পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। প্রায় ১০ ইঞ্চি গভীর মাটি কেটে ভাটায় নেওয়ায় জমি উর্বরতা শক্তি হারাচ্ছে।
জানা গেছে, ইটভাটার মালিকেরা আইন না মেনে ফসলি জমির ওপরের উর্বর মাটি কিনে তা কেটে নিয়ে ইট তৈরি করছেন। ফসলি জমির পাশে ইটভাটা গড়ে ওঠায় ব্যাপক হারে মাটি কেনাবেচা এবং ইট পোড়ানো হচ্ছে। ইটভাটার মালিকেরা রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এতে কৃষিজমির ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
উপজেলার একাধিক ইটভাটা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম এলাকা থেকে দিনের দীর্ঘ সময় এমনকি রাতেও ইটভাটায় ট্রলিতে করে আনা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। ভাটার পাশে স্তূপ করে রাখা হয়েছে কিনে আনা মাটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইটভাটার একাধিক শ্রমিক বলেন, ‘১ হাজার ইট তৈরিতে এক ট্রলি মাটির প্রয়োজন হয়। প্রতিদিন ভাটাগুলোতে এক শর বেশি ট্রলি মাটি আনা হয়। প্রতি ফুট মাটি ৭ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় কেনা হয়। প্রতিদিন ৩০ থেকে সাড়ে ৩৫ হাজার ইট বানানো হয়। এভাবে চলবে ৬ থেকে ৮ মাস পর্যন্ত। সাধারণত ডিসেম্বর থেকে খরা মৌসুমজুড়ে চলে ইট তৈরির কাজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইটভাটার মালিক বলেন, ‘আমরা তো জোর করে বা ভয় দেখিয়ে কারও কাছ থেকে মাটি কিনি না। যাঁরা বিক্রি করতে চান, তাঁদের সঙ্গে দাম ঠিক করে মাটি কিনি।’
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট পাটগ্রাম সার্কেল কার্যালয় জানায়, এ সার্কেল কার্যালয়ের অধীন পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলায় ১৬টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে পাটগ্রাম উপজেলায় ৪টি ও পার্শ্ববর্তী হাতীবান্ধা উপজেলায় ১২টি ইটভাটা রয়েছে।
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট পাটগ্রাম সার্কেল কার্যালয়ের রাজস্ব কর্মকর্তা কাজী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সার্কেলের অধীন ইটভাটাগুলো এক সেকশনভিত্তিক। প্রতিটির ব্যবসায়ী টিন, বিআইএন দেখে নির্ধারিত ভ্যাট তথা প্রতি মৌসুমে সাড়ে ৪ লাখ টাকা আদায় করে থাকি।’
পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গাফ্ফার বলেন, ‘কৃষিজমির উপরিভাগ থেকে মাটি কাটলে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়। পরবর্তী সময়ে দীর্ঘদিন ওই জমির উর্বরতা শক্তি থাকে না। এভাবে মাটি কেটে ইটভাটায় নেওয়া হলে কৃষিজমির উর্বরতা শক্তি হারাবে।’
রংপুর বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, ‘কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি ইটভাটাগুলোতে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।’
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। প্রায় ১০ ইঞ্চি গভীর মাটি কেটে ভাটায় নেওয়ায় জমি উর্বরতা শক্তি হারাচ্ছে।
জানা গেছে, ইটভাটার মালিকেরা আইন না মেনে ফসলি জমির ওপরের উর্বর মাটি কিনে তা কেটে নিয়ে ইট তৈরি করছেন। ফসলি জমির পাশে ইটভাটা গড়ে ওঠায় ব্যাপক হারে মাটি কেনাবেচা এবং ইট পোড়ানো হচ্ছে। ইটভাটার মালিকেরা রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এতে কৃষিজমির ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
উপজেলার একাধিক ইটভাটা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম এলাকা থেকে দিনের দীর্ঘ সময় এমনকি রাতেও ইটভাটায় ট্রলিতে করে আনা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। ভাটার পাশে স্তূপ করে রাখা হয়েছে কিনে আনা মাটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইটভাটার একাধিক শ্রমিক বলেন, ‘১ হাজার ইট তৈরিতে এক ট্রলি মাটির প্রয়োজন হয়। প্রতিদিন ভাটাগুলোতে এক শর বেশি ট্রলি মাটি আনা হয়। প্রতি ফুট মাটি ৭ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় কেনা হয়। প্রতিদিন ৩০ থেকে সাড়ে ৩৫ হাজার ইট বানানো হয়। এভাবে চলবে ৬ থেকে ৮ মাস পর্যন্ত। সাধারণত ডিসেম্বর থেকে খরা মৌসুমজুড়ে চলে ইট তৈরির কাজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইটভাটার মালিক বলেন, ‘আমরা তো জোর করে বা ভয় দেখিয়ে কারও কাছ থেকে মাটি কিনি না। যাঁরা বিক্রি করতে চান, তাঁদের সঙ্গে দাম ঠিক করে মাটি কিনি।’
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট পাটগ্রাম সার্কেল কার্যালয় জানায়, এ সার্কেল কার্যালয়ের অধীন পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলায় ১৬টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে পাটগ্রাম উপজেলায় ৪টি ও পার্শ্ববর্তী হাতীবান্ধা উপজেলায় ১২টি ইটভাটা রয়েছে।
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট পাটগ্রাম সার্কেল কার্যালয়ের রাজস্ব কর্মকর্তা কাজী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সার্কেলের অধীন ইটভাটাগুলো এক সেকশনভিত্তিক। প্রতিটির ব্যবসায়ী টিন, বিআইএন দেখে নির্ধারিত ভ্যাট তথা প্রতি মৌসুমে সাড়ে ৪ লাখ টাকা আদায় করে থাকি।’
পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গাফ্ফার বলেন, ‘কৃষিজমির উপরিভাগ থেকে মাটি কাটলে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়। পরবর্তী সময়ে দীর্ঘদিন ওই জমির উর্বরতা শক্তি থাকে না। এভাবে মাটি কেটে ইটভাটায় নেওয়া হলে কৃষিজমির উর্বরতা শক্তি হারাবে।’
রংপুর বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, ‘কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি ইটভাটাগুলোতে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে