ভব ছিল না।
২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে সীতাকুণ্ড থেকে সাগরের নিচ দিয়ে ১৫ কিলোমিটার সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ যায় বঙ্গোপসাগরের বুকে দাঁড়িয়ে থাকা এই দ্বীপে। এর আগে দ্বীপবাসী একপ্রকার বিদ্যুৎ সুবিধার বাইরেই ছিলেন। এখানে বিদ্যুৎ আসার পর মানুষের জীবন-মানও বদলে গেছে।
শুধু সন্দ্বীপই নয় রাঙামাটির সাজেক ভ্যালির কথাও বলা যায়। এই দুর্গম জনপদটি এখন আর আগের মতো নেই। উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে পুরো সাজেক ভ্যালি। সেখানকার মানুষের বিদ্যুৎ ও পানির সমস্যাও মিটিয়ে দিচ্ছে সরকার। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে ৪৯ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৮০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত সাজেক বিদ্যুতের আওতায় এসেছে ২০২০ সালে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান সাবিনা বানু জানান, চট্টগ্রামে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত বিদ্যুতের গ্রাহক ছিলেন ৫ লাখ ৫৯ হাজার ৫৮৫ জন। ২০২১ সালের মে পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ২১ হাজার ৮৫৭ জন। সে হিসেবে এই ১০ বছরে আনুমানিক ৭ লাখ পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
পিডিবির দক্ষিণাঞ্চলের বিতরণ তালিকা ঘেঁটে দেখা যায়, ২০১১ সালে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলে বিদ্যুতের গ্রাহক ছিলেন এক লাখ ৯৩ হাজার ২৩৬ জন। সেটি এখন বেড়ে হয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩২৯ জন। একইভাবে পশ্চিমাঞ্চলে এক লাখ ৬৫ হাজার ৭৬৫ থেকে বেড়ে ২০২১ সালে হয়েছে ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩০ জন।
উত্তরাঞ্চলে ৭২ হাজার ৪৪৬ জন থেকে বেড়ে এখন এক লাখ ৬৩ হাজার ১৮৯ জন। দক্ষিণাঞ্চলে ২০১১ সালে ছিল ৭৪ হাজার ৬০৬ জন, সেটি এখন এক লাখ ৮৮ হাজার ৯৯৯ জন। রাঙামাটিতে ৫৩ হাজার ৫৩২ জন থেকে বেড়ে বর্তমান গ্রাহকসংখ্যা এক লাখ ৪৯ হাজার ৬১০ জন।
দেওয়ান সাবিনা বানু বলেন, প্রতি বছর গড়ে ৫০ হাজার গ্রাহককে নতুন সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। নতুন নতুন গ্রাহককে সংযোগ দিতে ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট শূন্যের কোটায় আনতে ৫ বছরে ২১টি সাবস্টেশনও নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে আরও ৮টি সাবস্টেশনের নির্মাণকাজ চলছে। নতুন সংযোগ দেওয়ার পর এখন কাজ চলছে প্রি-পেইড মিটার বসানোর কাজ।
পিডিবি সূত্র জানায়, সংস্থাটির চট্টগ্রামের অধীনে সব মিলিয়ে ২১টি বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ রয়েছে। এর মধ্যে ১২ টির অবস্থানই চট্টগ্রাম নগরে। ২০১৬ সালের ২৮ অক্টোবর ‘প্রিপেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ফর ডিস্ট্রিবিউশন সাউদার্ন জোন’র আওতায় চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, স্টেডিয়াম, পাহাড়তলী ও খুলশী এই চার বিতরণ বিভাগে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়।
প্রথম পর্যায়ে চারটি বিভাগে ১ লাখ ৩৯ হাজার গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনা হয়। এরপর ধাপে ধাপে পাথরঘাটা, কালুরঘাট, ষোলশহর, বাকলিয়া, মাদারবাড়ী, হালিশহর, নিউমুরিং, রামপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের গ্রাহকেরা প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আসতে থাকেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে দেড় লাখ এবং তৃতীয় পর্যায়ে ১ লাখ গ্রাহক প্রি-পেইড মিটার পান। এই ৩ লাখ ৮৯ হাজার প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ ২০১৮ সালের শুরুতেই শেষ হয়। সব মিলিয়ে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত ৫ লাখ ৬ হাজার ১৯১ জনকে প্রি-পেইড মিটার দেওয়া হয়েছে।
পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান সাবিনা বানু বলেন, পর্যায়ক্রমে সব গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনা হচ্ছে।
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার সারিকাইত ইউনিয়ন পড়েছে একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায়। এখানকার পূর্ব সাতঘরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস সেলিনা করোনার লকডাউনের সময়ে বহুবার অনলাইনে ক্লাস নিয়েছেন। প্রয়োজনে জুম মিটিংয়েও অংশ নেন তিনি। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা না পেলে যা কোনো দিন সম্ভব ছিল না।
২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে সীতাকুণ্ড থেকে সাগরের নিচ দিয়ে ১৫ কিলোমিটার সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ যায় বঙ্গোপসাগরের বুকে দাঁড়িয়ে থাকা এই দ্বীপে। এর আগে দ্বীপবাসী একপ্রকার বিদ্যুৎ সুবিধার বাইরেই ছিলেন। এখানে বিদ্যুৎ আসার পর মানুষের জীবন-মানও বদলে গেছে।
শুধু সন্দ্বীপই নয় রাঙামাটির সাজেক ভ্যালির কথাও বলা যায়। এই দুর্গম জনপদটি এখন আর আগের মতো নেই। উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে পুরো সাজেক ভ্যালি। সেখানকার মানুষের বিদ্যুৎ ও পানির সমস্যাও মিটিয়ে দিচ্ছে সরকার। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে ৪৯ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৮০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত সাজেক বিদ্যুতের আওতায় এসেছে ২০২০ সালে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান সাবিনা বানু জানান, চট্টগ্রামে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত বিদ্যুতের গ্রাহক ছিলেন ৫ লাখ ৫৯ হাজার ৫৮৫ জন। ২০২১ সালের মে পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ২১ হাজার ৮৫৭ জন। সে হিসেবে এই ১০ বছরে আনুমানিক ৭ লাখ পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
পিডিবির দক্ষিণাঞ্চলের বিতরণ তালিকা ঘেঁটে দেখা যায়, ২০১১ সালে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলে বিদ্যুতের গ্রাহক ছিলেন এক লাখ ৯৩ হাজার ২৩৬ জন। সেটি এখন বেড়ে হয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩২৯ জন। একইভাবে পশ্চিমাঞ্চলে এক লাখ ৬৫ হাজার ৭৬৫ থেকে বেড়ে ২০২১ সালে হয়েছে ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩০ জন।
উত্তরাঞ্চলে ৭২ হাজার ৪৪৬ জন থেকে বেড়ে এখন এক লাখ ৬৩ হাজার ১৮৯ জন। দক্ষিণাঞ্চলে ২০১১ সালে ছিল ৭৪ হাজার ৬০৬ জন, সেটি এখন এক লাখ ৮৮ হাজার ৯৯৯ জন। রাঙামাটিতে ৫৩ হাজার ৫৩২ জন থেকে বেড়ে বর্তমান গ্রাহকসংখ্যা এক লাখ ৪৯ হাজার ৬১০ জন।
দেওয়ান সাবিনা বানু বলেন, প্রতি বছর গড়ে ৫০ হাজার গ্রাহককে নতুন সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। নতুন নতুন গ্রাহককে সংযোগ দিতে ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট শূন্যের কোটায় আনতে ৫ বছরে ২১টি সাবস্টেশনও নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে আরও ৮টি সাবস্টেশনের নির্মাণকাজ চলছে। নতুন সংযোগ দেওয়ার পর এখন কাজ চলছে প্রি-পেইড মিটার বসানোর কাজ।
পিডিবি সূত্র জানায়, সংস্থাটির চট্টগ্রামের অধীনে সব মিলিয়ে ২১টি বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ রয়েছে। এর মধ্যে ১২ টির অবস্থানই চট্টগ্রাম নগরে। ২০১৬ সালের ২৮ অক্টোবর ‘প্রিপেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ফর ডিস্ট্রিবিউশন সাউদার্ন জোন’র আওতায় চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, স্টেডিয়াম, পাহাড়তলী ও খুলশী এই চার বিতরণ বিভাগে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়।
প্রথম পর্যায়ে চারটি বিভাগে ১ লাখ ৩৯ হাজার গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনা হয়। এরপর ধাপে ধাপে পাথরঘাটা, কালুরঘাট, ষোলশহর, বাকলিয়া, মাদারবাড়ী, হালিশহর, নিউমুরিং, রামপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের গ্রাহকেরা প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আসতে থাকেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে দেড় লাখ এবং তৃতীয় পর্যায়ে ১ লাখ গ্রাহক প্রি-পেইড মিটার পান। এই ৩ লাখ ৮৯ হাজার প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ ২০১৮ সালের শুরুতেই শেষ হয়। সব মিলিয়ে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত ৫ লাখ ৬ হাজার ১৯১ জনকে প্রি-পেইড মিটার দেওয়া হয়েছে।
পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান সাবিনা বানু বলেন, পর্যায়ক্রমে সব গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনা হচ্ছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে