শিপুল ইসলাম, রংপুর
একশ্রেণির মানুষ পাখি শিকার করে বিক্রি করেন। আবার কেউ সেই পাখির মাংস দিয়ে রসনার তৃপ্তি মেটান। এই দুই শ্রেণির মানুষের তাণ্ডবে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এখন বিলুপ্তির পথে। তবে এর ব্যতিক্রমও আছে। রংপুরের মডার্ন মোড় এলাকার বাসিন্দারা এ রকমই ব্যতিক্রমী মানুষ। তাঁরা রীতিমতো পাখির অভয়াশ্রম গড়ে তুলেছেন। সেখানে নির্ভয়ে বসবাস করছে কয়েক হাজার চড়ুই পাখি। এমনকি পাখিগুলোর জন্য এখানে পাহারার ব্যবস্থাও আছে।
রংপুর শহর থেকে মডার্ন মোড়ের দূরত্ব প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। সেখানে হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায় একটি কৃষ্ণচূড়াগাছের ডাল। কিন্তু মানুষের তা ধরাছোঁয়া নিষেধ। ভুল করে কেউ যদি ধরেও ফেলেন, শুনতে হয় গালমন্দ। কারণ, এই গাছেই দুই দশক ধরে হাজারো চড়ুই পাখি বসবাস করছে। স্থানীয় ব্যক্তিরা নিজ দায়িত্বে পাখিগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বসবাস করতে সহায়তা করছেন।
সম্প্রতি মডার্ন মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, গোধূলি নামতেই ঝাঁকে ঝাঁকে বাসার দিকে ছুটে আসতে থাকে চড়ুই পাখির দল। এরা এক ডাল থেকে আরেক ডালে ছোটাছুটি শুরু করে। কিচিরমিচির ডাকে মাতিয়ে তোলে পুরো এলাকা। আবার ভোর হলেই খাবারের সন্ধানে বেড়িয়ে পড়ে ডেরা ছেড়ে। সন্ধ্যা হলেই সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে যান পথচারীরা। যাঁরা নতুন আসেন এ এলাকায়, তাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে পাখির ওড়াউড়ি দেখেন, তোলেন ছবিও।
স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর ধরে চড়ুই পাখিগুলো এখানে বসবাস করছে। প্রথম দিকে ৫০০ থেকে ৬০০ চড়ুই বসবাস করলেও এখন সেখানে তাদের সংখ্যা আনুমানিক ২৫ হাজার। কৃষ্ণচূড়াগাছটিসহ আশপাশের কয়েকটি গাছে এখন বসবাস করছে তারা। সন্ধ্যা হলেই পাখি দেখতে গাছগুলোর চারদিকে ভিড় জমে যায়। কেউ যাতে এদের বিরক্ত করতে না পারে, সে জন্য স্থানীয় লোকজন সবাইকে সতর্ক করেন।
মডার্ন মোড়ে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এনামুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আগে গ্রামের কুঁড়েঘরে দেখা মিলত চড়ুই পাখির। এখন তেমন কুঁড়েঘর নেই। তাই তেমন দেখাও মেলে না এদের। তবে এখানে এক গাছে কয়েক হাজার চড়ুই বাস করছে। দেখে খুব ভালো লাগল। তাই এখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েছি।’
কৃষ্ণচূড়াগাছের পাশে সামাদ হোটেল। এ হোটেলের কারিগর ডালিম পাল বলেন, ‘এখানে ১৩ বছর ধরে চাকরি করছি। তখন থেকেই পাখিগুলোকে দেখি। এলাকার লোকজন নিজেরা কখনো গাছের ডালপালা কাটেন না। আমরা নিজেদের মতো করে পাখিগুলোকে দেখে রাখছি। এ পাখির ডাকেই আমার ঘুম ভাঙে, দিন শুরু হয়।’
মডার্ন মোড়ের পান ব্যবসায়ী সাজু মিয়া জানান, প্রতিদিন পড়ন্ত বিকেলে পাখিরা এখানে এসে আশ্রয় নেয়। সন্ধ্যায় পুরো এলাকা পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে।
নির্বিঘ্নে রাত কাটিয়ে ভোর হলে উড়ে যায় এরা। দিন শেষে আবার নীড়ে ফেরে।
রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, চড়ুই পাখি দলবদ্ধভাবে বসবাস করতে ভালোবাসে। তাই এরা একসঙ্গে থাকে। মডার্ন মোড়ে কয়েকটি গাছে হাজারো চড়ুই বসবাস করছে। এটি দারুণ বিষয়।
একশ্রেণির মানুষ পাখি শিকার করে বিক্রি করেন। আবার কেউ সেই পাখির মাংস দিয়ে রসনার তৃপ্তি মেটান। এই দুই শ্রেণির মানুষের তাণ্ডবে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এখন বিলুপ্তির পথে। তবে এর ব্যতিক্রমও আছে। রংপুরের মডার্ন মোড় এলাকার বাসিন্দারা এ রকমই ব্যতিক্রমী মানুষ। তাঁরা রীতিমতো পাখির অভয়াশ্রম গড়ে তুলেছেন। সেখানে নির্ভয়ে বসবাস করছে কয়েক হাজার চড়ুই পাখি। এমনকি পাখিগুলোর জন্য এখানে পাহারার ব্যবস্থাও আছে।
রংপুর শহর থেকে মডার্ন মোড়ের দূরত্ব প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। সেখানে হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায় একটি কৃষ্ণচূড়াগাছের ডাল। কিন্তু মানুষের তা ধরাছোঁয়া নিষেধ। ভুল করে কেউ যদি ধরেও ফেলেন, শুনতে হয় গালমন্দ। কারণ, এই গাছেই দুই দশক ধরে হাজারো চড়ুই পাখি বসবাস করছে। স্থানীয় ব্যক্তিরা নিজ দায়িত্বে পাখিগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বসবাস করতে সহায়তা করছেন।
সম্প্রতি মডার্ন মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, গোধূলি নামতেই ঝাঁকে ঝাঁকে বাসার দিকে ছুটে আসতে থাকে চড়ুই পাখির দল। এরা এক ডাল থেকে আরেক ডালে ছোটাছুটি শুরু করে। কিচিরমিচির ডাকে মাতিয়ে তোলে পুরো এলাকা। আবার ভোর হলেই খাবারের সন্ধানে বেড়িয়ে পড়ে ডেরা ছেড়ে। সন্ধ্যা হলেই সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে যান পথচারীরা। যাঁরা নতুন আসেন এ এলাকায়, তাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে পাখির ওড়াউড়ি দেখেন, তোলেন ছবিও।
স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর ধরে চড়ুই পাখিগুলো এখানে বসবাস করছে। প্রথম দিকে ৫০০ থেকে ৬০০ চড়ুই বসবাস করলেও এখন সেখানে তাদের সংখ্যা আনুমানিক ২৫ হাজার। কৃষ্ণচূড়াগাছটিসহ আশপাশের কয়েকটি গাছে এখন বসবাস করছে তারা। সন্ধ্যা হলেই পাখি দেখতে গাছগুলোর চারদিকে ভিড় জমে যায়। কেউ যাতে এদের বিরক্ত করতে না পারে, সে জন্য স্থানীয় লোকজন সবাইকে সতর্ক করেন।
মডার্ন মোড়ে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এনামুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আগে গ্রামের কুঁড়েঘরে দেখা মিলত চড়ুই পাখির। এখন তেমন কুঁড়েঘর নেই। তাই তেমন দেখাও মেলে না এদের। তবে এখানে এক গাছে কয়েক হাজার চড়ুই বাস করছে। দেখে খুব ভালো লাগল। তাই এখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েছি।’
কৃষ্ণচূড়াগাছের পাশে সামাদ হোটেল। এ হোটেলের কারিগর ডালিম পাল বলেন, ‘এখানে ১৩ বছর ধরে চাকরি করছি। তখন থেকেই পাখিগুলোকে দেখি। এলাকার লোকজন নিজেরা কখনো গাছের ডালপালা কাটেন না। আমরা নিজেদের মতো করে পাখিগুলোকে দেখে রাখছি। এ পাখির ডাকেই আমার ঘুম ভাঙে, দিন শুরু হয়।’
মডার্ন মোড়ের পান ব্যবসায়ী সাজু মিয়া জানান, প্রতিদিন পড়ন্ত বিকেলে পাখিরা এখানে এসে আশ্রয় নেয়। সন্ধ্যায় পুরো এলাকা পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে।
নির্বিঘ্নে রাত কাটিয়ে ভোর হলে উড়ে যায় এরা। দিন শেষে আবার নীড়ে ফেরে।
রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, চড়ুই পাখি দলবদ্ধভাবে বসবাস করতে ভালোবাসে। তাই এরা একসঙ্গে থাকে। মডার্ন মোড়ে কয়েকটি গাছে হাজারো চড়ুই বসবাস করছে। এটি দারুণ বিষয়।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে