তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
শেফালী ঘোষের গানের সঙ্গে ঠোঁট মেলায়নি এমন মানুষ চট্টগ্রামে পাওয়া যাবে কমই। আঞ্চলিক গানের সম্রাজ্ঞী বলে খ্যাত এই শিল্পীর গান যে ছিল বৃহত্তর চট্টগ্রাম জনপদের মানুষের জীবন থেকে নিংড়ে আনা। তাঁর কণ্ঠ তাই মানুষের আনন্দ-বেদনার সুর হয়ে উঠেছে। অথচ তাঁর পরিবারের সদস্যদের মুখ থেকে এখন আনন্দ উঠে গেছে। তাঁদের কণ্ঠে এখন শুধুই বেদনার সুর।
শেফালী ঘোষের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, নগরীর নন্দনকাননে অবস্থিত প্রখ্যাত এই শিল্পীর বাড়িটি বেদখল হয়ে গেছে। তাঁর সনদ, পদকও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের অভিযোগের তির ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের দিকে।
শেফালী ঘোষ নেই প্রায় ১৬ বছর। কিন্তু নন্দনকাননের সেই ছোট্ট ঘরে গেলেই টের পাওয়া যেত শিল্পীর সান্নিধ্য। শেওলা পড়া, স্যাঁতসেঁতে ঘরের জীর্ণ দুয়ার খুললেই যেন এত দিন বেরিয়ে আসত একটা দিগন্ত। বাড়ির দেয়ালে ঝুলে থাকা নানান পদক, পুরস্কার, খাটে বিছানো তোষক–যেন মনে করিয়ে দিত শিল্পীকে। কিন্তু আজ সেখানে একেবারেই শূন্যতা।
শেফালী ঘোষের পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত এই শিল্পীর নিজের একটা সন্তান ছিল। তবে তাঁর স্বামী আরেক গণসংগীতশিল্পী ননী গোপাল দত্তের প্রথম পক্ষে ছিলেন আরও দুজন ছেলে ও মেয়ে। সবাই ওই দুটি বাড়িতেই থাকতেন। ২০০৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেফালী ঘোষ মারা যাওয়ার পর ননী গোপালের প্রথম পক্ষের বড় ছেলে ও স্ত্রী কলকাতায় চলে যান। সেখানে তখন ননী গোপাল প্রথম পক্ষের ছোট ছেলে সুশান্ত দত্ত ও শেফালী ঘোষের ছোট ছেলে সুকণ্ঠ দত্ত ছোটন থাকতেন।
তবে কিছুদিন পর সুশান্ত দত্ত যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। এর মধ্যেই ২০১৯ সালে সুকণ্ঠ মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর সুকণ্ঠের স্ত্রী দীপা দত্ত তাঁর বাপের বাড়ি নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় চলে যান।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, গত ২১ এপ্রিল দুপুর ১২টায় ইসকন সংগঠনের নামে কিছু ব্যক্তি শেফালী ঘোষের ঘর দুটি দখল করে আসবাব, শিল্পীর রাষ্ট্রীয় সনদসহ বিভিন্ন উপঢৌকন নিয়ে যান। সেই খবর পেয়ে ৬ মে সুশান্ত দত্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে চট্টগ্রামে আসেন। ১৭ মে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। পাশাপাশি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলাও করেছেন তিনি।
গতকাল শনিবার বিকেলে শেফালী ঘোষের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় মুখোমুখি ছোট্ট দুটি ঘরে কয়েকটি কক্ষ। বাড়ির কোথাও যেন নেই শিল্পী। তিনি যে ঘরে গানের চর্চা করতেন-ঘুমাতেন সেখানে এখন থাকছেন ইসকনের আশ্রমের ভক্তরা। অন্য বাড়ির কক্ষ ইসকনের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসকনের সদস্য অপূর্ব মনোহর দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা জায়গাটি শেফালী ঘোষের পুত্রবধূ দীপা দত্তের কাছ থেকে কিনেছি। আর তিনি আমাদের নামে কোনো মামলা করেননি। এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসে আরেকজন মামলা করেছেন। তিনি আমাদের সঙ্গে বসেছিলেন। আমরা বলেছি, যেহেতু মামলা করেছেন কোর্টেই দেখা হবে।’
এ বিষয়ে জানতে দীপা দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
সুশান্ত দত্ত এখন যুক্তরাষ্ট্র ফিরে গেছেন। গতকাল শনিবার রাতে সেখান থেকে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইসকন দাবি করছে তারা আমার ভাইয়ের স্ত্রীর কাছ থেকে জায়গাটি কিনেছে। কিন্তু আমরা দুই ভাই বেঁচে থাকতে তিনি কীভাবে জায়গা বিক্রি করেন। আর বিক্রি করলেও তাঁর অংশ করতে পারেন, আমাদের অংশ তো থাকার কথা। আর ইসকন জায়গা কিনেছে, এমন প্রমাণও আমাকে দেখাতে পারেনি। আর শেফালী ঘোষ শিল্পী হয়েছেন এই ঘরেই। তাঁর সনদসহ বিভিন্ন সরকারি উপঢৌকন সবকিছু নিয়ে গেছে। এসব আমাদের কাছে এই পৃথিবীতে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। আমরা এ বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ চাই।’
শেফালী ঘোষের বাড়ি বেদখলের বিষয়ে বিশিষ্ট নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আঞ্চলিক গানের রানি যে বাড়িতে থাকতেন, সেটি তো সংরক্ষণ করতে হবে। সেটি বেদখল হয় কীভাবে। যিনি লন্ডনের বিখ্যাত রয়েল আলবার্ট হলে অনুষ্ঠান করেছেন, এমন একজন শিল্পীর স্মৃতিচিহ্ন আমরা কি এত সহজেই মুছে দেব? তার ক্রেস্ট-অর্জনগুলোকে কি আমরা বাইরে ফেলে দিতে পারি। এটা ইসকন কেন, সরকার দখল করলেও আমরা প্রতিবাদ করব।’
শেফালী ঘোষের গানের সঙ্গে ঠোঁট মেলায়নি এমন মানুষ চট্টগ্রামে পাওয়া যাবে কমই। আঞ্চলিক গানের সম্রাজ্ঞী বলে খ্যাত এই শিল্পীর গান যে ছিল বৃহত্তর চট্টগ্রাম জনপদের মানুষের জীবন থেকে নিংড়ে আনা। তাঁর কণ্ঠ তাই মানুষের আনন্দ-বেদনার সুর হয়ে উঠেছে। অথচ তাঁর পরিবারের সদস্যদের মুখ থেকে এখন আনন্দ উঠে গেছে। তাঁদের কণ্ঠে এখন শুধুই বেদনার সুর।
শেফালী ঘোষের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, নগরীর নন্দনকাননে অবস্থিত প্রখ্যাত এই শিল্পীর বাড়িটি বেদখল হয়ে গেছে। তাঁর সনদ, পদকও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের অভিযোগের তির ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের দিকে।
শেফালী ঘোষ নেই প্রায় ১৬ বছর। কিন্তু নন্দনকাননের সেই ছোট্ট ঘরে গেলেই টের পাওয়া যেত শিল্পীর সান্নিধ্য। শেওলা পড়া, স্যাঁতসেঁতে ঘরের জীর্ণ দুয়ার খুললেই যেন এত দিন বেরিয়ে আসত একটা দিগন্ত। বাড়ির দেয়ালে ঝুলে থাকা নানান পদক, পুরস্কার, খাটে বিছানো তোষক–যেন মনে করিয়ে দিত শিল্পীকে। কিন্তু আজ সেখানে একেবারেই শূন্যতা।
শেফালী ঘোষের পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত এই শিল্পীর নিজের একটা সন্তান ছিল। তবে তাঁর স্বামী আরেক গণসংগীতশিল্পী ননী গোপাল দত্তের প্রথম পক্ষে ছিলেন আরও দুজন ছেলে ও মেয়ে। সবাই ওই দুটি বাড়িতেই থাকতেন। ২০০৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেফালী ঘোষ মারা যাওয়ার পর ননী গোপালের প্রথম পক্ষের বড় ছেলে ও স্ত্রী কলকাতায় চলে যান। সেখানে তখন ননী গোপাল প্রথম পক্ষের ছোট ছেলে সুশান্ত দত্ত ও শেফালী ঘোষের ছোট ছেলে সুকণ্ঠ দত্ত ছোটন থাকতেন।
তবে কিছুদিন পর সুশান্ত দত্ত যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। এর মধ্যেই ২০১৯ সালে সুকণ্ঠ মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর সুকণ্ঠের স্ত্রী দীপা দত্ত তাঁর বাপের বাড়ি নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় চলে যান।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, গত ২১ এপ্রিল দুপুর ১২টায় ইসকন সংগঠনের নামে কিছু ব্যক্তি শেফালী ঘোষের ঘর দুটি দখল করে আসবাব, শিল্পীর রাষ্ট্রীয় সনদসহ বিভিন্ন উপঢৌকন নিয়ে যান। সেই খবর পেয়ে ৬ মে সুশান্ত দত্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে চট্টগ্রামে আসেন। ১৭ মে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। পাশাপাশি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলাও করেছেন তিনি।
গতকাল শনিবার বিকেলে শেফালী ঘোষের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় মুখোমুখি ছোট্ট দুটি ঘরে কয়েকটি কক্ষ। বাড়ির কোথাও যেন নেই শিল্পী। তিনি যে ঘরে গানের চর্চা করতেন-ঘুমাতেন সেখানে এখন থাকছেন ইসকনের আশ্রমের ভক্তরা। অন্য বাড়ির কক্ষ ইসকনের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসকনের সদস্য অপূর্ব মনোহর দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা জায়গাটি শেফালী ঘোষের পুত্রবধূ দীপা দত্তের কাছ থেকে কিনেছি। আর তিনি আমাদের নামে কোনো মামলা করেননি। এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসে আরেকজন মামলা করেছেন। তিনি আমাদের সঙ্গে বসেছিলেন। আমরা বলেছি, যেহেতু মামলা করেছেন কোর্টেই দেখা হবে।’
এ বিষয়ে জানতে দীপা দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
সুশান্ত দত্ত এখন যুক্তরাষ্ট্র ফিরে গেছেন। গতকাল শনিবার রাতে সেখান থেকে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইসকন দাবি করছে তারা আমার ভাইয়ের স্ত্রীর কাছ থেকে জায়গাটি কিনেছে। কিন্তু আমরা দুই ভাই বেঁচে থাকতে তিনি কীভাবে জায়গা বিক্রি করেন। আর বিক্রি করলেও তাঁর অংশ করতে পারেন, আমাদের অংশ তো থাকার কথা। আর ইসকন জায়গা কিনেছে, এমন প্রমাণও আমাকে দেখাতে পারেনি। আর শেফালী ঘোষ শিল্পী হয়েছেন এই ঘরেই। তাঁর সনদসহ বিভিন্ন সরকারি উপঢৌকন সবকিছু নিয়ে গেছে। এসব আমাদের কাছে এই পৃথিবীতে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। আমরা এ বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ চাই।’
শেফালী ঘোষের বাড়ি বেদখলের বিষয়ে বিশিষ্ট নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আঞ্চলিক গানের রানি যে বাড়িতে থাকতেন, সেটি তো সংরক্ষণ করতে হবে। সেটি বেদখল হয় কীভাবে। যিনি লন্ডনের বিখ্যাত রয়েল আলবার্ট হলে অনুষ্ঠান করেছেন, এমন একজন শিল্পীর স্মৃতিচিহ্ন আমরা কি এত সহজেই মুছে দেব? তার ক্রেস্ট-অর্জনগুলোকে কি আমরা বাইরে ফেলে দিতে পারি। এটা ইসকন কেন, সরকার দখল করলেও আমরা প্রতিবাদ করব।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে