রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট এলাকার মুদিদোকানি সাইদুর রহমান মোকামে সয়াবিন তেল পাচ্ছেন না। হাতে যা আছে তাতে তিনি মিশিয়ে নিচ্ছেন পাম অয়েল। বিষয়টি অকপটে স্বীকার করে তিনি বললেন, ‘পাইকারিতে সয়াবিন পাওয়া যাচ্ছে না। দুই ব্যারেল আগে থেকে ছিল, এর সঙ্গে পাম অয়েল মিশিয়ে বিক্রি করছি। তাহলে দামটা বাড়ানো লাগছে না।’
গত সোমবার সন্ধ্যায় সাইদুর বলছিলেন, বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ছেই। কিন্তু বেশি দাম চাইলে আবার ক্রেতারা হট্টগোল করছেন। আর এ কারণেই তিনি সয়াবিনের সঙ্গে পাম অয়েল মেশাচ্ছেন। এই তেল সয়াবিন হিসেবেই বিক্রি করছেন। কম দামের পাম অয়েল মেশানোর কারণে তেলের বাড়তি মূল্য তিনি নিচ্ছেন না। ক্রেতার সঙ্গে কোনো ঝামেলাও হচ্ছে না।
সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সারা দেশের মতো রাজশাহীতেও এর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সংকট যে শুধু শহরে তা নয়। গ্রামের সব মুদিদোকানেও সয়াবিন তেল মিলছে না। এ পরিস্থিতিতে আবার সাইদুরের মতো অনেকেই সয়াবিন তেলের সঙ্গে পাম অয়েল মেশাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসন বলছে, তেলের সংকট নেই। অসাধু ব্যবসায়ীরা তৈরি করেছেন কৃত্রিম সংকট।
সরকার সয়াবিন তেলের দাম ১৬৮ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বেশির ভাগ দোকানি ইচ্ছেমতো দাম আদায় করছেন। গ্রামে এখন খোলা তেলই পাওয়া যাচ্ছে না ১৬৮ টাকায়। আবার বোতলজাত তেলের ক্ষেত্রে বোতলের গায়ে লেখা মূল্য উঠিয়ে দিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন দোকানিরা।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সংস্থাটি কয়েক দিন ধরে ব্যবসায়ীদের জরিমানা, দোকান সিলগালা ও সতর্কতা অভিযান অব্যাহত রেখেছে। গত সাত দিনে রাজশাহীতে ভোক্তা অধিকার ৫ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। গুদামে লুকিয়ে রাখা সয়াবিন তেলও জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া তেল থাকলেও ক্রেতাদের ফিরিয়ে দেওয়ায় একটি দোকান সিলগালা করা হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত সোমবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে ‘ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট নিরসনে করণীয়’ বিষয়ক এক আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল।
সভায় বিশ্ববাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের সয়াবিন মিলার, আমদানিকারক এবং পাইকারি ও রাজশাহীর খুচরা বিক্রেতারা পর্যন্ত তেল মজুত শুরু করেছেন। ফলে খুচরা পর্যায়ে তেলের কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে। অধিক মুনাফার আশায় অনেক ব্যবসায়ী তেল বাজারে ছাড়ছেন না। ফলে বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে। এই কৃত্রিম সংকট কাটিয়ে উঠতে জেলা প্রশাসক ব্যবসায়ী নেতাদের সহযোগিতা কামনা করেন।
তবে সপ্তাহখানেক ধরে পাইকারিতেই সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না অভিযোগ করে রাজশাহী পরিবেশক সমিতির অর্থ সম্পাদক মো. শামসুজ্জামান বলেন, যাঁরা বিদেশ থেকে তেল আমদানি করেন, তাঁরাই সিন্ডিকেট করে দাম নিয়ন্ত্রণ করেন। ছোট ব্যবসায়ীদের দোষ নেই। কেউ তেল মজুত করলে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছি। গুদাম থেকে তেল উদ্ধার করেছি। আমাদের অভিযান চলমান আছে।’ গতকাল মঙ্গলবারও শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। তবে এদিন তেমন কোনো অনিয়ম তিনি পাননি। সয়াবিন তেলে পাম অয়েল মেশানোর বিষয়ে তিনি বলেন, এটাও ঠিক নয়। কারণ, পাম অয়েলের দাম কম। এ রকম কিছু দেখতে পেলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট এলাকার মুদিদোকানি সাইদুর রহমান মোকামে সয়াবিন তেল পাচ্ছেন না। হাতে যা আছে তাতে তিনি মিশিয়ে নিচ্ছেন পাম অয়েল। বিষয়টি অকপটে স্বীকার করে তিনি বললেন, ‘পাইকারিতে সয়াবিন পাওয়া যাচ্ছে না। দুই ব্যারেল আগে থেকে ছিল, এর সঙ্গে পাম অয়েল মিশিয়ে বিক্রি করছি। তাহলে দামটা বাড়ানো লাগছে না।’
গত সোমবার সন্ধ্যায় সাইদুর বলছিলেন, বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ছেই। কিন্তু বেশি দাম চাইলে আবার ক্রেতারা হট্টগোল করছেন। আর এ কারণেই তিনি সয়াবিনের সঙ্গে পাম অয়েল মেশাচ্ছেন। এই তেল সয়াবিন হিসেবেই বিক্রি করছেন। কম দামের পাম অয়েল মেশানোর কারণে তেলের বাড়তি মূল্য তিনি নিচ্ছেন না। ক্রেতার সঙ্গে কোনো ঝামেলাও হচ্ছে না।
সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সারা দেশের মতো রাজশাহীতেও এর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সংকট যে শুধু শহরে তা নয়। গ্রামের সব মুদিদোকানেও সয়াবিন তেল মিলছে না। এ পরিস্থিতিতে আবার সাইদুরের মতো অনেকেই সয়াবিন তেলের সঙ্গে পাম অয়েল মেশাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসন বলছে, তেলের সংকট নেই। অসাধু ব্যবসায়ীরা তৈরি করেছেন কৃত্রিম সংকট।
সরকার সয়াবিন তেলের দাম ১৬৮ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বেশির ভাগ দোকানি ইচ্ছেমতো দাম আদায় করছেন। গ্রামে এখন খোলা তেলই পাওয়া যাচ্ছে না ১৬৮ টাকায়। আবার বোতলজাত তেলের ক্ষেত্রে বোতলের গায়ে লেখা মূল্য উঠিয়ে দিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন দোকানিরা।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সংস্থাটি কয়েক দিন ধরে ব্যবসায়ীদের জরিমানা, দোকান সিলগালা ও সতর্কতা অভিযান অব্যাহত রেখেছে। গত সাত দিনে রাজশাহীতে ভোক্তা অধিকার ৫ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। গুদামে লুকিয়ে রাখা সয়াবিন তেলও জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া তেল থাকলেও ক্রেতাদের ফিরিয়ে দেওয়ায় একটি দোকান সিলগালা করা হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত সোমবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে ‘ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট নিরসনে করণীয়’ বিষয়ক এক আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল।
সভায় বিশ্ববাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের সয়াবিন মিলার, আমদানিকারক এবং পাইকারি ও রাজশাহীর খুচরা বিক্রেতারা পর্যন্ত তেল মজুত শুরু করেছেন। ফলে খুচরা পর্যায়ে তেলের কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে। অধিক মুনাফার আশায় অনেক ব্যবসায়ী তেল বাজারে ছাড়ছেন না। ফলে বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে। এই কৃত্রিম সংকট কাটিয়ে উঠতে জেলা প্রশাসক ব্যবসায়ী নেতাদের সহযোগিতা কামনা করেন।
তবে সপ্তাহখানেক ধরে পাইকারিতেই সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না অভিযোগ করে রাজশাহী পরিবেশক সমিতির অর্থ সম্পাদক মো. শামসুজ্জামান বলেন, যাঁরা বিদেশ থেকে তেল আমদানি করেন, তাঁরাই সিন্ডিকেট করে দাম নিয়ন্ত্রণ করেন। ছোট ব্যবসায়ীদের দোষ নেই। কেউ তেল মজুত করলে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছি। গুদাম থেকে তেল উদ্ধার করেছি। আমাদের অভিযান চলমান আছে।’ গতকাল মঙ্গলবারও শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। তবে এদিন তেমন কোনো অনিয়ম তিনি পাননি। সয়াবিন তেলে পাম অয়েল মেশানোর বিষয়ে তিনি বলেন, এটাও ঠিক নয়। কারণ, পাম অয়েলের দাম কম। এ রকম কিছু দেখতে পেলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে