রাজশাহী প্রতিনিধি
আসনসংখ্যা ৫০। কিন্তু আছেন ১১২ জন। আর তাই রাজশাহী মহিলা ও শিশু-কিশোরী নিরাপদ হেফাজতিদের আবাসনে (সেফহোম) এখন দুটি বেডে থাকতে হচ্ছে কমপক্ষে তিনজনকে। হেফাজতির সংখ্যা বাড়লেও দীর্ঘদিন ধরে এখানে আবাসনব্যবস্থা বাড়েনি।
রাজশাহীর পবা উপজেলার বায়া এলাকায় অবস্থিত এই সেফহোম। আদালতের পরবর্তী নির্দেশনার জন্য অপেক্ষমাণ অভিভাবকহীন, নিরাপত্তাহীন নারী, শিশু ও কিশোরীদের রেখে ন্যায়বিচার পাওয়ার লক্ষ্যে ২০০৩ সালে এই সেফহোম প্রতিষ্ঠা করা হয়। এখানে নিরাপদ আবাসিক সুবিধাসহ ভরণপোষণ, শিক্ষা বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্যসেবা, বিনোদন ও পুনর্বাসন সহায়তার ব্যবস্থাও করা হয়।
বিচারাধীন অবস্থায় নারী ও কিশোরীদের জেলখানার পরিবেশ থেকে মুক্ত করে সুন্দর পরিবেশে থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্তসহ নিরাপদ অবস্থানের নিশ্চয়তা বিধান করাই হচ্ছে এই কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য। ৫০টি আসন নিয়েই রাজশাহী সেফহোমের যাত্রা শুরু হয়। এরপর হেফাজতির সংখ্যা বাড়লেও আবাসনের আর বন্দোবস্ত করা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একটি শেডের দুটি ঘরে থাকেন হেফাজতিরা। প্রতিটি ঘরেই গাদাগাদি করে থাকছেন তাঁরা। এক বিছানায় থাকেন দুজন। মেঝেতেও থাকেন কেউ কেউ। সেফহোমে খাট, চেয়ার-টেবিলসহ প্রয়োজনীয় আসবাবের স্বল্পতাও আছে।
সেখান থেকে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া এক নারী নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ‘সিট না থাকায় গাদাগাদি করেই থাকতে হয়েছে। এতে আমাদের কষ্ট হতো। এক সিটে থাকতে হয় দুজনকে। বাধ্য হয়ে থেকেছি। একটি শেডেই হেফাজতিরা থাকেন। অন্যটিতে পরিবার নিয়ে থাকেন কর্মচারীরা। ফলে হেফাজতিদের গাদাগাদি করে থাকতে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুটি শেডের একটিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন সেফহোমের পাঁচ কর্মচারী। তাঁদের জন্য আলাদা কোনো কোয়ার্টার নেই। এখানে যাঁরা বসবাস করছেন, তাঁরা সরকারি খরচে ব্যবহার করছেন বিদ্যুৎ ও পানি। তাঁদের আত্মীয়স্বজন এলে সেফহোমের ভেতরে হেফাজতিদের সঙ্গেই বসবাস করেন। এতে একদিকে যেমন হেফাজতিদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে, অন্যদিকে নষ্ট হচ্ছে সরকারি অর্থ ও সম্পদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেফহোমের তত্ত্বাবধায়ক রাজ্জাক বলেন, ‘আমাদের এখানে নয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন। তাঁরা এখানেই থাকেন। তাঁদের থাকার কারণে কোনো সমস্যা হয় না। হেফাজতির সংখ্যা আসনসংখ্যার বেশি হওয়ার করণেই সংকট হয়। এ নিয়ে সমাজসেবা দপ্তরে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। সংকট নিরসনে আরেকটি আবাসনের ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
রাজশাহী সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাসিনা মমতাজ বলেন, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের একটি মাত্র সেফহোম হওয়ার কারণে সেফহোমের আবাসনের সংকট কাটছেই না। চিঠি দিয়ে বিষয়টি একাধিকবার মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। সম্প্রতি অতিরিক্ত সচিব ঘুরেও দেখেছেন। তবে এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সেফহোমের একটি শেড কর্মচারীদের দখলে কেন—এই প্রশ্নের জবাবে হাসিনা মমতাজ বলেন, আয়া আর বাবুর্চিরা থাকেন। তাঁদের নোটিশ করেছেন। তাঁরা সেখান থেকে চলে যাবেন।
আসনসংখ্যা ৫০। কিন্তু আছেন ১১২ জন। আর তাই রাজশাহী মহিলা ও শিশু-কিশোরী নিরাপদ হেফাজতিদের আবাসনে (সেফহোম) এখন দুটি বেডে থাকতে হচ্ছে কমপক্ষে তিনজনকে। হেফাজতির সংখ্যা বাড়লেও দীর্ঘদিন ধরে এখানে আবাসনব্যবস্থা বাড়েনি।
রাজশাহীর পবা উপজেলার বায়া এলাকায় অবস্থিত এই সেফহোম। আদালতের পরবর্তী নির্দেশনার জন্য অপেক্ষমাণ অভিভাবকহীন, নিরাপত্তাহীন নারী, শিশু ও কিশোরীদের রেখে ন্যায়বিচার পাওয়ার লক্ষ্যে ২০০৩ সালে এই সেফহোম প্রতিষ্ঠা করা হয়। এখানে নিরাপদ আবাসিক সুবিধাসহ ভরণপোষণ, শিক্ষা বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্যসেবা, বিনোদন ও পুনর্বাসন সহায়তার ব্যবস্থাও করা হয়।
বিচারাধীন অবস্থায় নারী ও কিশোরীদের জেলখানার পরিবেশ থেকে মুক্ত করে সুন্দর পরিবেশে থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্তসহ নিরাপদ অবস্থানের নিশ্চয়তা বিধান করাই হচ্ছে এই কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য। ৫০টি আসন নিয়েই রাজশাহী সেফহোমের যাত্রা শুরু হয়। এরপর হেফাজতির সংখ্যা বাড়লেও আবাসনের আর বন্দোবস্ত করা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একটি শেডের দুটি ঘরে থাকেন হেফাজতিরা। প্রতিটি ঘরেই গাদাগাদি করে থাকছেন তাঁরা। এক বিছানায় থাকেন দুজন। মেঝেতেও থাকেন কেউ কেউ। সেফহোমে খাট, চেয়ার-টেবিলসহ প্রয়োজনীয় আসবাবের স্বল্পতাও আছে।
সেখান থেকে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া এক নারী নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ‘সিট না থাকায় গাদাগাদি করেই থাকতে হয়েছে। এতে আমাদের কষ্ট হতো। এক সিটে থাকতে হয় দুজনকে। বাধ্য হয়ে থেকেছি। একটি শেডেই হেফাজতিরা থাকেন। অন্যটিতে পরিবার নিয়ে থাকেন কর্মচারীরা। ফলে হেফাজতিদের গাদাগাদি করে থাকতে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুটি শেডের একটিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন সেফহোমের পাঁচ কর্মচারী। তাঁদের জন্য আলাদা কোনো কোয়ার্টার নেই। এখানে যাঁরা বসবাস করছেন, তাঁরা সরকারি খরচে ব্যবহার করছেন বিদ্যুৎ ও পানি। তাঁদের আত্মীয়স্বজন এলে সেফহোমের ভেতরে হেফাজতিদের সঙ্গেই বসবাস করেন। এতে একদিকে যেমন হেফাজতিদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে, অন্যদিকে নষ্ট হচ্ছে সরকারি অর্থ ও সম্পদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেফহোমের তত্ত্বাবধায়ক রাজ্জাক বলেন, ‘আমাদের এখানে নয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন। তাঁরা এখানেই থাকেন। তাঁদের থাকার কারণে কোনো সমস্যা হয় না। হেফাজতির সংখ্যা আসনসংখ্যার বেশি হওয়ার করণেই সংকট হয়। এ নিয়ে সমাজসেবা দপ্তরে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। সংকট নিরসনে আরেকটি আবাসনের ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
রাজশাহী সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাসিনা মমতাজ বলেন, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের একটি মাত্র সেফহোম হওয়ার কারণে সেফহোমের আবাসনের সংকট কাটছেই না। চিঠি দিয়ে বিষয়টি একাধিকবার মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। সম্প্রতি অতিরিক্ত সচিব ঘুরেও দেখেছেন। তবে এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সেফহোমের একটি শেড কর্মচারীদের দখলে কেন—এই প্রশ্নের জবাবে হাসিনা মমতাজ বলেন, আয়া আর বাবুর্চিরা থাকেন। তাঁদের নোটিশ করেছেন। তাঁরা সেখান থেকে চলে যাবেন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৬ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
১০ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
১০ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
১০ দিন আগে