চালের বস্তায় জাত ও দাম লিখতে গড়িমসি

আয়নাল হোসেন, ঢাকা
প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০: ১০
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০: ২৪

চালের ব্যাগ বা বস্তায় জাতের নাম ও দাম লিখতে গড়িমসি করছেন চালকল মালিকেরা। সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর মিলাররা সময় বাড়ানোর আবেদন করেছেন। তাঁরা বলছেন, চালের বস্তায় এসব তথ্য ছাপানোর ডাইস বানাতে অনেক অর্থ ও সময় দরকার। চাল বা ধানের জাত নিশ্চিত করারও বিষয় আছে। তবে ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, মূলত সময়ক্ষেপণের উদ্দেশ্যেই এসব যুক্তি দেখানো হচ্ছে। 

পয়লা বৈশাখ থেকে চালের বস্তায় জাত, দামসহ বেশ কিছু তথ্য উল্লেখ করে বাজারজাত করার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু সরকারের সেই নির্দেশনা কেউ মানেননি। উল্টো চালকল মালিকেরা সময় বাড়াতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। 

খাদ্যসচিব মো. ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাগের গায়ে জাত ও দাম উল্লেখ করার নির্দেশনার বিষয়ে মিলমালিকেরা সময় বাড়ানোর আবেদন করেছেন। তবে কত দিনের সময় তাঁরা চান, সেটি উল্লেখ করেননি আবেদনে। খুব শিগশির মিলমালিক ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে বৈঠক করে আইনটি কার্যকর করা হবে। 

বাংলাদেশ অটোমেজর ও হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, চালের বস্তার ডাইস তৈরি করতে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়। এ জন্য ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে ধানের জাত নিশ্চিত করতে। এ ছাড়া ডাইসটি যথাযথ কি না, সেটি নিশ্চিত করার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে সভা হওয়ার কথা। 

বাবুবাজারের মা-বাবার দোয়া রাইস এজেন্সির মালিক মনির হোসেন বলেন, মিনিকেট চালের সঙ্গে বিআর-২৮ মিশিয়ে মিল থেকে পাঠানো হতো।

এতে ভোক্তারা প্রতি বস্তা চালে ২০০-২৫০ টাকা ঠকতেন। চালের জাত ও দাম উল্লেখ থাকলে প্রতারণা বন্ধ হবে। 

ফাইল ছবি একই বাজারের চাল ব্যবসায়ী আবদুর রশিদ বলেন, জাত ও দাম উল্লেখ করার নির্দেশনা ইতিবাচক। তবে দীর্ঘদিনের নাম ভুলতে সময় লাগবে। একই বাজারের আরেক চাল ব্যবসায়ী সেলিম আহমেদ অবশ্য বলেন, চালের ব্যাগে দাম উল্লেখ থাকলে বাজারে ব্যবসা বলে কিছু থাকবে না। দাম অনেক সময় কমলে বা বাড়লে তখন কী হবে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। 

২১ ফেব্রুয়ারি খাদ্যসচিবের সই করা এক পরিপত্রে বলা হয়, একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে বাজারজাত হচ্ছে। দাম বাড়লে একে অপরকে দোষারোপ করে। এটি নিরসনে ব্যাগের ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা-উপজেলা, উৎপাদন তারিখ, মিলগেট মূল্য এবং ধান বা চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। এসব লেখা মুদ্রিত হতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানকেও একই নির্দেশ পালন করতে বলা হয়।

চালের বস্তার গায়ে জাত ও দাম উল্লেখ করার নির্দেশনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, আইনটি কার্যকর হলে ভোক্তারা প্রতারিত হওয়া থেকে রক্ষা পাবেন। ব্যবসায়ীরাও নানা অজুহাতে যখন-তখন দাম বাড়াতে পারবেন না। তিনি আরও বলেন, নির্দেশনাটি মানা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে কঠোরভাবে নজরদারি করা উচিত।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত