নওগাঁ প্রতিনিধি
ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধিতে রবিশস্য নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন নওগাঁর কৃষকেরা। রবি মৌসুমের শুরুতেই খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জমিতে হাল চাষ ও সেচ খরচ বেড়ে গেছে। আগে ট্রাক্টর দিয়ে এক বিঘা জমিতে এক চাষ দিতে খরচ হতো ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। ডিজেলের দাম বৃদ্ধির পর ট্রাক্টরচালক ও মালিকেরা বিঘাপ্রতি ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত চাচ্ছেন। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
সরেজমিন গত মঙ্গলবার সকালে নওগাঁর ভবানীপুর মাঠসহ বেশ কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে আলু চাষে নেমেছেন চাষিরা। ডিজেল চালিত ট্রাক্টর ও পাওয়ার ট্রলি দিয়ে জমি চাষ করা হচ্ছে। সরিষা, গম, পেঁয়াজ ও শাক-সবজির বিভিন্ন খেতে শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে পানি সেচ দেওয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে ডিজেলের মোট চাহিদার বড় একটি অংশ ব্যবহার হয় ফসল উৎপাদন ও পণ্য পরিবহনে। তেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়লেও ফসল উৎপাদন ব্যয় বাড়বে ত্রিশ শতাংশ, ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষি অর্থনীতি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নওগাঁর বিভিন্ন তেলের পাম্পে আগে ডিজেল বিক্রি হয়েছে প্রতি লিটার ৬৫ টাকায়। হঠাৎ লিটারে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এদিকে, বিভিন্ন অজুহাতে স্থানীয়ভাবে খুচরা ডিজেল বিক্রেতারা আরও ২ থেকে ৫ টাকা বেশি নিয়ে বিক্রি করছেন ৮২ থেকে ৮৫ টাকায়।
পত্নীতলা উপজেলার কৃষক সাহাজান সাজু জানান, সাধারণত এক বিঘা জমিতে আলু চাষে খরচ হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। কিন্তু তেলের দাম বৃদ্ধিতে সেই খরচে যোগ হলো বিঘাপ্রতি আরও ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। উৎপাদন খরচ বাড়ায় শুরুতেই মূলধনের অভাব দেখা দিয়েছে। অসহায় হয়ে পড়েছেন অনেক চাষি।
ভবানীপুর এলাকার কৃষক ইউনুস আলী বলেন, ‘হিসেব করে রেখেছিলাম এবার এক বিঘা জমির আলুতে হাজার দশেক খরচ করব। হঠাৎ তেলের দাম যেভাবে বাড়ল মনে হচ্ছে ১৬-১৭ হাজার খরচ হবে। তেলের দাম বেড়েছে, কিন্তু ফসলের দাম বাড়ে না।
আরেক কৃষক রমজান মিয়া বলেন, ডিজেলের দাম বাড়ায় জমিতে চাষ এবং সেচের খরচ বেড়ে গেছে। এক বিঘা জমিতে চাষ করতে খরচ হতো ৩০০ টাকা এখন লাগছে ৪৫০ টাকা। আলু চাষের জন্য জমি অন্তত চারবার চাষ দিতে হবে। অর্থাৎ জমি চাষ করতে শুরুতেই অতিরিক্ত ৬০০ টাকা খরচ হচ্ছে।
ট্রাক্টরচালক রহিম মণ্ডল বলেন, ‘গাড়ি চালিয়ে যদি লাভই না হয়, তাহলে আমরা কীভাবে চলব। আগে তেলের দাম কম ছিল তাই চাষের খরচও কম নেওয়া হতো। এখন দাম বেড়ে গেছে, এ জন্য বিঘা প্রতি ৫০-১০০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আমাদের লোকসান হবে।
নওগাঁ ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন মুকুল বলেন, যান্ত্রিক কৃষি ব্যবস্থায় উৎপাদন খরচ অনেকটাই নির্ভর করে ডিজেলের ওপর। তেলের দাম বাড়ায় বেড়েছে হাল, সেচ ও পরিবহন খরচ। উৎপাদন ব্যয় মোটে ত্রিশ শতাংশ বাড়ল। কৃষকের স্বার্থে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধিতে রবিশস্য নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন নওগাঁর কৃষকেরা। রবি মৌসুমের শুরুতেই খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জমিতে হাল চাষ ও সেচ খরচ বেড়ে গেছে। আগে ট্রাক্টর দিয়ে এক বিঘা জমিতে এক চাষ দিতে খরচ হতো ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। ডিজেলের দাম বৃদ্ধির পর ট্রাক্টরচালক ও মালিকেরা বিঘাপ্রতি ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত চাচ্ছেন। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
সরেজমিন গত মঙ্গলবার সকালে নওগাঁর ভবানীপুর মাঠসহ বেশ কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে আলু চাষে নেমেছেন চাষিরা। ডিজেল চালিত ট্রাক্টর ও পাওয়ার ট্রলি দিয়ে জমি চাষ করা হচ্ছে। সরিষা, গম, পেঁয়াজ ও শাক-সবজির বিভিন্ন খেতে শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে পানি সেচ দেওয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে ডিজেলের মোট চাহিদার বড় একটি অংশ ব্যবহার হয় ফসল উৎপাদন ও পণ্য পরিবহনে। তেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়লেও ফসল উৎপাদন ব্যয় বাড়বে ত্রিশ শতাংশ, ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষি অর্থনীতি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নওগাঁর বিভিন্ন তেলের পাম্পে আগে ডিজেল বিক্রি হয়েছে প্রতি লিটার ৬৫ টাকায়। হঠাৎ লিটারে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এদিকে, বিভিন্ন অজুহাতে স্থানীয়ভাবে খুচরা ডিজেল বিক্রেতারা আরও ২ থেকে ৫ টাকা বেশি নিয়ে বিক্রি করছেন ৮২ থেকে ৮৫ টাকায়।
পত্নীতলা উপজেলার কৃষক সাহাজান সাজু জানান, সাধারণত এক বিঘা জমিতে আলু চাষে খরচ হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। কিন্তু তেলের দাম বৃদ্ধিতে সেই খরচে যোগ হলো বিঘাপ্রতি আরও ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। উৎপাদন খরচ বাড়ায় শুরুতেই মূলধনের অভাব দেখা দিয়েছে। অসহায় হয়ে পড়েছেন অনেক চাষি।
ভবানীপুর এলাকার কৃষক ইউনুস আলী বলেন, ‘হিসেব করে রেখেছিলাম এবার এক বিঘা জমির আলুতে হাজার দশেক খরচ করব। হঠাৎ তেলের দাম যেভাবে বাড়ল মনে হচ্ছে ১৬-১৭ হাজার খরচ হবে। তেলের দাম বেড়েছে, কিন্তু ফসলের দাম বাড়ে না।
আরেক কৃষক রমজান মিয়া বলেন, ডিজেলের দাম বাড়ায় জমিতে চাষ এবং সেচের খরচ বেড়ে গেছে। এক বিঘা জমিতে চাষ করতে খরচ হতো ৩০০ টাকা এখন লাগছে ৪৫০ টাকা। আলু চাষের জন্য জমি অন্তত চারবার চাষ দিতে হবে। অর্থাৎ জমি চাষ করতে শুরুতেই অতিরিক্ত ৬০০ টাকা খরচ হচ্ছে।
ট্রাক্টরচালক রহিম মণ্ডল বলেন, ‘গাড়ি চালিয়ে যদি লাভই না হয়, তাহলে আমরা কীভাবে চলব। আগে তেলের দাম কম ছিল তাই চাষের খরচও কম নেওয়া হতো। এখন দাম বেড়ে গেছে, এ জন্য বিঘা প্রতি ৫০-১০০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আমাদের লোকসান হবে।
নওগাঁ ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন মুকুল বলেন, যান্ত্রিক কৃষি ব্যবস্থায় উৎপাদন খরচ অনেকটাই নির্ভর করে ডিজেলের ওপর। তেলের দাম বাড়ায় বেড়েছে হাল, সেচ ও পরিবহন খরচ। উৎপাদন ব্যয় মোটে ত্রিশ শতাংশ বাড়ল। কৃষকের স্বার্থে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৬ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে