ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু পেরিয়ে বরিশাল, খুলনা, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছে বাস। সেতু পাড়ি দিয়ে কম সময়ে পৌঁছে যেতে পেরে দারুণ খুশি যাত্রী ও বাসচালকেরা। এদিকে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনের চাপ ছিল চোখে পড়ার মতো। বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে:

বরিশাল: পদ্মা সেতু পেরিয়ে বরিশালে পৌঁছেছে একের পর এক বাস। নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে যাত্রী চাপ ছিল অনেক। পদ্মা সেতু পেরিয়ে বরিশাল ফেরার অভিজ্ঞতা আবেগ আপ্লুতভাবে জানিয়েছেন একাধিক বাসযাত্রী ও চালক।

সাকুরা পরিবহনের একটি বাস গতকাল সকালে টার্মিনালের কাউন্টারে এসে থামে যাত্রী নামিয়ে দিতে। পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ঢাকা থেকে বরিশাল পৌঁছানো প্রথম যাত্রীবাহী বাস এটি। পৌঁছায় সকাল সাড়ে দশটার দিকে।

বাসটির সুপারভাইজার মো. নাসির উদ্দিন জানান, ভোরে যাত্রাবাড়ী থেকে যাত্রা শুরু করে সোয়া পাঁচ ঘণ্টায় বরিশালে পৌঁছান। এর মধ্যে সেতুর টোল প্লাজায় জটে আটকে ছিলেন দুই ঘণ্টা।

ইলিশ পরিবহনের বাসের যাত্রী আ. আজিজ জানান, যাত্রীদের অনুরোধে গতি কমিয়ে দেওয়ায় ইলিশ পরিবহন সেতু পেরিয়েছে ১৩ মিনিটে।

খুলনা: ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু পার হয়ে খুলনায় পৌঁছাতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করছেন যাত্রীরা। আর খুলনা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় পৌঁছাবেন সেই আনন্দ নিয়েও খুলনা ছেড়েছেন যাত্রী ও পরিবহন চালকেরা।

সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে কথা হয় মো. ইকবাল হোসেনের সঙ্গে। উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে খুলনায় আসা সম্ভব, তা ছিল কল্পনার বাইরে।’

শরীয়তপুর: পদ্মা সেতু চালুর প্রথম দিনেই শরীয়তপুরে সৃষ্টি হয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ জট। শরীয়তপুর শহর থেকে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৫ কিলোমিটার সড়কে যানবাহন চলেছে ধীর গতিতে। এ পথ পাড়ি দিতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগছিল যাত্রীদের। যানজটে আটকা পড়ে বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্সও। স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর খবরে সড়কে উৎসুক মানুষের ভিড় বাড়ায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়।

পটুয়াখালী: ‘ঢাকা থেকে ১৪ ঘণ্টায়ও পটুয়াখালী আসতে পারতাম না, কিন্তু আজ সাত মিনিটে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে পাঁচ ঘণ্টায় চলে এলাম বাড়িতে।’ বললেন সাকুরা পরিবহনের বাসে আসা আনন্দে উচ্ছ্বসিত পটুয়াখালীর বাসিন্দা ফয়সাল আহমেদ।

সাকুরা পরিবহন পটুয়াখালী চৌরাস্তায় পৌঁছে বেলা দেড়টায়। এর ৩০ মিনিট পরেই আসে গ্রীন লাইন পরিবহন, জুবায়ের পরিবহনসহ অন্যান্য বিলাসবহুল বাস।