সাইফুল মাসুম, শরীয়তপুর থেকে ফিরে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি প্রায় ১০ মাস। এরই মধ্যে জমে উঠেছে শরীয়তপুর-১ আসনের ভোটের রাজনীতি। এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচিতে মনোযোগ বাড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। সেই সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন অন্তর্দ্বন্দ্বেও। একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলে করছেন কাদা-ছোড়াছুড়ি। মাঠে নির্বাচনকেন্দ্রিক সরব উপস্থিতি নেই বিএনপির। কোনোমতে দলীয় ও জাতীয় কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করছেন দলটির নেতারা।
ঢাকার অদূরে পদ্মা ও মেঘনা নদীবেষ্টিত শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা উপজেলা নিয়ে গঠিত শরীয়তপুর-১। আসনটি আওয়ামী-অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। ১৯৯১ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত এমপি নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই। ২০০১ সালে নিজেদের প্রার্থী না জিতলেও স্বতন্ত্র হিসেবে এমপি হয়েছিলেন এ দলেরই এক নেতা।
এলাকার একাধিক ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় থাকলেও উন্নয়নের তেমন কোনো ছোঁয়া লাগেনি। রাস্তাঘাটও বেহাল। পদ্মা সেতু তৈরি হওয়ার পর জেলার অবকাঠামো উন্নয়নের কথা থাকলেও তা এখনো হয়নি। আওয়ামী লীগের সুবিধাবঞ্চিত নেতারা বলছেন, এমপিরা ঢাকামুখী হওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন তৃণমূলের কর্মীরা। নির্বাচনের আগে সবাই মাঠে থাকলেও নির্বাচনের পরে আর কাউকে পাওয়া যায় না।
এই আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু। আগামী নির্বাচনেও তিনি দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা যায়। এমপি অপু ছাড়াও মনোনয়ন চাইতে পারেন সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, শরীয়তপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার।
অন্যদিকে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির তোড়জোড় নেই। নির্বাচনে গেলে দলটির সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন সরদার এ কে এম নাসির উদ্দিন কালু। এ ছাড়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) জেলা কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান রোকন, জাতীয় পার্টি জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান, জাসদের (ইনু) জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা স ম আবদুল মালেক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তোফায়েল আহমেদ মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে জানা যায়।
ইকবাল হোসেন অপু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছি। বিগত দিনে যারা ছিল, তারা তা করতে পারেনি। এখন অনেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী, তারা গতবার ভোট পর্যন্ত দিতে যায়নি। করোনা গেল, বন্যা গেল, মানুষের খোঁজ নেয়নি। আমি মানুষের সঙ্গে মিশে কাজ করার চেষ্টা করেছি। তাই মনোনয়নের বিষয়েও শতভাগ আশাবাদী।’
শরীয়তপুরে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলছে দাবি করে এমপি অপু বলেন, ছয় মাসের মধ্যে উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে। তবে আওয়ামী লীগের দুবারের এমপি বি এম মোজাম্মেল হক বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সংসদ সদস্যের সময় কিছুই হয়নি। যত রাস্তা আছে, সব আমার আমলে করা। এখন সেগুলো মেরামতের অভাবে নষ্ট হচ্ছে। বরাদ্দ হচ্ছে কিন্তু কাজ হচ্ছে না। আমি ১০ বছরে যা করেছি, গত ৪০ বছরে তা হয়নি। জনবিচ্ছিন্ন মানুষকে মনোনয়ন দিলে আওয়ামী লীগ দল হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
২০০১ ও ২০০৬ সালে দুবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন মোবারক আলী শিকদার। ২০০১ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগেরই বিদ্রোহী কে এম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গজেবের কাছে হেরে যান। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়ালেও হেরে যান মোবারক আলী শিকদার। তিনি বলেন, ‘এবার আমাকে মনোনয়ন দিলে এলাকায় আনন্দের বন্যা বয়ে যাবে।’
ভোটের মাঠে কে কতটা সবল বা দুর্বল, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা বলছেন, শরীয়তপুর-১ আসনে ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ নয়; যিনি নৌকা পাবেন, তিনিই শক্ত অবস্থানে থাকবেন।
এরশাদের আমলে আসনটিতে একাধিকবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপির নাসির উদ্দিন কালু। আগামী নির্বাচন নিয়ে দলীয় ভাবনা জানতে চাইলে এ নেতা বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি আছে। তবে এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করব না। আমি সব সময় শরীয়তপুরে থাকি। অন্য নেতারা ঢাকামুখী। জনগণ যদি ভোট দিতে পারে, ওবায়দুল কাদেরও আমার সঙ্গে টিকবে না। যদি আগের রাতে ভোট হয়ে যায়, তাহলে কিছু বলার নেই।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি প্রায় ১০ মাস। এরই মধ্যে জমে উঠেছে শরীয়তপুর-১ আসনের ভোটের রাজনীতি। এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচিতে মনোযোগ বাড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। সেই সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন অন্তর্দ্বন্দ্বেও। একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলে করছেন কাদা-ছোড়াছুড়ি। মাঠে নির্বাচনকেন্দ্রিক সরব উপস্থিতি নেই বিএনপির। কোনোমতে দলীয় ও জাতীয় কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করছেন দলটির নেতারা।
ঢাকার অদূরে পদ্মা ও মেঘনা নদীবেষ্টিত শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা উপজেলা নিয়ে গঠিত শরীয়তপুর-১। আসনটি আওয়ামী-অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। ১৯৯১ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত এমপি নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই। ২০০১ সালে নিজেদের প্রার্থী না জিতলেও স্বতন্ত্র হিসেবে এমপি হয়েছিলেন এ দলেরই এক নেতা।
এলাকার একাধিক ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় থাকলেও উন্নয়নের তেমন কোনো ছোঁয়া লাগেনি। রাস্তাঘাটও বেহাল। পদ্মা সেতু তৈরি হওয়ার পর জেলার অবকাঠামো উন্নয়নের কথা থাকলেও তা এখনো হয়নি। আওয়ামী লীগের সুবিধাবঞ্চিত নেতারা বলছেন, এমপিরা ঢাকামুখী হওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন তৃণমূলের কর্মীরা। নির্বাচনের আগে সবাই মাঠে থাকলেও নির্বাচনের পরে আর কাউকে পাওয়া যায় না।
এই আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু। আগামী নির্বাচনেও তিনি দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা যায়। এমপি অপু ছাড়াও মনোনয়ন চাইতে পারেন সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, শরীয়তপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার।
অন্যদিকে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির তোড়জোড় নেই। নির্বাচনে গেলে দলটির সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন সরদার এ কে এম নাসির উদ্দিন কালু। এ ছাড়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) জেলা কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান রোকন, জাতীয় পার্টি জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান, জাসদের (ইনু) জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা স ম আবদুল মালেক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তোফায়েল আহমেদ মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে জানা যায়।
ইকবাল হোসেন অপু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছি। বিগত দিনে যারা ছিল, তারা তা করতে পারেনি। এখন অনেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী, তারা গতবার ভোট পর্যন্ত দিতে যায়নি। করোনা গেল, বন্যা গেল, মানুষের খোঁজ নেয়নি। আমি মানুষের সঙ্গে মিশে কাজ করার চেষ্টা করেছি। তাই মনোনয়নের বিষয়েও শতভাগ আশাবাদী।’
শরীয়তপুরে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলছে দাবি করে এমপি অপু বলেন, ছয় মাসের মধ্যে উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে। তবে আওয়ামী লীগের দুবারের এমপি বি এম মোজাম্মেল হক বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সংসদ সদস্যের সময় কিছুই হয়নি। যত রাস্তা আছে, সব আমার আমলে করা। এখন সেগুলো মেরামতের অভাবে নষ্ট হচ্ছে। বরাদ্দ হচ্ছে কিন্তু কাজ হচ্ছে না। আমি ১০ বছরে যা করেছি, গত ৪০ বছরে তা হয়নি। জনবিচ্ছিন্ন মানুষকে মনোনয়ন দিলে আওয়ামী লীগ দল হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
২০০১ ও ২০০৬ সালে দুবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন মোবারক আলী শিকদার। ২০০১ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগেরই বিদ্রোহী কে এম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গজেবের কাছে হেরে যান। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়ালেও হেরে যান মোবারক আলী শিকদার। তিনি বলেন, ‘এবার আমাকে মনোনয়ন দিলে এলাকায় আনন্দের বন্যা বয়ে যাবে।’
ভোটের মাঠে কে কতটা সবল বা দুর্বল, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা বলছেন, শরীয়তপুর-১ আসনে ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ নয়; যিনি নৌকা পাবেন, তিনিই শক্ত অবস্থানে থাকবেন।
এরশাদের আমলে আসনটিতে একাধিকবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপির নাসির উদ্দিন কালু। আগামী নির্বাচন নিয়ে দলীয় ভাবনা জানতে চাইলে এ নেতা বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি আছে। তবে এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করব না। আমি সব সময় শরীয়তপুরে থাকি। অন্য নেতারা ঢাকামুখী। জনগণ যদি ভোট দিতে পারে, ওবায়দুল কাদেরও আমার সঙ্গে টিকবে না। যদি আগের রাতে ভোট হয়ে যায়, তাহলে কিছু বলার নেই।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে