রিমন রহমান, রাজশাহী
রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বর্তমান মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ। আগে ছিলেন পশ্চিম রেলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিএমও)। তখন তিনিসহ মোট ১৩ কর্মকর্তা কেনাকাটায় বড় অনিয়ম করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়। তারপরও তিনি বহাল আছেন। শুধু তিনি একা নন, বহাল আরও নয়জন। কেউ পেয়েছেন পদোন্নতি। কেউ কেউ রেল মন্ত্রণালয় থেকে বদলি হয়ে গেছেন অন্য মন্ত্রণালয়ে।
তবে দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই তিনজন হলেন পশ্চিম রেলের সাবেক কন্ট্রোলার অব স্টোরস (সিওএস) প্রকৌশলী মো. বেলাল হোসেন সরকার, সাবেক চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (সিসিএম) এএমএম শাহনেওয়াজ এবং সাবেক সহকারী কন্ট্রোলার অব স্টোরস (এসিওএস) মো. জাহিদ কাওছার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পশ্চিম রেলে ২০টি পণ্য কেনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়। বিষয়টি সামনে এলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাসকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটি ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর রেলমন্ত্রীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
২৯ পাতার ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ হাজার ৮৫ টাকার এক একটি পর্দা কেনা হয় ১৭ হাজার ৯৯০ টাকায়, ১৩৩ টাকার তালা ৫ হাজার ৫০০ টাকায়, ২০০ টাকার বালতি ১ হাজার ৮৯০ টাকায়, ৫০ টাকার বাঁশি ৪১৫ টাকায় এবং ৭৫ টাকার ঝান্ডা ১ হাজার ৪৪০ টাকায় কেনা হয়েছিল। মোট ২০ ধরনের পণ্য কেনা হয়েছিল বাজারমূল্যের চেয়ে ১৫ থেকে ৩৩ গুণ বেশি দামে। এতে সরকারের বিপুল টাকা লোকসান হয়। এ টাকা পকেটে তোলেন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা।
এ জন্য বরখাস্ত তিন কর্মকর্তা ছাড়াও তৎকালীন প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মিহির কান্তি গুহ, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা মো. মসিহ-উল-হাসান, অতিরিক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা মো. গোলাম রহমান, ডিএফএ অর্থ মো. আলমগীর, অতিরিক্ত এফএএন্ডসিও গোলাম রাব্বানী, ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, এসিসিএমসিআর শেখ আবদুল জব্বার, ডেপুটি সিওপিএস হাসিনা খাতুন, ডিএমএ হেডকোয়ার্টার শ্যামলী রাণী রায় ও এফএঅ্যান্ডসিএও শরিফুল ইসলামকে দায়ী করা হয়। তদন্ত কমিটি এঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা হয়নি।
উল্টো এক বছরের মধ্যে অনেকেই পদোন্নতি পেয়ে বসেছেন শীর্ষ আসনে। মিহির কান্তি গুহ পদোন্নতি পেয়ে পশ্চিম রেলের শীর্ষ কর্মকর্তা হয়েছেন। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ফুয়াদ হোসেন আনন্দ বর্তমানে রেলের মহাপরিচালকের পিএস। কেউ কেউ বদলি হয়ে চলে গেছেন ভিন্ন মন্ত্রণালয়েও।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেও পারে। কিন্তু প্রমাণ ছাড়া ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।’ তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধেও দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে, এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দেননি পশ্চিম রেলের এই শীর্ষ কর্মকর্তা। আর অনিয়মে অভিযুক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা মসিহ-উল-হাসানের দাবি, মন্ত্রণালয় থেকে তাঁদের এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। অভিযুক্তদের বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার মন্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি।
সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, রাষ্ট্র বলে- দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক ক্ষমতা এতই বেশি যে, বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধা যায় না। তিনি বলেন, জাতির পিতা দুর্নীতিমুক্ত এক দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাই অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া না গেলে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ হবে না। রেলসহ সারা দেশের অন্যান্য খাতে যে দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনা চলছে তা বন্ধ করার এখনই সময়।
রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বর্তমান মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ। আগে ছিলেন পশ্চিম রেলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিএমও)। তখন তিনিসহ মোট ১৩ কর্মকর্তা কেনাকাটায় বড় অনিয়ম করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়। তারপরও তিনি বহাল আছেন। শুধু তিনি একা নন, বহাল আরও নয়জন। কেউ পেয়েছেন পদোন্নতি। কেউ কেউ রেল মন্ত্রণালয় থেকে বদলি হয়ে গেছেন অন্য মন্ত্রণালয়ে।
তবে দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই তিনজন হলেন পশ্চিম রেলের সাবেক কন্ট্রোলার অব স্টোরস (সিওএস) প্রকৌশলী মো. বেলাল হোসেন সরকার, সাবেক চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (সিসিএম) এএমএম শাহনেওয়াজ এবং সাবেক সহকারী কন্ট্রোলার অব স্টোরস (এসিওএস) মো. জাহিদ কাওছার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পশ্চিম রেলে ২০টি পণ্য কেনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়। বিষয়টি সামনে এলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাসকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটি ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর রেলমন্ত্রীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
২৯ পাতার ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ হাজার ৮৫ টাকার এক একটি পর্দা কেনা হয় ১৭ হাজার ৯৯০ টাকায়, ১৩৩ টাকার তালা ৫ হাজার ৫০০ টাকায়, ২০০ টাকার বালতি ১ হাজার ৮৯০ টাকায়, ৫০ টাকার বাঁশি ৪১৫ টাকায় এবং ৭৫ টাকার ঝান্ডা ১ হাজার ৪৪০ টাকায় কেনা হয়েছিল। মোট ২০ ধরনের পণ্য কেনা হয়েছিল বাজারমূল্যের চেয়ে ১৫ থেকে ৩৩ গুণ বেশি দামে। এতে সরকারের বিপুল টাকা লোকসান হয়। এ টাকা পকেটে তোলেন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা।
এ জন্য বরখাস্ত তিন কর্মকর্তা ছাড়াও তৎকালীন প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মিহির কান্তি গুহ, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা মো. মসিহ-উল-হাসান, অতিরিক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা মো. গোলাম রহমান, ডিএফএ অর্থ মো. আলমগীর, অতিরিক্ত এফএএন্ডসিও গোলাম রাব্বানী, ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, এসিসিএমসিআর শেখ আবদুল জব্বার, ডেপুটি সিওপিএস হাসিনা খাতুন, ডিএমএ হেডকোয়ার্টার শ্যামলী রাণী রায় ও এফএঅ্যান্ডসিএও শরিফুল ইসলামকে দায়ী করা হয়। তদন্ত কমিটি এঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা হয়নি।
উল্টো এক বছরের মধ্যে অনেকেই পদোন্নতি পেয়ে বসেছেন শীর্ষ আসনে। মিহির কান্তি গুহ পদোন্নতি পেয়ে পশ্চিম রেলের শীর্ষ কর্মকর্তা হয়েছেন। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ফুয়াদ হোসেন আনন্দ বর্তমানে রেলের মহাপরিচালকের পিএস। কেউ কেউ বদলি হয়ে চলে গেছেন ভিন্ন মন্ত্রণালয়েও।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেও পারে। কিন্তু প্রমাণ ছাড়া ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।’ তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধেও দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে, এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দেননি পশ্চিম রেলের এই শীর্ষ কর্মকর্তা। আর অনিয়মে অভিযুক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা মসিহ-উল-হাসানের দাবি, মন্ত্রণালয় থেকে তাঁদের এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। অভিযুক্তদের বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার মন্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি।
সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, রাষ্ট্র বলে- দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক ক্ষমতা এতই বেশি যে, বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধা যায় না। তিনি বলেন, জাতির পিতা দুর্নীতিমুক্ত এক দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাই অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া না গেলে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ হবে না। রেলসহ সারা দেশের অন্যান্য খাতে যে দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনা চলছে তা বন্ধ করার এখনই সময়।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে