বরিশাল প্রতিনিধি
ঈদযাত্রায় বাড়ি ফেরা নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই দক্ষিণের যাত্রীদের। টিকিট পেতে নানা ভোগান্তির অভিযোগ তাঁদের। নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারবেন কি না, তা নিয়ে চিন্তিত এ অঞ্চলের মানুষ। তারপর আবার বরিশাল বন্দরে পা রাখতে গিয়েও হোঁচট খেতে হবে যাত্রীদের।
কোথায় ভিড়বে বিশালাকায় ১৭-১৮টি লঞ্চ, তা নিয়েও আছে সংশয়। বন্দরের পন্টুনে ঠাঁই নেই। বিআইডব্লিউটিএ ও লঞ্চের মাস্টারদের তথ্যমতে, পন্টুনে ৬-৭টির বেশি লঞ্চ ভিড়তে পারে না। এ অবস্থায় ঈদে ভিড়তে যাওয়া সাধারণ সময়ের চেয়ে ৩ গুণ লঞ্চ নিয়ে শঙ্কিত সংশ্লিষ্টরা। গত রোববার এক সভায় লঞ্চের মাস্টার সুকানিদের প্রশ্নের মুখেও পড়েন বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।
এমভি সুন্দরবন লঞ্চের মাস্টার মজিবর রহমান বলেন, নৌবন্দরের ৩টি পন্টুনে নিয়মিত ৬-৭টি লঞ্চই ভিড়তে পারত না। কিন্তু এবারের ঈদে ১৭-১৮ লঞ্চে একযোগে কোথায় ঘাট দেবে, তার কোনো জবাব দিতে পারেননি বন্দর কর্মকর্তা। রোববার লঞ্চের মাস্টার, লঞ্চ মালিক নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র সভায় এমন প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
তিনি বলেন, পন্টুনের এক পাশে একটি অকেজো ড্রেজার পড়ে আছে। ৬ মাসেও সেটি সরানো হয়নি। ঈদের ছুটিতে ২৮, ২৯, ৩০ এপ্রিল তীব্র চাপ হবে যাত্রীর। ওই সময় পন্টুনে ১৭-১৮টি লঞ্চ ভেড়ানো কঠিন হয়ে পড়বে। একটার পেছনে একটা লঞ্চ ভেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সবচেয়ে ঝুঁকি যাত্রীদের। তাঁরা এক লঞ্চ থেকে আরেক লঞ্চে ছুটতে গিয়ে বিপাকে পড়তে পারেন। সভায় বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান তাঁদের কথা শুনেছেন, কিন্তু সমাধান না দিতে পারায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ ও লঞ্চের সুকানি, মাস্টারদের তথ্যমতে, গত ঈদে মানুষ আসতে পারেনি। এবার তাই ঘরমুখো যাত্রীর স্রোত নামবে। সূত্রমতে, দৈনিক ৫০-৬০ হাজারের বেশি যাত্রী রাজধানী থেকে বরিশালে নামবে। ঈদের আগের ৫ দিন এবং পরের ৫ দিন একই সংখ্যক যাত্রী হতে পারে। এত যাত্রী নিয়ন্ত্রণে দ্বিগুণ পন্টুন দরকার। কিন্তু মাত্র তিনটি পন্টুনে নিয়মিত লঞ্চ ভেড়ানোই কঠিন।
বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাননি। বরং তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান।
তবে লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু এ প্রসঙ্গে বলেন, এবারের ঈদে তাদের বড় লঞ্চ আছে অনেক। কিন্তু এসব লঞ্চ ভেড়ানোর পর্যাপ্ত পন্টুন নেই বরিশাল নৌবন্দরে। বিআইডব্লিউটিএকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে একাধিকবার তাগিদ দিয়েছেন।
সুরভী লঞ্চের মালিক রিয়াজুল কবির রোববার এক সমন্বয় সভায় বলেন, ঈদের আগের ৫ দিন দিনে রাতে যাতে নদীতে বাল্কহেড না চলে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে।
কীর্তনখোলা লঞ্চের মালিক মো. ফেরদৌস বলেন, ২৮, ২৯ ও ৩০ এপ্রিল অনেক পোশাককর্মী আসবেন। মানুষ সুস্থভাবে যাতে বাড়ি ফিরতে পারে এমন উদ্যোগ নেবেন তাঁরা। তিনি বলেন, ঈদে ২৮টি লঞ্চ ডাবল ট্রিপ দেবে। সে অনুযায়ী যাত্রীদের ততটা দুর্ভোগ হবে না বলে তাদের ধারণা।
এ ব্যাপারে নৌযাত্রী ঐক্য পরিষদের বরিশাল জেলা আহ্বায়ক আব্দুল রশিদ নিলু বলেন, বরিশাল বন্দরের পন্টুন আধুনিক ও সম্প্রসারণ করা দরকার। এটা না করলে যাত্রীদের ঝুঁকি থেকেই যায়। ঈদ উপলক্ষে তাঁরা যাত্রীদের নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রী বরাবর ১২ দফা দাবি তুলে ধরেছেন। দাবিগুলোতে যাত্রীদের জীবন ঝুঁকি রোধ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।
ঈদযাত্রায় বাড়ি ফেরা নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই দক্ষিণের যাত্রীদের। টিকিট পেতে নানা ভোগান্তির অভিযোগ তাঁদের। নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারবেন কি না, তা নিয়ে চিন্তিত এ অঞ্চলের মানুষ। তারপর আবার বরিশাল বন্দরে পা রাখতে গিয়েও হোঁচট খেতে হবে যাত্রীদের।
কোথায় ভিড়বে বিশালাকায় ১৭-১৮টি লঞ্চ, তা নিয়েও আছে সংশয়। বন্দরের পন্টুনে ঠাঁই নেই। বিআইডব্লিউটিএ ও লঞ্চের মাস্টারদের তথ্যমতে, পন্টুনে ৬-৭টির বেশি লঞ্চ ভিড়তে পারে না। এ অবস্থায় ঈদে ভিড়তে যাওয়া সাধারণ সময়ের চেয়ে ৩ গুণ লঞ্চ নিয়ে শঙ্কিত সংশ্লিষ্টরা। গত রোববার এক সভায় লঞ্চের মাস্টার সুকানিদের প্রশ্নের মুখেও পড়েন বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।
এমভি সুন্দরবন লঞ্চের মাস্টার মজিবর রহমান বলেন, নৌবন্দরের ৩টি পন্টুনে নিয়মিত ৬-৭টি লঞ্চই ভিড়তে পারত না। কিন্তু এবারের ঈদে ১৭-১৮ লঞ্চে একযোগে কোথায় ঘাট দেবে, তার কোনো জবাব দিতে পারেননি বন্দর কর্মকর্তা। রোববার লঞ্চের মাস্টার, লঞ্চ মালিক নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র সভায় এমন প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
তিনি বলেন, পন্টুনের এক পাশে একটি অকেজো ড্রেজার পড়ে আছে। ৬ মাসেও সেটি সরানো হয়নি। ঈদের ছুটিতে ২৮, ২৯, ৩০ এপ্রিল তীব্র চাপ হবে যাত্রীর। ওই সময় পন্টুনে ১৭-১৮টি লঞ্চ ভেড়ানো কঠিন হয়ে পড়বে। একটার পেছনে একটা লঞ্চ ভেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সবচেয়ে ঝুঁকি যাত্রীদের। তাঁরা এক লঞ্চ থেকে আরেক লঞ্চে ছুটতে গিয়ে বিপাকে পড়তে পারেন। সভায় বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান তাঁদের কথা শুনেছেন, কিন্তু সমাধান না দিতে পারায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ ও লঞ্চের সুকানি, মাস্টারদের তথ্যমতে, গত ঈদে মানুষ আসতে পারেনি। এবার তাই ঘরমুখো যাত্রীর স্রোত নামবে। সূত্রমতে, দৈনিক ৫০-৬০ হাজারের বেশি যাত্রী রাজধানী থেকে বরিশালে নামবে। ঈদের আগের ৫ দিন এবং পরের ৫ দিন একই সংখ্যক যাত্রী হতে পারে। এত যাত্রী নিয়ন্ত্রণে দ্বিগুণ পন্টুন দরকার। কিন্তু মাত্র তিনটি পন্টুনে নিয়মিত লঞ্চ ভেড়ানোই কঠিন।
বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাননি। বরং তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান।
তবে লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু এ প্রসঙ্গে বলেন, এবারের ঈদে তাদের বড় লঞ্চ আছে অনেক। কিন্তু এসব লঞ্চ ভেড়ানোর পর্যাপ্ত পন্টুন নেই বরিশাল নৌবন্দরে। বিআইডব্লিউটিএকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে একাধিকবার তাগিদ দিয়েছেন।
সুরভী লঞ্চের মালিক রিয়াজুল কবির রোববার এক সমন্বয় সভায় বলেন, ঈদের আগের ৫ দিন দিনে রাতে যাতে নদীতে বাল্কহেড না চলে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে।
কীর্তনখোলা লঞ্চের মালিক মো. ফেরদৌস বলেন, ২৮, ২৯ ও ৩০ এপ্রিল অনেক পোশাককর্মী আসবেন। মানুষ সুস্থভাবে যাতে বাড়ি ফিরতে পারে এমন উদ্যোগ নেবেন তাঁরা। তিনি বলেন, ঈদে ২৮টি লঞ্চ ডাবল ট্রিপ দেবে। সে অনুযায়ী যাত্রীদের ততটা দুর্ভোগ হবে না বলে তাদের ধারণা।
এ ব্যাপারে নৌযাত্রী ঐক্য পরিষদের বরিশাল জেলা আহ্বায়ক আব্দুল রশিদ নিলু বলেন, বরিশাল বন্দরের পন্টুন আধুনিক ও সম্প্রসারণ করা দরকার। এটা না করলে যাত্রীদের ঝুঁকি থেকেই যায়। ঈদ উপলক্ষে তাঁরা যাত্রীদের নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রী বরাবর ১২ দফা দাবি তুলে ধরেছেন। দাবিগুলোতে যাত্রীদের জীবন ঝুঁকি রোধ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে