ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ৮ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছে। গত রোববার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ৮ ইউপির মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত মাত্র দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ৬ ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী তিনজন ও বিএনপির তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
দলের দুই প্রার্থীর জামানত বাতিলের বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী বলেন, সাহেবাবাদ ইউপিতে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। এ ছাড়া বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহের ওই ইউপির একজন বিদ্রোহী প্রার্থী মনির হোসেন চৌধুরীকে সমর্থন দিয়ে টাকার বিনিময়ে নৌকার ভোট নষ্ট করেছেন। অপরদিকে, মালাপাড়া ইউপিতে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থন দিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করে একইভাবে নৌকার ভোট নষ্ট করেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নিজ উদ্যোগে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন, আবার কোনো কোনো জায়গায় বিএনপির প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক প্রার্থী থাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা হেরেছেন।
এদিকে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ২ জনসহ ৪১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। মোট প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, উপজেলার চান্দলা ইউপিতে সবচেয়ে বেশি ১৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী নাছির ভূঁইয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী বাছির আহাম্মদ, মোসা. আলেয়া বেগম, আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, ইসরাফিল হোসেন ভূঁইয়া, শহিনুর আলম, গোলাম ছারওয়ার ভূঁইয়া, ছাদেকুর রহমান, ছালাউদ্দিন, জসিম উদ্দিন, বিল্লাল হোসেন খান, রফিকুল ইসলাম রশিদ, সুলতান আহাম্মদ খান ও হাবিবুর রহমান জামানত হারাচ্ছেন।
এদিকে শশীদল ইউপিতে জামানত হারাচ্ছেন ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের প্রার্থী এইচ এম গোলাম কিবরিয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী জোহরা বেগম, আবু ছুফিয়ান, ফারুক আহম্মেদ ও সামছুল ইসলাম।
মাধবপুর ইউপিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হানিফ সরকার, স্বতন্ত্র প্রার্থী এসকান্দার আলী ও মামুন চৌধুরী জামানত হারাচ্ছেন। আবার শিদলাই ইউপিতে জামানত হারাচ্ছেন ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। তাঁরা হলেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন ও বাচ্চু মিয়া।
দুলালপুর ইউপিতে জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী জাকির, স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্তার হোসেন ও আবদুর হান্নান সরকার জামানত হারাচ্ছেন। এ ছাড়া ব্রাহ্মণপাড়া সদর ইউপিতে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী জালাল হোসেন জামানত হারাচ্ছেন।
সাহেবাবাদ ইউপিতে জামানত হারাচ্ছেন ৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোস্তফা ছারোয়ার খান, জাকের পার্টি মনোনীত আবদুল মালেক, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া, ইয়ার খান ভূঁইয়া, খোরশেদ আলম, মনির হোসেন ও হাবিবুর রহমান।
এদিকে মালাপাড়া ইউপিতে জামানত হারাচ্ছেন ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত আবুল কালাম আজাদ ভূঁইয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সেলিম ভূঁইয়া, জসিম উদ্দিন, মিজানুর রহমান ভূঁইয়া ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত তামজিদ হোসেন জামানত হারাচ্ছেন।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বুলবুল আহমেদ বলেন, ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রত্যেক প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে ৫ হাজার টাকা জামানত দিতে হয়। সেই জামানতের টাকা ফেরত পেতে ওই ইউপিতে ভোটকেন্দ্রগুলোতে মোট প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট পেতে হয়। যে প্রার্থীরা এই পরিমাণ ভোট পাবেন না, তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ৮ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছে। গত রোববার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ৮ ইউপির মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত মাত্র দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ৬ ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী তিনজন ও বিএনপির তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
দলের দুই প্রার্থীর জামানত বাতিলের বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী বলেন, সাহেবাবাদ ইউপিতে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। এ ছাড়া বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহের ওই ইউপির একজন বিদ্রোহী প্রার্থী মনির হোসেন চৌধুরীকে সমর্থন দিয়ে টাকার বিনিময়ে নৌকার ভোট নষ্ট করেছেন। অপরদিকে, মালাপাড়া ইউপিতে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থন দিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করে একইভাবে নৌকার ভোট নষ্ট করেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নিজ উদ্যোগে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন, আবার কোনো কোনো জায়গায় বিএনপির প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক প্রার্থী থাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা হেরেছেন।
এদিকে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ২ জনসহ ৪১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। মোট প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, উপজেলার চান্দলা ইউপিতে সবচেয়ে বেশি ১৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী নাছির ভূঁইয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী বাছির আহাম্মদ, মোসা. আলেয়া বেগম, আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, ইসরাফিল হোসেন ভূঁইয়া, শহিনুর আলম, গোলাম ছারওয়ার ভূঁইয়া, ছাদেকুর রহমান, ছালাউদ্দিন, জসিম উদ্দিন, বিল্লাল হোসেন খান, রফিকুল ইসলাম রশিদ, সুলতান আহাম্মদ খান ও হাবিবুর রহমান জামানত হারাচ্ছেন।
এদিকে শশীদল ইউপিতে জামানত হারাচ্ছেন ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের প্রার্থী এইচ এম গোলাম কিবরিয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী জোহরা বেগম, আবু ছুফিয়ান, ফারুক আহম্মেদ ও সামছুল ইসলাম।
মাধবপুর ইউপিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হানিফ সরকার, স্বতন্ত্র প্রার্থী এসকান্দার আলী ও মামুন চৌধুরী জামানত হারাচ্ছেন। আবার শিদলাই ইউপিতে জামানত হারাচ্ছেন ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। তাঁরা হলেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন ও বাচ্চু মিয়া।
দুলালপুর ইউপিতে জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী জাকির, স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্তার হোসেন ও আবদুর হান্নান সরকার জামানত হারাচ্ছেন। এ ছাড়া ব্রাহ্মণপাড়া সদর ইউপিতে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী জালাল হোসেন জামানত হারাচ্ছেন।
সাহেবাবাদ ইউপিতে জামানত হারাচ্ছেন ৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোস্তফা ছারোয়ার খান, জাকের পার্টি মনোনীত আবদুল মালেক, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া, ইয়ার খান ভূঁইয়া, খোরশেদ আলম, মনির হোসেন ও হাবিবুর রহমান।
এদিকে মালাপাড়া ইউপিতে জামানত হারাচ্ছেন ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত আবুল কালাম আজাদ ভূঁইয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সেলিম ভূঁইয়া, জসিম উদ্দিন, মিজানুর রহমান ভূঁইয়া ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত তামজিদ হোসেন জামানত হারাচ্ছেন।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বুলবুল আহমেদ বলেন, ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রত্যেক প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে ৫ হাজার টাকা জামানত দিতে হয়। সেই জামানতের টাকা ফেরত পেতে ওই ইউপিতে ভোটকেন্দ্রগুলোতে মোট প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট পেতে হয়। যে প্রার্থীরা এই পরিমাণ ভোট পাবেন না, তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে