সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
নগরীর বায়েজিদ এলাকার একটি পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মো. ফৌজুল করিম নামের এক পুলিশ সদস্যের (কনস্টেবল) বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ছয়তলা ভবনের একতলা নির্মাণ হয়েছে। দ্বিতীয় তলা নির্মাণের সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বাধা দিয়েছেন।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফৌজুল করিম। তিনি দাবি করেছেন, ওই জায়গাটি তাঁর এক আত্মীয়ের। তবে জায়গাটির বিক্রেতা জানিয়েছেন, রেজিস্ট্রি হয়েছে ফৌজুল করিমের নামেই। সম্প্রতি এ নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর তাঁকে শুনানিতে হাজির হওয়ার নোটিশ দেয়। তবে এতে হাজির হননি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৮ সালে বায়েজিদ থানাধীন চৌধুরীনগরে আড়াই কাঠা আয়তনের পাহাড়টি ১১ লাখ টাকায় কেনেন বর্তমানে কর্ণফুলী থানায় কর্মরত ফৌজুল করিম। তবে তখন তিনি বায়েজিদ থানায় কর্মরত ছিলেন। জায়গাটির আগের মালিক মো. সোহাগ নামের এক ব্যবসায়ী। অভিযোগ রয়েছে, জায়গার মালিককেও পুরো টাকা এখনো বুঝিয়ে দেননি ফৌজুল করিম।
জানতে চাইলে সোহাগ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জায়গাটি কেনার সময় উনি (ফৌজুল) ৬ লাখ টাকা আমাকে নগদ বুঝিয়ে দেন। বাকি ৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। পরে ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই বলে জানানো হয়। গত বছর জায়গাটি উনার নামে রেজিস্ট্রি হয়। এ বিষয়ে ফৌজুলের কাছে পরে ওই টাকা দাবি করলে তিনি আমাকে মাসের পর মাস ঘুরাতে থাকেন।’ এ ছাড়া বিভিন্ন সময় পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ারও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন সোহাগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০ সালের শুরুর দিকে ছয়তলা ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ওই বছরের শেষ দিকে প্রথম তলার কাজ সমাপ্ত হয়। গত বছরের শেষ দিকে ওই এলাকায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর। তখন আশপাশের কয়েকজনকে জরিমানা করা হলে ভবনটির নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন ফৌজুল। সম্প্রতি আবার তাঁর ভবনের দ্বিতীয় তলার নির্মাণকাজ শুরু হয়।
খবর পেয়ে গত ২ আগস্ট পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণের অভিযোগ আনা হয় ফৌজুলের বিরুদ্ধে। এমনকি ভবন নির্মাণে তিনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কোনো অনুমোদনও নেননি। পাহাড় কাটায় ফৌজুল করিমকে অভিযুক্ত করে গত ৫ অক্টোবর একটি নোটিশ দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। এ অপরাধের জন্য কেন জরিমানা ও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে না জানতে চেয়ে গত ১৭ অক্টোবর শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তবে ওই শুনানিতে হাজির হননি তিনি।
মোবাইল ফোনে গত বৃহস্পতিবার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কনস্টেবল ফৌজুল করিম বলেন, ‘জায়গাটি আমার নয়। আর আমি কোনো পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত নই। ভবনটিও আমার নয়। এটা আমার একজন আত্মীয়ের বাড়ি।’ তিনি ভবনটিতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকেন বলে দাবি করেন।
ফৌজুল আরও দাবি করেন, একটি মহল তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাঁরাই বিভিন্ন সময় মিথ্যা তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এরপর তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মো. নূরুল্লাহ নূরী বলেন, ‘প্রথম দফায় নোটিশ পাওয়ার পর তিনি (ফৌজুল) শুনানিতে হাজির ছিলেন না। পরে দ্বিতীয় দফায় তাঁকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নোটিশের কপি তিনি বুঝে নিয়েছেন। আগামী ৯ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারিত রয়েছে।’
নগরীর বায়েজিদ এলাকার একটি পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মো. ফৌজুল করিম নামের এক পুলিশ সদস্যের (কনস্টেবল) বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ছয়তলা ভবনের একতলা নির্মাণ হয়েছে। দ্বিতীয় তলা নির্মাণের সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বাধা দিয়েছেন।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফৌজুল করিম। তিনি দাবি করেছেন, ওই জায়গাটি তাঁর এক আত্মীয়ের। তবে জায়গাটির বিক্রেতা জানিয়েছেন, রেজিস্ট্রি হয়েছে ফৌজুল করিমের নামেই। সম্প্রতি এ নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর তাঁকে শুনানিতে হাজির হওয়ার নোটিশ দেয়। তবে এতে হাজির হননি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৮ সালে বায়েজিদ থানাধীন চৌধুরীনগরে আড়াই কাঠা আয়তনের পাহাড়টি ১১ লাখ টাকায় কেনেন বর্তমানে কর্ণফুলী থানায় কর্মরত ফৌজুল করিম। তবে তখন তিনি বায়েজিদ থানায় কর্মরত ছিলেন। জায়গাটির আগের মালিক মো. সোহাগ নামের এক ব্যবসায়ী। অভিযোগ রয়েছে, জায়গার মালিককেও পুরো টাকা এখনো বুঝিয়ে দেননি ফৌজুল করিম।
জানতে চাইলে সোহাগ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জায়গাটি কেনার সময় উনি (ফৌজুল) ৬ লাখ টাকা আমাকে নগদ বুঝিয়ে দেন। বাকি ৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। পরে ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই বলে জানানো হয়। গত বছর জায়গাটি উনার নামে রেজিস্ট্রি হয়। এ বিষয়ে ফৌজুলের কাছে পরে ওই টাকা দাবি করলে তিনি আমাকে মাসের পর মাস ঘুরাতে থাকেন।’ এ ছাড়া বিভিন্ন সময় পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ারও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন সোহাগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০ সালের শুরুর দিকে ছয়তলা ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ওই বছরের শেষ দিকে প্রথম তলার কাজ সমাপ্ত হয়। গত বছরের শেষ দিকে ওই এলাকায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর। তখন আশপাশের কয়েকজনকে জরিমানা করা হলে ভবনটির নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন ফৌজুল। সম্প্রতি আবার তাঁর ভবনের দ্বিতীয় তলার নির্মাণকাজ শুরু হয়।
খবর পেয়ে গত ২ আগস্ট পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণের অভিযোগ আনা হয় ফৌজুলের বিরুদ্ধে। এমনকি ভবন নির্মাণে তিনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কোনো অনুমোদনও নেননি। পাহাড় কাটায় ফৌজুল করিমকে অভিযুক্ত করে গত ৫ অক্টোবর একটি নোটিশ দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। এ অপরাধের জন্য কেন জরিমানা ও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে না জানতে চেয়ে গত ১৭ অক্টোবর শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তবে ওই শুনানিতে হাজির হননি তিনি।
মোবাইল ফোনে গত বৃহস্পতিবার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কনস্টেবল ফৌজুল করিম বলেন, ‘জায়গাটি আমার নয়। আর আমি কোনো পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত নই। ভবনটিও আমার নয়। এটা আমার একজন আত্মীয়ের বাড়ি।’ তিনি ভবনটিতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকেন বলে দাবি করেন।
ফৌজুল আরও দাবি করেন, একটি মহল তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাঁরাই বিভিন্ন সময় মিথ্যা তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এরপর তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মো. নূরুল্লাহ নূরী বলেন, ‘প্রথম দফায় নোটিশ পাওয়ার পর তিনি (ফৌজুল) শুনানিতে হাজির ছিলেন না। পরে দ্বিতীয় দফায় তাঁকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নোটিশের কপি তিনি বুঝে নিয়েছেন। আগামী ৯ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারিত রয়েছে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে