সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার অষ্টম দফার প্রথম দিনে গতকাল সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সকাল সোয়া ১০টার দিকে খায়রুল ইসলামের অসমাপ্ত জেরা দিয়ে মামলার দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। তিনি মামলার ৬৫ নম্বর সাক্ষী।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম সপ্তম দফায় গত ১৬ নভেম্বর আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর ১৭ নভেম্বর ও অষ্টম দফায় গতকাল আসামি পক্ষের আইনজীবীর জেরা চলে। এ দফায় আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিন এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। গতকাল তাঁর জেরা অসমাপ্ত রেখে আদালত মুলতবি ঘোষণা করা হয়।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে আদালতে তোলা হয়।

গত বছরের ৩১ জুলাই কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় তাঁর বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের পর র‍্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে মামলার ১৫ আসামি কারাগারে রয়েছেন।