আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল
ধর্ষণ মামলায় আত্মগোপনে থাকলেও টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনি জেলাজুড়ে আলোচনায়। রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে পেশাজীবী সংগঠন, জেলা শহর থেকে উপজেলা সদর, অফিসপাড়া থেকে চায়ের টেবিল– সর্বত্রই আলোচনা তাঁকে নিয়ে। পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ সমাবেশও হচ্ছে জেলা-উপজেলায়।
গোলাম কিবরিয়া বড় মনি টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই। এ ছাড়া টাঙ্গাইলের বাস-কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সহসভাপতি, নিরাপদ সড়ক চাই-এর জেলা শাখার সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তিনি।
৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল পৌর শহরের এক অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, জমি-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে প্রথমে ২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বর ওই কিশোরীকে গোলাম কিবরিয়া ধর্ষণ করেন এবং ছবি তুলে রাখেন। পরে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গত ২৯ মার্চ ওই কিশোরীকে তার বাসা থেকে তুলে শহরের একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। বর্তমানে মেয়েটি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। তাতে অস্বীকৃতি জানালে কিশোরীকে নির্যাতন করে অসুস্থ করে ফেলা হয়।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য গোলাম কিবরিয়াকে মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি ধরেননি। পরে চেষ্টা করেও তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ মামলার কোনো আলামত নেই টাঙ্গাইল মডেল থানা-পুলিশের হাতে। শুধু একটি ভিডিও লিংক সম্বল করে তারা ডিএনএ টেস্টের অপেক্ষায় রয়েছে।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) সমন্বয়কারী খন্দকার আমিনা রহমান বলেন, ‘আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও দেখেছি। মামলার বিষয়টিও শুনেছি। আমার দৃষ্টিতে এখানে কয়েকটি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। গত ২৯ মার্চ বাড়ি থেকে তুলে এনে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়েছে; যা অপহরণতুল্য অপরাধ। তারপর সেখানে ধর্ষণের ঘটনা এবং শারীরিক নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে। এই ঘটনায় দুটি মামলা হতে পারত। একটি ধর্ষণের মামলা, আরেকটি অপহরণের পর নির্যাতনের মামলা। অভিযোগকারী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছে। এখানে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি ঘটনায় ব্যবহৃত উপকরণ লাঠি, বিছানার চাদরসহ বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা খুবই জরুরি।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমান জানান, ৫ এপ্রিল রাতে কিশোরীর দায়ের করা অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আলামত জব্দ করার চেষ্টা চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিশোরীকে নির্যাতনের ভিডিও লিংক রেকর্ডে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কোনো আলামত এখনো জব্দ করা সম্ভব হয়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বাদীকেও নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
টাঙ্গাইল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবার খান বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তকালের পূর্বাপর ঘটনার সাক্ষী, ঘটনায় ব্যবহৃত উপকরণ আলামত হিসেবে জব্দ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। ধর্ষণ মামলায় সম্পর্ক নিশ্চিত করার জন্য উভয়ের ডিএনএ টেস্ট অবধারিতভাবে করতে হবে। এটা উচ্চ আদালতের নির্দেশ। ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ নেই কার দ্বারা গর্ভে সন্তান এসেছে। এসব ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তবে টাঙ্গাইলে আলোচিত কিশোরী ধর্ষণের মামলায় বিবাদীরই এগিয়ে আসা উচিত, কার দ্বারা গর্ভে সন্তান এসেছে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য।
এই মামলার পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল হয়েছে। অফিসপাড়া থেকে চায়ের দোকানে চলছে আলোচনা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা শহরের কবি নজরুল সড়কে প্রেসক্লাবের কাছের এক চায়ের দোকানি জানান, সাধারণ নাগরিকেরা এই ঘটনাকে ঘিরে নানান আলোচনা করছেন। রিকশাচালকরাও বলছেন, বেশি বাড়লে এভাবেই পতন আসে।
অফিসপাড়ার অনেকেই বলছেন, তদবির কমে যাবে। কিছুদিন নিরাপদে চাকরি করা যাবে।
আওয়ামী লীগের নেতারাও কিশোরীর দায়ের করা মামলা নিয়ে বেশ বিব্রত। শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রউফ বলেন, তদন্তের মাধ্যমেই অভিযোগের সত্যতা বেরিয়ে আসবে।
গত রোববার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কেউ মামলাটিকে ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করেছেন। আবার কেউ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি শরীফ হাজারী সভায় গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে হওয়া মামলার অবস্থা এবং তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চান। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শরফুদ্দীন জানান, মামলার তদন্ত এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আমিনুর রহমান বলেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দায়ের করা মামলাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ইন্ধন দিয়ে মিছিল করিয়েছে।
এমন পরিস্থিতির জন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দুষছেন টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসানের অনুসারীরা। ফলদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সইদুল ইসলাম তালুকদার ওরফে দুদু বলেন, স্বনামধন্য একটি পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলা করা হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রে ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র মাসুদুল হক মাসুদসহ দলের টাঙ্গাইলের কতিপয় নেতাও জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অবশ্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মাসুদুল হক ওরফে মাসুদ অভিযোগ নাকচ করেন। তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী হওয়ায় তাঁরা আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে এমন মন্তব্য করছেন।’
ধর্ষণ মামলায় আত্মগোপনে থাকলেও টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনি জেলাজুড়ে আলোচনায়। রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে পেশাজীবী সংগঠন, জেলা শহর থেকে উপজেলা সদর, অফিসপাড়া থেকে চায়ের টেবিল– সর্বত্রই আলোচনা তাঁকে নিয়ে। পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ সমাবেশও হচ্ছে জেলা-উপজেলায়।
গোলাম কিবরিয়া বড় মনি টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই। এ ছাড়া টাঙ্গাইলের বাস-কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সহসভাপতি, নিরাপদ সড়ক চাই-এর জেলা শাখার সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তিনি।
৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল পৌর শহরের এক অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, জমি-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে প্রথমে ২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বর ওই কিশোরীকে গোলাম কিবরিয়া ধর্ষণ করেন এবং ছবি তুলে রাখেন। পরে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গত ২৯ মার্চ ওই কিশোরীকে তার বাসা থেকে তুলে শহরের একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। বর্তমানে মেয়েটি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। তাতে অস্বীকৃতি জানালে কিশোরীকে নির্যাতন করে অসুস্থ করে ফেলা হয়।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য গোলাম কিবরিয়াকে মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি ধরেননি। পরে চেষ্টা করেও তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ মামলার কোনো আলামত নেই টাঙ্গাইল মডেল থানা-পুলিশের হাতে। শুধু একটি ভিডিও লিংক সম্বল করে তারা ডিএনএ টেস্টের অপেক্ষায় রয়েছে।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) সমন্বয়কারী খন্দকার আমিনা রহমান বলেন, ‘আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও দেখেছি। মামলার বিষয়টিও শুনেছি। আমার দৃষ্টিতে এখানে কয়েকটি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। গত ২৯ মার্চ বাড়ি থেকে তুলে এনে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়েছে; যা অপহরণতুল্য অপরাধ। তারপর সেখানে ধর্ষণের ঘটনা এবং শারীরিক নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে। এই ঘটনায় দুটি মামলা হতে পারত। একটি ধর্ষণের মামলা, আরেকটি অপহরণের পর নির্যাতনের মামলা। অভিযোগকারী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছে। এখানে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি ঘটনায় ব্যবহৃত উপকরণ লাঠি, বিছানার চাদরসহ বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা খুবই জরুরি।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমান জানান, ৫ এপ্রিল রাতে কিশোরীর দায়ের করা অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আলামত জব্দ করার চেষ্টা চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিশোরীকে নির্যাতনের ভিডিও লিংক রেকর্ডে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কোনো আলামত এখনো জব্দ করা সম্ভব হয়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বাদীকেও নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
টাঙ্গাইল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবার খান বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তকালের পূর্বাপর ঘটনার সাক্ষী, ঘটনায় ব্যবহৃত উপকরণ আলামত হিসেবে জব্দ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। ধর্ষণ মামলায় সম্পর্ক নিশ্চিত করার জন্য উভয়ের ডিএনএ টেস্ট অবধারিতভাবে করতে হবে। এটা উচ্চ আদালতের নির্দেশ। ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ নেই কার দ্বারা গর্ভে সন্তান এসেছে। এসব ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তবে টাঙ্গাইলে আলোচিত কিশোরী ধর্ষণের মামলায় বিবাদীরই এগিয়ে আসা উচিত, কার দ্বারা গর্ভে সন্তান এসেছে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য।
এই মামলার পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল হয়েছে। অফিসপাড়া থেকে চায়ের দোকানে চলছে আলোচনা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা শহরের কবি নজরুল সড়কে প্রেসক্লাবের কাছের এক চায়ের দোকানি জানান, সাধারণ নাগরিকেরা এই ঘটনাকে ঘিরে নানান আলোচনা করছেন। রিকশাচালকরাও বলছেন, বেশি বাড়লে এভাবেই পতন আসে।
অফিসপাড়ার অনেকেই বলছেন, তদবির কমে যাবে। কিছুদিন নিরাপদে চাকরি করা যাবে।
আওয়ামী লীগের নেতারাও কিশোরীর দায়ের করা মামলা নিয়ে বেশ বিব্রত। শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রউফ বলেন, তদন্তের মাধ্যমেই অভিযোগের সত্যতা বেরিয়ে আসবে।
গত রোববার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কেউ মামলাটিকে ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করেছেন। আবার কেউ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি শরীফ হাজারী সভায় গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে হওয়া মামলার অবস্থা এবং তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চান। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শরফুদ্দীন জানান, মামলার তদন্ত এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আমিনুর রহমান বলেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দায়ের করা মামলাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ইন্ধন দিয়ে মিছিল করিয়েছে।
এমন পরিস্থিতির জন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দুষছেন টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসানের অনুসারীরা। ফলদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সইদুল ইসলাম তালুকদার ওরফে দুদু বলেন, স্বনামধন্য একটি পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলা করা হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রে ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র মাসুদুল হক মাসুদসহ দলের টাঙ্গাইলের কতিপয় নেতাও জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অবশ্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মাসুদুল হক ওরফে মাসুদ অভিযোগ নাকচ করেন। তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী হওয়ায় তাঁরা আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে এমন মন্তব্য করছেন।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে