আ.লীগ নেতারা মাঠে, বিএনপি নেই

মুহাম্মদ মাসুদ আলম, চাঁদপুর
প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১১: ২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় এক বছর বাকি থাকলেও চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের প্রচার ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ বেড়েছে। বর্তমান এমপি মহীউদ্দীন খান আলমগীর এ আসন থেকে তিনবার নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে দলে দুজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছে তাঁর। একজন ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন; আরেকজন কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ। আর প্রধান বিরোধী দল বিএনপির কোনো নেতাকেই মাঠে দেখা যাচ্ছে না। দ্বাদশ নির্বাচনেও এ আসন থেকে আওয়ামী লীগই বাজিমাত করবে বলে ধারণা ভোটারদের।

গত সংসদীয় নির্বাচনের পরে কচুয়ার মাঠ ছেড়েছেন বিএনপির গতবারের প্রার্থী মালয়েশিয়াপ্রবাসী মোশারফ হোসেন। এ আসন থেকে দুবার নির্বাচিত এমপি (১৯৯৬ ও ২০০১) ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন গতবারের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পাননি। বেশ কয়েকটি মামলায় আসামি এবং কারাবরণের কারণে তিনিও এলাকায় তেমন আসছেন না। তবে নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে বিএনপির প্রার্থীদের দেখা মেলে। এবারও তেমন ইঙ্গিতই মিলছে। চমক হিসেবে রয়েছে একটি নাম, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সহসভানেত্রী নাজমুন নাহার বেবী। তিনি সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলনের স্ত্রী।

টানা তিনবার এমপি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে আওয়ামী লীগের মহীউদ্দীন খান আলমগীর দলে বাধার মুখে আছেন। দলীয় পদ-পদবি, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী হতে বঞ্চিতরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেলিম মাহমুদ ও গোলাম হোসেনের অনুসারী হয়েছেন।

দলীয় বিভিন্ন সভায় অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতা নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গোলাম হোসেন ও সেলিম মাহমুদ। কিন্তু তেমন শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারছেন না।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মতে, কচুয়া আওয়ামী লীগ এখন মহীউদ্দীন খান আলমগীর, গোলাম হোসেন ও সেলিম মাহমুদ—এই তিন গ্রুপে বিভক্ত।

জানতে চাইলে মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, ‘কচুয়ার অবহেলিত মানুষের জীবনমান উন্নয়নে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, হাসপাতাল, যোগাযোগব্যবস্থা— সবকিছুতেই পরিবর্তন এসেছে।’

কচুয়ার বাসিন্দা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ জানান, কচুয়া উপজেলার দক্ষিণের চেয়ে উত্তরে জনগণ বেশি। সেখানে তিনিই আওয়ামী লীগের একমাত্র নেতা। দক্ষিণে একাধিক নেতা, ভোটারের সংখ্যা কম। এ কারণে নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাবেন বলে আশা করছেন।

অন্যদিকে বিএনপির এহসানুল হক মিলন বলেন, তিনি এ আসন থেকে নির্বাচন করবেন না। আদি নিবাস ঢাকা-১৫ অর্থাৎ মিরপুরের পীরেরবাগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন। আর তাঁর স্ত্রী পালগিরি গ্রামের মিয়াজী বাড়ির বাসিন্দা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সহসভানেত্রী নাজমুন নাহার বেবী কচুয়া থেকে মনোনয়ন চাইবেন।

২০১৮ সালে এ আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করেন মোশারফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘খুব শিগগির আমি নির্বাচনী এলাকায় একেবারে চলে আসব। আমি সব সময় দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছি এবং দলের কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি শেখ জয়নাল আবেদিন জানান, নির্বাচনের পরিবেশ হলে তাঁরা চাঁদপুরের ৫টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত