নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন ঘিরে নগরজুড়ে বইছে ভোটের আমেজ। মিছিল আর পথসভায় জমে উঠেছে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। প্রত্যেকেই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে বেড়াচ্ছেন।

গত ১০ বছরে নানা অনিয়মের অভিযোগ করে ভোটারদের পাশে পাওয়ার আশায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়া বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার। অন্যদিকে, সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভি।

সরেজমিন দেখা যায়, প্রচার-প্রচারণায় এখন উৎসবের নগরী নারায়ণগঞ্জ। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো নির্বাচনী এলাকা। প্রতীক বানিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন এ দুই মেয়র প্রার্থী। প্রার্থীরা জনগণকে এলাকার উন্নয়নের জন্য দিচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি। গতকাল ৭ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করতে দেখা গেছে আইভীকে। ২২ ও ২৩ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন তৈমূর আলম খন্দকার।

আইভী ও তৈমূর ছাড়াও মেয়র পদে দাঁড়িয়েছেন আরও ৫ জন। তাঁদের মধ্যে বেশ আলোচনায় আছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা মাসুম বিল্লাহ ও খেলাফত মজলিসের মেয়র প্রার্থী এ বি এম সিরাজুল মামুন। বাকিদের দু-একটি পোস্টার ছাড়া ভিন্ন কোনো অবস্থান দেখতে পাননি ভোটাররা। নির্বাচনের মাঠে নেই তাঁদের নিয়ে কোনো আলাপ-আলোচনা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাড়া-মহল্লার অলিগলি ও চায়ের দোকানগুলোতে চলছে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। দিনভর গণসংযোগে উৎসবের এই নগরে ভোট নিয়ে আগ্রহের সীমা নেই ভোটারদের। বলছেন, যিনি নগরের উন্নয়ন আর প্রত্যাশা পূরণ করবেন, তাঁর পক্ষেই থাকবেন তাঁরা। নির্বাচনে বড়দের সঙ্গে সঙ্গে শিশুরাও মেতে উঠেছে নির্বাচনী আমেজে। সম্প্রতি জালকুড়ি ৯ নং ওয়ার্ডে দেখা যায়, লিফলেট ও বাঁশি নিয়ে আনন্দে মেতে উঠেছে তারা।

নির্বাচনী আমেজের বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, ‘গত নির্বাচনে বিএনপি-আওয়ামী লীগ লড়েছে। এবার বিএনপি অংশ না নিলেও তৈমূর আলম খন্দকার সেই অভাব পূরণ করে আমেজ ফিরিয়ে এনেছেন। হাতি প্রতীকে বেশ ভালোই সাড়া পেয়েছে বিএনপিপন্থীরা।’

একই বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত বলেন, ‘সিটির ২৭টি ওয়ার্ডেই নৌকার পক্ষে ব্যাপক চাঙাভাব দেখতে পাচ্ছি। আমাদের ওয়ার্ড পর্যায়ে গঠিত কমিটি থেকেও ভালো সাড়া পাচ্ছি।’

খেলাফত মজলিসের জেলা কমিটির সদস্য জাহিদ বলেন, ‘ইসলামপন্থী দলগুলোর মধ্যে আমাদের অবস্থান ভালোই মনে করছি। প্রচুর সাড়া পাচ্ছি।’